ক্রিকেট
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির স্বপ্ন এখনও জিইয়ে রাখল ভারত
ড্র করতে পারলেও ট্রফি ভারতের।

অস্ট্রেলিয়া: ৩৬৯ এবং ২৯৪ (স্মিথ ৫৫, ওয়ার্নার ৪৮, সিরাজ ৫-৭৩)
ভারত: ৩৩৬ এবং ৪-০ (রোহিত ৪ অপরাজিত)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: টেস্টে যে চার রকম ফলাফল হওয়া সম্ভব, মঙ্গলবারের ব্রিসবেনে কিন্তু সেই সবই হতে পারে। অর্থাৎ ভারত জিততে পারে, অস্ট্রেলিয়া জিততে পারে, ড্র হতে পারে এবং টাই তো হতেই পারে। ভারতের চাপ তো আছেই, কিন্তু আরও বেশি করে চাপ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ওপরে। কারণ বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি দখল করতে গেলে তাদের এক এবং একমাত্র পথ জয়। বাকি তিনটে সম্ভাবনার কোনো একটা হলেই ট্রফি ভারতের।
ভারত যে এখনও ট্রফি পুনরায় দখল করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন, তার মূল কারণ কিন্তু ভারতের পেসারদের দাপট। বিশেষ করে মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দূল ঠাকুরের।
পাঁচ উইকেট নিলেন সিরাজ
চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়া শিবিরে প্রাথমিক এবং মোক্ষম ধাক্কাটা দেন মহম্মদ সিরাজ। মেলবোর্নে অভিষেক হওয়া সিরাজ, চলতি টেস্টে ভারতের পেস বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই সিরাজই কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কেরিয়ারের সেরা বোলিংটি করে গেলেন এ দিন।
চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে শুরুর দিকে দাপটের সঙ্গেই ব্যাট করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্কাস হ্যারিস। দু’ জনের মধ্যে ওপেনিং জুটিতে ৮৯ রান উঠেও যায়। কিন্তু তার পরেই ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। উল্লেখ্য, প্রথমেই দুই ওপেনারকে ফেরান শার্দূল ঠাকুর এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু তার পর মিডিল অর্ডারটা ভাঙার দায়িত্ব সিরাজ নেন।
মার্নাস লাবুশানে, ম্যাথু ওয়েড এবং স্টিভ স্মিথ, তিন জনই সিরাজের শিকার। লাবুশানে এবং ওয়েড রান না পেলেও, ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন স্মিথ। তাঁর উইকেটটা ভারতকে অনেকটাই বেশি অক্সিজেন দিয়ে দেয়। এর পর মিচেল স্টার্ক এবং জস হেজেলউডের উইকেট দখল করে কেরিয়ারে প্রথম বার পাঁচ উইকেট নেন সিরাজ।
পিছিয়ে ছিলেন না শার্দূলও
এ দিকে ব্যাটের পর বল হাতেও ব্যাঘ্রগর্জন করলেন শার্দূল ঠাকুর। এ দিন প্রথম উইকেটটি শার্দূলেরই ছিল। মার্কাস হ্যারিস ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন তিনি। এর পর লোয়ার মিডিল অর্ডারে উইকেটগুলো তিনি তোলেন।
শার্দূলের শিকার হন অধিনায়ক টিম পেইন, ক্যামেরন গ্রিন এবং ল্যাথান লিয়ঁ। সিরাজ এবং শার্দূলের এই লড়াইয়ের ফলেই অস্ট্রেলিয়া বড়ো রানে এগিয়ে যাওয়ার ভয় দেখালেও সে ভাবে আর এগোতে পারেনি। এই দু’ জন ছাড়াও ওয়াশিংটন সুন্দরও ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে নিজের প্রভাব জানান দেন এই টেস্টে।
নজর কাড়লেন স্টিভ স্মিথ
এ দিকে ব্যাট হাতে এ দিন নজর কাড়লেন স্টিভ স্মিথ। এক দিকে উইকেট পড়া থামানো এবং অন্য দিকে রানের গতি বাড়ানো, এই দু’টো দায়িত্ব ছিল স্মিথের ওপরে। তিনি দু’টোই সামলেছেন সাবলীল ভাবে।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর ব্যাট করতে নামেন স্মিথ। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা দাপটের সঙ্গে ব্যাট করে যান তিনি। ৭৪-এর ওপরে স্ট্রাইক রেটে ৭৪ বলে ৫৫ রানের দাপুটে ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংসের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার লিড বেশ কিছুটা যে বেড়ে যায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্মিথ ছাড়াও এ দিন রানের মধ্যে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নারও। তবে অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন তিনি।
ভারতের টার্গেট আদৌ সহজ নয়
নবাগত দুই পেসার সিরাজ এবং শার্দূলের দাপটে অস্ট্রেলিয়া শেষ হয়ে গেলেও ভারতের লড়াই যথেষ্ট কঠিন। ব্রিসবেনের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা সহজ নয়। ভারতের জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ৩২৮। বৃষ্টি নামার আগে ১ ওভার পাঁচ বল টিকতে হয়েছিল ভারতকে। এতে রোহিত শর্মার একটি সুন্দর কভার ড্রাইভ ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কিছু ঘটেনি।
তবে মঙ্গলবারটা যে ভারতীয় দলের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ড্র রাখতে পারলেই কিন্তু ফের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি ভারতের দখলে চলে আসবে। আর একটা কথা হল, আবহাওয়ার পূর্বাভাসও কিছু ভারতকে ভরসা দিতেই পারে। কারণ সোমবারের পর মঙ্গলবারও সারা দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ব্রিসবেনে।
ক্রিকেট
জো রুটের পাঁচ উইকেট, ভয়াবহ ব্যাটিং ভরাডুবি ভারতের
মাত্র ৩৩ রানে এগিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করল ভারত।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মাত্র ৪৬ রানের মধ্যে পড়ল সাতটা উইকেট। অমদাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় এ ভাবেই ভয়াবহ ব্যাটিং ভরাডুবির কবলে পড়ল ভারত। আর এই সাতটার মধ্যে পাঁচটা উইকেটই নিয়ে নিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট।
বৃহস্পতিবার ভারত নিজের স্কোর কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেটা দেখার ছিল। রোহিত শর্মা এবং অজিঙ্ক রাহানের ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছিল। কিন্তু ভারতীয় স্পিনারদের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের স্পিনাররাও যে গোলাপি বলকে মারাত্মক ভাবে ঘোরাবেন সেটা কার্যত আন্দাজই করা যায়নি।
এ দিন খেলা শুরু হওয়ার প্রথম কয়েকটি ওভারের পর ভারতীয় শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন জ্যাক লিচ, অজিঙ্ক রাহানেকে তুলে নিয়ে। এর পর রোহিত শর্মাও লিচের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে যান। এর পর শুধুই রুটের কেরামতি।
ভারতীয় পিচে দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলেছেন রুট। চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে একার হাতেই ভারতকে হারিয়েছেন তিনি। টুকটাক বলও করতে পারেন। কিন্তু তা বলে সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি পাঁচ উইকেট নিতে পারেন, সেটা ভাবাই যায়নি। তাঁর ঘূর্ণির শিকার হলেন পন্থ, ওয়াশিংটন, অশ্বিন, অক্ষর এবং বুমরাহ।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩৩ রানে এগিয়ে থেকে অল আউট হয়ে গেল ভারত। তাদের ওপরেও এখন যথেষ্ট চাপ রয়েছে। ইংল্যান্ড ব্যাটিংকে কোনো ভাবেই বেশ দূর এগোতে দেওয়া যাবে না। চতুর্থ ইনিংসের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ ছাড়িয়ে গেলেও কিন্তু ভারত বিপদে পড়তে পারে।
ক্রিকেট
স্টেডিয়ামে অদ্ভুত কিছু বিপত্তির পর অমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন চালকের আসনে ভারত
অক্ষর পটের ছয় উইকেটের পর অর্ধশতরান রোহিতের।

ইংল্যান্ড ১১২ (ক্রলি ৫৩, রুট ১৭, অক্ষর ৬-৩৮)
ভারত ৯৯-৩ (রোহিত ৫৭ অপরাজিত, বিরাট ২৭, লিচ ২-২৭)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পথ চলা শুরুর দিন নানা রকম বিপত্তি। বার দুয়েক ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যাওয়া, খেলা চলাকালীন নিরাপত্তার বেষ্টনী এড়িয়ে পিচের কাছাকাছি এক ভক্তের চলে আসা, এই সব ঘটনা ঘটল অমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন।
কল্পনা করুন কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ওই ভক্ত যদি ক্রিকেটারদের কাছাকাছি পৌঁছে যেতেন, তা হলে কী হত! জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরিয়ে যেতে হত সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের। হয়তো এই টেস্টে আর নাও খেলতে পারতেন তাঁরা, হয়তো কোভিড নেগেটিভ টেস্ট করিয়ে তার পর ঢুকতে হত বলয়ের মধ্যে। যাই হোক, নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়নি।
তবে এই সব বিপত্তিতে ভারতের পক্ষে একটি দুর্দান্ত দিন গেল। প্রথম পঞ্চাশ ওভারের মধ্যেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আপাতত ভারত বেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থাতেই রয়েছে।
স্বপ্নের অভিষেক সিরিজ চলছে অক্ষর পটেলের। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলেছিলেন তিনি। এ বার তার সঙ্গে আরও একটা যোগ করে ফেললেন তিনি। ঘরের মাঠেই ব্রিটিশদের আধ ডজন উইকেট তুলে নিলেন অক্ষর। আর তাতেও মাত্র ১১২ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গোলাপি বল সুইং বেশি করে, এমনই ধারণা। ২০১৯-এ ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন রাতের টেস্টে সবকটা উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসাররাই। তাই মনে করা হচ্ছিল ভারত হয়তো বাড়তি পেসার নিয়ে এ দিন মাঠে নামবে। কিন্তু সেটা না করে তিন স্পিনার আর দুই পেসার ফর্মুলাতেই দল নামান কোহলি।
সেই সিদ্ধান্তটা দুরন্ত একটা সিদ্ধান্ত ছিল, সেটা বোঝা গেল। এ দিন প্রথম উইকেটটা নেন শততম টেস্ট খেলতে নামা ইশান্ত শর্মা। তাঁর আউটসুইং বলটাকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে দেন ডম সিবলি। তার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম জুড়ে স্পিনারদেরই দাপট।
শুরুটাও করেছিলেন অক্ষরই। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন তিনি। এর পর জো রুট এবং জ্যাক ক্রলির মধ্যে সুন্দর একটি জুটি তৈরি হয়। দুর্দান্ত খেলছিলেন ক্রলি। তাঁর কভার ড্রাইভগুলো দৃষ্টিনন্দন ছিল। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করে ফেলেন ক্রলি, তার পরেই ইংল্যান্ডের উইকেট-পতন শুরু।
অক্ষরের সঙ্গে যোগ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তবে দাপট বেশ কিছু অক্ষরের। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ১০০ করতে পারবে কি না। যাই হোক, সেই লক্ষ্যমাত্রাটা তারা পেরিয়ে যায়। এ দিকে, তিন উইকেট নেওয়ার পর চারশো ঊইকেট থেকে এখন আর মাত্র তিন উইকেট দূরে রইলেন অশ্বিন। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই সেই রেকর্ড করে ফেলবেন তিনি।
অ্যান্ডারসন, ব্রড এবং আর্চার সম্বিলিত পেস আক্রমণটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা। এই পেস ত্রয়ীর সামনের ভারতের ওপেনিং জুটি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিল। তবে দ্রুত সেই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসেন রোহিত শর্মা। যদিও শুভমন গিলের আচমকা খারাপ ফর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে।
চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই রান পাননি তিনি। এ দিনও শুরুতে মারাত্মক আড়ষ্ট ছিলেন তিনি। তবুও সেই আড়ষ্টতা কাটানোর জন্য দুটো দুরান্ত শট মারলেও জোফ্রা আর্চারের বাউন্সার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হন তিনি।
এ দিন খেলা শুরুর আগে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন তিনি চেতেশ্বর পুজারার ব্যাটে দ্বিশতরান দেখতে চান। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এ দিন কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান পুজারা। তাঁর পা কে উইকেটের সামনে পেয়ে যান জ্যাক লিচ।
এর পর রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমতে শুরু করেন বিরাট কোহলি। নিজের চেনা ছন্দে খেলেই দুরন্ত অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন রোহিত। চেন্নাইয়ে শতরানের পর আরও একটা শতরানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি।
তবে বিরাট নিজের চেনা ছন্দে ছিলেন না। সুন্দর কয়েকটি স্ট্রোক খেললেও ক্রিজে মাঝেমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অ্যান্ডারসনের বলে স্লিপে তাঁর ক্যাচও ফস্কান ওলি পোপ। যদিও ইংল্যান্ড শিবিরের বিন্দুমাত্র কোনো ক্ষতি হয়নি তাতে। দিনের খেলা শেষে কিছু আগেই তাঁর উইকেটটি তুলে নেন জ্যাক লিচ।
তবুও ইংল্যান্ডের রান এতটাই কম যে এটা বলতেই হয় যে টেস্টের প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে বসে রয়েছে ভারত। দ্বিতীয় দিন নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করে ফেলতে পারে বিরাটবাহিনী।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
নরেন্দ্র মোদীর নামে স্টেডিয়াম! এক দিকে আদানি, অন্য প্রান্তে রিলায়েন্স, কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর

খবরঅনলাইন ডেস্ক: স্বপ্নের অভিষেক সিরিজ চলছে অক্ষর পটেলের। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলেছিলেন তিনি। এ বার তার সঙ্গে আরও একটা যোগ করে ফেললেন তিনি। ঘরের মাঠেই ব্রিটিশদের আধ ডজন উইকেট তুলে নিলেন অক্ষর। আর তাতেও মাত্র ১১২ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গোলাপি বল সুইং বেশি করে, এমনই না কি ধারণা। ২০১৯-এ ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন রাতের টেস্টে সব ক’টা উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসাররাই। তাই মনে করা হচ্ছিল ভারত হয়তো বাড়তি পেসার নিয়ে এ দিন মাঠে নামবে। কিন্তু সেটা না করে তিন স্পিনার আর দুই পেসার ফর্মুলাতেই দল নামান কোহলি।
সেই সিদ্ধান্তটা দুরন্ত একটা সিদ্ধান্ত ছিল, সেটা বোঝা গেল। এ দিন প্রথম উইকেটটা নেন শততম টেস্ট খেলতে নামা ইশান্ত শর্মা। তাঁর আউটসুইং বলটাকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে দেন ডম সিবলি। তার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম জুড়ে স্পিনারদেরই দাপট।
শুরুটাও করেছিলেন অক্ষরই। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন তিনি। এর পর জো রুট এবং জ্যাক ক্রলির মধ্যে সুন্দর একটি জুটি তৈরি হয়। দুর্দান্ত খেলছিলেন ক্রলি। তাঁর কভার ড্রাইভগুলো দৃষ্টিনন্দন ছিল। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করে ফেলেন ক্রলি, তার পরেই ইংল্যান্ডের উইকেট-পতন শুরু।
অক্ষরের সঙ্গে যোগ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তবে দাপট বেশ কিছু অক্ষরের। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ১০০ করতে পারবে কি না। যাই হোক, সেই লক্ষ্যমাত্রাটা তারা পেরিয়ে যায়। এ দিকে, তিন উইকেট নেওয়ার পর চারশো ঊইকেট থেকে এখন আর মাত্র তিন উইকেট দূরে রইলেন অশ্বিন। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই সেই রেকর্ড করে ফেলবেন তিনি।
অক্ষর ছয় উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে ভারতীয় টেস্ট দলে লম্বা রেসের ঘোড়া হতে তিনি তৈরি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদীর নামে
-
প্রযুক্তি22 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
ফুটবল3 days ago
দশ জনে খেলা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান
-
ফুটবল2 days ago
কোনো রকমে হার বাঁচানো এটিকে মোহনবাগানের খেলায় বেজায় ক্ষুব্ধ আন্তোনিও লোপেজ আবাস