চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ ফাইনাল রাত পোহালেই। রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত ও নিউজিল্যান্ড শিরোপার লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত। ২০০২ সালে যুগ্ম বিজয়ী এবং ২০১৩ সালের জয়ের পর ভারত নিজেদের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা জেতার সুযোগ পেয়েছে। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয়বারের মতো ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে।
ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেই পিচে, যেখানে ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল। পিচটি ধীর গতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং স্পিনাররা অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন, যেমনটি আগের ম্যাচগুলোতে দেখা গেছে।
সেই ম্যাচে কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা অসাধারণ বোলিং করে পাকিস্তানকে মাত্র ২৪১ রানে আটকে দেন। ভারতের স্পিনারদের দাপটের কারণে পাকিস্তান বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়। তবে সেই ম্যাচে বরুণ চক্রবর্তী দলে ছিলেন না, কিন্তু ফাইনালে তিনি একাদশে সুযোগ পেতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া বরুণের অন্তর্ভুক্তি ভারতের স্পিন আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করবে।
ওই ম্যাচে ভারত সহজেই টার্গেট তাড়া করে, যেখানে বিরাট কোহলি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তার ৮৪ রানের অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে ভারত ৪৫ বল হাতে রেখেই ছয় উইকেটে জয় তুলে নেয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রতিটি ম্যাচ আলাদা পিচে খেলা হয়েছে এবং সবক’টি ম্যাচেই স্পিনারদের জন্য সহায়ক পরিবেশ দেখা গেছে। স্টেডিয়ামে মোট ১০টি পিচ রয়েছে, যা অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর ম্যাথিউ স্যান্ডেরি পরিচালনা করেন। ফাইনালের জন্য নির্ধারিত পিচটি মাঠের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, ফলে দুই পাশের বাউন্ডারির মাপ প্রায় সমান থাকবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর পিচে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, তাই ফাইনালের জন্য এটি ক্লান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, আইসিসির নকআউট পর্বে ভারত ও নিউজিল্যান্ড মোট চারবার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে তিনবার ব্ল্যাকক্যাপসরা জিতেছে – ২০০০ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ও ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। একমাত্র ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারত নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল।
ফাইনালে দু’দলের লড়াই কেমন হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।