ক্রিকেট
মেলবোর্নে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের দোরগোড়ায় ভারত
মঙ্গলবার প্রথম সেশনেই ম্যাচ জিতে যেতে পারে ভারত

অস্ট্রেলিয়া: ১৯৫ এবং ১৩৩-৬ (ওয়েড ৪০, লাবুশানে ২৮, জাদেজা ২-২৮)
ভারত: ৩২৬ (রাহানে ১১৪, জাদেজা ৫৭, লিঁয় ৩-৭৮)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার ভারতের অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমীর ঘুম ভাঙার আগেই সম্ভবত একটা ব্যাপার ঘটতে চলেছে। ঘুম থেকে উঠে টিভিটা খুললেই হয়তো দেখা যাবে যে মেলবোর্ন টেস্ট জিতে নিয়েছে ভারত। সোমবার তৃতীয় দিনের শেষে খেলাটা এমন জায়গায় রয়েছে যে মঙ্গলবার প্রথম সেশনেই তা শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
আর আপাতত একটা ফলাফলের সম্ভাবনাই সব থেকে বেশি। সেটা হল ভারতের জয়। সপ্তম উইকেটে ক্যামেরন গ্রিন এবং প্যাট কামিন্স নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে যাবেন না। চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়ার বাকি উইকেটগুলো দ্রুত ফেলতে পারলেই অজিঙ্ক রাহানের দলের কেল্লা ফতে।
১৩১ রানের লিড নেয় ভারত
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার স্কোরের থেকে ১৩১ রানে এগিয়ে থেকে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। দিনের প্রথম সেশনেই ভারতের বাকি পাঁচটা উইকেট ফেলে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
এ দিন খেলা শুরুর পর থেকে নিজেদের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ভারত। রাহানে আর জাদেজা লিডকে ক্রমশ বাড়াচ্ছিলেন। কিন্তু ইনিংসের ১০০তম ওভারে আউট হয়ে যান রাহানে। কোনো ভালো বোলারের, ভালো বলের কারণে আউট হলে তাও কিছু বলার থাকত। কিন্তু তিনি রান আউট হয়ে গেলেন।
অ্যাডিলেডের রাহানে-কোহলির ভুল বোঝাবুঝির বিরাট বড়ো খেসারত দিতে হয়েছিল ভারতকে। ক্রিকেটভক্তরা আশা করতে পারেন যে এখানে রাহানে আর জাদেজার ভুল বোঝাবুঝির কোনো খেসারত টিম ইন্ডিয়াকে দিতে হবে না।
রাহানের আউট হয়ে যাওয়ার পরেও ভরসা ছিল রবীন্দ্র জাদেজার ওপরে। ব্যাট হাতেও তিনি যে সাবলীল, গত দু’ বছর ধরে সেই বার্তাই দিয়ে আসছেন জাদেজা। এ বারও একটা অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। এটি তাঁর কেরিয়ারের ১৫তম পঞ্চাশ।
তবে লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারতেন যদি না জশ হেজেলউড তাঁর ইনিংসে দাঁড়ি ফেলে দিতেন। ৫৭ রানে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান জাদেজা।
বাকি কাজটা সেরে ফেলেন ন্যাথান লিঁয়। রবিবার হনুমা বিহারীর উইকেট নিয়েছিলেন লিঁয়। জাদেজা ফিরে যাওয়ার পর উমেশ যাদব এবং জসপ্রীত বুমরাহর উইকেট নেন তিনি। অন্য দিকে অশ্বিনকে তুলে নেন হেজেলউড।
শুরুতেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া
একটা সময় ছিল, যখন টেস্ট ব্যাটিংয়ের নতুন একটি রূপ দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বিপক্ষের বোলিংয়ের ধার কমিয়ে দিতে শুরু থেকেই আক্রমণের পন্থা নিতেন ম্যাথু হেডেন, জাস্টিন ল্যাঙ্গাররা। এখন অবশ্য সে সবের কোনো বালাই নেই। ডেভিড ওয়ার্নারের অনুপস্থিতিতে এমনিতেই মুষড়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং।
তাই ১৩১ রানে পিছিয়ে থাকাটা অস্ট্রেলিয়ার কাছে যে বাড়তি চাপ তা বলাই বাহুল্য। সেই চাপ আরও বাড়ল, যখন শুরুর দিকেই জো বার্নসকে ফিরিয়ে দেন উমেশ যাদব। যদিও এর কিছুক্ষণের মধ্যেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান যাদব।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মার্নাস লাবুশানের সঙ্গে জুটিতে রান তোলার চেষ্টা করেন ম্যাথু ওয়েড। দু’ জনে এগোচ্ছিলেন ভালো। কিন্তু তাদের যাত্রা থামিয়ে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যিনি এই সিরিজে নিজেকে নতুন করে মেলে ধরেছেন।
স্লিপে অধিনায়ক রাহানেকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লাবুশানে। সিরিজে এটা ছিল অশ্বিনের নবম উইকেট। অশ্বিন যেমন এক দিকে জ্বলে উঠছেন, ঠিক তেমনই ক্রমে ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছেন স্টিভ স্মিথ। চার নম্বর তিনি নামার পর বার বার মনে হচ্ছিল খুব চাপে রয়েছেন। তবে চা বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারানি অজিরা। রানরেট ছিল ২-এর সামান্য বেশি।
জয়ের পথে এগিয়ে গেল ভারত
তবে বিরতির ঠিক পরেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন স্মিথ। সিরিজে এখনও পর্যন্ত তিনটে ইনিংসে তিন বারই ১০-এর কমে ফিরলেন স্মিথ। তাঁর উইকেট তোলেন বুমরাহ।
স্মিথ ফিরতে আরও চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় বোলাররা আরও চেপে ধরে তাদের। এর পরের কিছুক্ষণ অস্ট্রেলিয়ার এমন ভাবে উইকেট পড়তে পারে, সেটা অনেকেই আন্দাজই করতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের সামনে রীতিমতো কাঁপছিল অজি ব্যাটসম্যানরা।
একটা সময়ে মাত্র ১ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় তারা। পর পর ড্রেসিংরুমে ফেরেন ম্যাথু ওয়েড, ট্র্যাভিস হেড এবং টিম পেইন। এর মধ্যে দু’টি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা, একটি নেন মহম্মদ সিরাজ। দিনের শেষ পর্যন্ত ভারত আর উইকেট পায়নি। তবে বার বার উইকেটের সুযোগ তৈরি হচ্ছিল। কোনো রকম ভাবে তা ঠেকিয়ে গিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন এবং প্যাট কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়া এখন এই টেস্টে দু’টো জিনিস বাঁচাতে পারে। একটা হল প্রবল বৃষ্টি ম্যাচের বাকি দু’টো দিন ধরেই আর অন্যটা হল গ্রিন এবং কামিন্সের মধ্যে ঐতিহাসিক কোনো জুটি। কিন্তু দু’টোই কার্যত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।
ক্রিকেট
ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।

ভারত: ৩৬৫ (পন্থ ১০১, সুন্দর ৯৬* স্ট্রোকস ৪-৮৯, আন্ডারসন ৩-৪৪)
ইংল্যান্ড: ২০৫ (স্ট্রোকস ৫৫, লরেন্স ৪৬ অক্ষর ৪-৬৮, অশ্বিন ৩-৪৭) এবং ১৩৫ (লরেন্স ৫০, রুট ৩০ অশ্বিন ৫-৪৭ অক্ষর ৫-৪৮)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচে এক ইনিংস এবং ২৫ রানে দুর্দান্ত জয়! ঘরের মাঠে ১৩তম টেস্ট সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।
শনিবার অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন বিপক্ষ ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দিল ভারত।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর পটেলের দুর্দান্ত বোলিংই এ দিন ভারতের জয়ের পথ মসৃণ করে দেয়। দুই ভারতীয় বোলারই দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে অক্ষর ৪টি এবং অশ্বিন ৩টি উইকট তুলে নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে স্কোর বোর্ডে দেড়শোর উপরে উঠতে দিলেন না দুই দাপুটে বোলার।
ইংল্যান্ড এই টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে তারা ২০৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে ১৬০ রানের লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেল আজ। এই টেস্টে অক্ষর ৯ উইকেট এবং আশ্বিন ৮ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ঋষভ পন্থ।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ২২৭ রানে জিতে এই সিরিজে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে হারিয়ে ভারত আবারও ফিরে আসে। এর পরে, দ্বিতীয় টেস্টটি দু’দিনের মধ্যেই ১০ উইকেটে জিতে নেয় ভারত। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চতুর্থ টেস্টে এক ইনিংস ও ২৫ রানে জয়ী হল ভারত। সিরিজের ফল ৩-১।
আরও পড়তে পারেন: শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
ক্রিকেট
শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে।

ইংল্যান্ড ২০৫
ভারত ২৯৪-৭ (ঋষভ ১০১, সুন্দর ৬০, অ্যান্ডারসন ৩-৪০)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেকের পর থেকে বল হাতে যতটা কামাল তিনি করেছেন, তার থেকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছেন ব্যাটে। এ হেন ওয়াশিংটন সুন্দর যদি ঋষভ পন্থের সঙ্গে ক্রিজে জমে না জেতেন, তা হলে ভারতের কপালে অবধারিত দুঃখ ছিল।
পন্থকে যত কৃতিত্ব দেওয়া যায়, কমই হবে। অত্যন্ত কঠিন পিচে যে ব্যাটিংটা তিনি করলেন তা এক কথায় দুর্দান্ত। টেস্টে পন্থের অনেক ভালো ভালো ইনিংস রয়েছে। কিন্তু তাঁর সেরা ইনিংসগুলোর তালিকা তৈরি করতে হলে, নিঃসন্দেহে এটা দু’নম্বরে আসবে, প্রথমে অবশ্যই আসবে ব্রিসবেনে ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংসটা।
মধ্যাহ্নভোজনের আগেই ভারতের চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল, দল তখনও ৯০ পেরোয়নি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমে গিয়েও স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন অজিঙ্ক রাহানে। দু’জনের জুটিটা বেশ চলছিল। রাহানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বড়ো রানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেই ইনিংসকে কাটছাঁট করে দেন জেমস অ্যান্ডারসন।
তার আগেই ভারত বড়ো চাপ খেয়ে গিয়েছে এ দিন। দিনের খেলা শুরু হওয়ার একটু পরেই পর পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলি। সিরিজে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ০ করলেন বিরাট, যা তাঁর কাছে অকল্পনীয়। দলের স্কোর তখন ৪১। এর পর চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল ইংল্যান্ড তখন ম্যাচে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু খেলা ঘুরিয়ে দিলেন পন্থই।
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে। সেই রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান পন্থ। পঞ্চাশ থেকে মাত্র এক রান কমে আউট হয়ে যান রোহিত। কিছুক্ষণ পর যখন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও আউট হন ভারত তখন ইংল্যান্ডের স্কোর থেকে ৫৯ রান দূরে।
এর পরের ঘণ্টা আড়াই আর উইকেট পড়েনি। ক্রিজে এসেই জমে যেতে শুরু করেন সুন্দর। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেন পন্থ। দু’জনের জুটি যখন একশো পেরিয়ে যায়, তখন পন্থের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৬৩। জো রুটের বলে ছক্কা মেরে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্যে দিয়েই শতরানের খরা কাটে পন্থের। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সিডনিতে শেষ বার শতরান করেছিলেন তিনি।
তবে এ দিন পন্থের ইনিংসে দু’রকম ধরন দেখা গিয়েছিল। প্রথম পঞ্চাশ তিনি করেছিলেন ঢিমেতালে খেলে। কিন্তু পরের পঞ্চাশ আসে পন্থের চিরাচরিত আগ্রাসী ঢঙেই। যদিও শতরানের পরেই পন্থ বুঝিয়ে দেন যে তিনি নিজের স্বভাব খুব একটা বদলাবেন না। কারণ শতরান থেকে এক রান বেশি করেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি।
তবে পন্থ যখন আউট হলেন ভারত ততক্ষণে লিড নিয়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এখন থেকে যা রানই আসত, সবই বোনাস। এ বার অর্ধশতরান পেরিয়ে যান সুন্দর। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোনো উইকেট পড়েনি ভারতের। লিড ক্রমশ বাড়িয়ে তারা এখন যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
ক্রিকেট
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ এবং ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টন ছাড়া কারও নাম জানা যায়নি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গেলেন ৬ জন ক্রিকেটার-সহ সাত জন। এর ফলে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে স্থগিত করে দেওয়া হল পাকিস্তান সুপার লিগ। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, “টিম মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যকে আগ্রাধিকার দিয়েই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিএসএল-৬ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে ৭ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অজি লেগ-স্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ ইতিমধ্যেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হওয়ার কথা ইসলামাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের টম ব্যান্টনও আইসোলেশনে রয়েছেন বল নিজেই জানিয়েছেন।
একজন স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফও কোভিড পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন বলে খবর। তবে বাকিদের পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। উল্লেখ্য, করোনার দাপট কিছুটা কমায় স্টেডিয়ামে ২০ শতাংশ দর্শকের উপস্থিতিতে এই টুর্নামেন্ট চলছিল। সন্দেহ কোনো ভাবেই দর্শকদের সংস্পর্শে এসেছিলেন ক্রিকেটাররা, সেখান থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ইংল্যান্ডকে স্পিনের জালে জড়িয়েও শুভমনের উইকেটে অস্বস্তিতে ভারত
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক1 day ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
ভ্রমণের খবর2 days ago
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
-
রাজ্য1 day ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা