ক্রিকেট
সব হিসেব উলটে দিয়ে ব্রিসবেনে ঐতিহাসিক জয় ভারতের, বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতেও দখল

অস্ট্রেলিয়া ৩৬৯ এবং ২৯৪
ভারত ৩৩৬ এবং ৩২৯-৭ (গিল ৯১, পন্থ ৮৯ অপরাজিত, কামিন্স ৪-৫৫)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেট এতটা জমাটি খুব একটা দেখাই যায় না। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা শেষ কোন টেস্ট ম্যাচে হয়েছিল, মনে করাই যায় না প্রায়। ব্রিসবেনে ঠিক এমনটাই ঘটল।
ড্র’য়ের দিকে এগিয়ে চলা ম্যাচ শেষ ঘণ্টায় পুরোপুরি ঘুরে গেল। ঋষভ পন্থ এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটে ভর করে অনবদ্য এবং ঐতিহাসিক টেস্ট জিতে ফেলল ভারত।
শুভমন গিলের অনবদ্য ইনিংস
মঙ্গলবার ব্রিসবেন টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনটা অসাধারণ খেলে ভারত। ওই সেশনের পরেই ভারত স্বপ্ন দেখতে শুরু করে যে ফের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিটি নিজেদের দখলে রাখা সম্ভব।
এ দিন খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। ‘অনিশ্চয়তার করিডর’-এ বলটা রেখেছিলেন প্যাট কামিন্স। ব্যাট চালাতে গিয়ে খোঁচা দিয়ে দেন রোহিত। নিজেদের ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দুরন্ত ক্যাচ তালুবন্দি করেন অধিনায়ক টিম পেইন।
অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই বিশাল বড়ো ধাক্কা দিলেও দ্রুত সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ভারত। আর এর নেপথ্যে শুভমন গিল। আগ্রাসী ঢঙেই ব্যাট করতে শুরু করেন তিনি। মেলবোর্নে নিজের অভিষেক ইনিংসে যে ভাবে ব্যাট করছিলেন তিনি, এ দিনও সেটারই ঝলক ছিল। একাধিক বাউন্ডারি মারার পাশাপাশি একটি ছক্কাও হাঁকান তিনি। দ্রুত অর্ধশতরানও পূর্ণ করেন গিল।
মধ্যাহ্নভোজনের বিরতিতে ৬৪টে ব্যাট করছিলেন গিল। বিরতির পর আরও যেন বেশি করে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি।
গিলের সঙ্গে জুটিতে রান লুটছিলেন চেতেশ্বর পুজারাও। তবে গিল যে ভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ভারত সরাসরি জয়ের জন্যই ঝাঁপাচ্ছে। শুভমন আরও একটা ছক্কা হাঁকান এই সেশনে।
যখন মনে হচ্ছিল অভিষেক সিরিজেই শতরান করে ফেলবেন তিনি, তখনই দলকে ঝটকা দেন নাথান লিঁয়। তাঁর বলকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে স্টিভ স্মিথের তালুবন্দি হন শুভমন। নয় রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেও শুভমন যে লম্বা রেসের ঘোড়া হতে চলেছেন তা বলাই বাহুল্য।
বার বার আঘাত সত্ত্বেও লক্ষ্য অবিচল পুজারা
ম্যাচের প্রথম সেশনে শুভমন গিল যখন পালটা মারের পন্থা নিয়েছে তখন নিজের ক্রিজে অসম্ভব ম্রিয়মাণ ছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। কোনো তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্যশীল ইনিংস খেলার পথই বেছে নেন তিনি। কিন্তু ক্রিজে তাঁর সময়কাল আদৌ সহজ ছিল না।
লাঞ্চের লাগে অস্ট্রেলিয়ার পেসত্রয়ীর বাউন্সার বর্ষণ সামলাতে হয়েছে পুজারা। বেশ কয়েকবার হাতে লেগেছে তাঁর। কিন্তু তবুও ক্রিজ থেকে টলানো যায়নি তাঁকে। মধ্যাহ্নভোজনের বিরতিতে ৯০ বলে মাত্র ৮ রান করেছিলেন পুজারা।
কিন্তু বিরতির পর গিয়ার বদলান তিনি। কিছুটা আগ্রাসী হতে দেখা যায় তাঁকে। স্ট্রাইক রেটও বাড়ান। বাউন্ডারি মারেন বেশ কয়েকটা। দ্বিতীয় সেশনে পুজারার সংগ্রহ ছিল ৭৮ বলে ৩৫ রান। কিন্তু এই সেশনে দুটো অত্যন্ত বড়ো রকম চোট পান তিনি।
প্রথমে শর্ট বল সামলাতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে চোট পান তিনি। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মাটিতে বসে পড়েন। তবে কিছুক্ষণের শুশ্রূষায় সুস্থ হয়ে ওঠেন পুজারা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাউন্সার সামলাতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান পুজারা। তবে হেলমেট থাকার ফলে বড়োসড়ো কিছু হয়নি।
এই সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে চা বিরতির কিছু পরেই অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। শেষে কামিন্সের সৌজন্যে তাঁর ২১১ বলের ইনিংস যখন শেষ হয়, তখন ভারত ম্যাচ হারের ভয় কার্যত কাটিয়ে উঠেছে।
পেসত্রয়ীর হুমকি সামলে ভারতের জয়
এ দিকে ম্যাচের যখন ২০ ওভারেরও বেশি বাকি তখন পুজারা আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। দ্রুত আরও দুটো উইকেট পড়ে গেলেই অস্ট্রেলিয়া উজ্জীবিত হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেটা হতে দিলেন না ঋষভ পন্থ।
তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সিডনিতে তিনি একাই ভারতকে কার্যত জিতিয়ে দিচ্ছিলেন। এ দিনও প্রয়োজনের সময়ে উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি। মাঝেমধ্যে দু’একটি ঝুঁকিপূর্ণ খেলছিলেন তিনি। কিন্তু মোটের ওপরে ধৈর্যশীল ভাবেই ভারতের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান তিনি।
তবে একটা সময়ে কিন্তু ভারতের জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের শেষ ঘণ্টাটি যখন শুরু হল তখন ভারতের প্রয়োজন ১৫ ওভারে ৬৯। ভারত কিন্তু প্রথম দিকে শট খেলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পরে গুটিয়ে নিতে শুরু করে নিজেদের। পন্থ অর্ধশতরান করলেও বেশ ম্রিয়মাণ ছিলেন। মনে হচ্ছিল ড্র’য়ের দিকেই এগোবে ম্যাচ।
কিন্তু খেলার যখন ৭ ওভার বাকি, আচমকা ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। প্যাট কামিন্সকে পর পর দু’বলে ছয় চার মেরে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এর ঠিক পরের ওভারেই ন্যাথান লিঁয়র বিরুদ্ধে ১৩ রান তোলে ভারত। ছয় ওভারে ২৪-এ নেমে আসে ভারতের প্রয়োজনীয়তা।
ভারত যখন প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে তখন আচমকা বোল্ড হয়ে যান ওয়াশিংটন। তবে ততক্ষণে ম্যাচ ভারতের দখলে কার্যত এসে গিয়েছে। ভারতের জয়ের জন্য তিন রান বাকি শার্দূল ঠাকুর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। এর পর আর সিঙ্গলের ওপরে ভরসায় না থেকে সোজা চার মেরে দেন পন্থ।
৩২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে গেলে ভারত।
ক্রিকেট
স্টেডিয়ামে অদ্ভুত কিছু বিপত্তির পর অমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন চালকের আসনে ভারত
অক্ষর পটের ছয় উইকেটের পর অর্ধশতরান রোহিতের।

ইংল্যান্ড ১১২ (ক্রলি ৫৩, রুট ১৭, অক্ষর ৬-৩৮)
ভারত ৯৯-৩ (রোহিত ৫৭ অপরাজিত, বিরাট ২৭, লিচ ২-২৭)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পথ চলা শুরুর দিন নানা রকম বিপত্তি। বার দুয়েক ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যাওয়া, খেলা চলাকালীন নিরাপত্তার বেষ্টনী এড়িয়ে পিচের কাছাকাছি এক ভক্তের চলে আসা, এই সব ঘটনা ঘটল অমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন।
কল্পনা করুন কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ওই ভক্ত যদি ক্রিকেটারদের কাছাকাছি পৌঁছে যেতেন, তা হলে কী হত! জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরিয়ে যেতে হত সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের। হয়তো এই টেস্টে আর নাও খেলতে পারতেন তাঁরা, হয়তো কোভিড নেগেটিভ টেস্ট করিয়ে তার পর ঢুকতে হত বলয়ের মধ্যে। যাই হোক, নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়নি।
তবে এই সব বিপত্তিতে ভারতের পক্ষে একটি দুর্দান্ত দিন গেল। প্রথম পঞ্চাশ ওভারের মধ্যেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আপাতত ভারত বেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থাতেই রয়েছে।
স্বপ্নের অভিষেক সিরিজ চলছে অক্ষর পটেলের। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলেছিলেন তিনি। এ বার তার সঙ্গে আরও একটা যোগ করে ফেললেন তিনি। ঘরের মাঠেই ব্রিটিশদের আধ ডজন উইকেট তুলে নিলেন অক্ষর। আর তাতেও মাত্র ১১২ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গোলাপি বল সুইং বেশি করে, এমনই ধারণা। ২০১৯-এ ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন রাতের টেস্টে সবকটা উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসাররাই। তাই মনে করা হচ্ছিল ভারত হয়তো বাড়তি পেসার নিয়ে এ দিন মাঠে নামবে। কিন্তু সেটা না করে তিন স্পিনার আর দুই পেসার ফর্মুলাতেই দল নামান কোহলি।
সেই সিদ্ধান্তটা দুরন্ত একটা সিদ্ধান্ত ছিল, সেটা বোঝা গেল। এ দিন প্রথম উইকেটটা নেন শততম টেস্ট খেলতে নামা ইশান্ত শর্মা। তাঁর আউটসুইং বলটাকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে দেন ডম সিবলি। তার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম জুড়ে স্পিনারদেরই দাপট।
শুরুটাও করেছিলেন অক্ষরই। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন তিনি। এর পর জো রুট এবং জ্যাক ক্রলির মধ্যে সুন্দর একটি জুটি তৈরি হয়। দুর্দান্ত খেলছিলেন ক্রলি। তাঁর কভার ড্রাইভগুলো দৃষ্টিনন্দন ছিল। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করে ফেলেন ক্রলি, তার পরেই ইংল্যান্ডের উইকেট-পতন শুরু।
অক্ষরের সঙ্গে যোগ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তবে দাপট বেশ কিছু অক্ষরের। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ১০০ করতে পারবে কি না। যাই হোক, সেই লক্ষ্যমাত্রাটা তারা পেরিয়ে যায়। এ দিকে, তিন উইকেট নেওয়ার পর চারশো ঊইকেট থেকে এখন আর মাত্র তিন উইকেট দূরে রইলেন অশ্বিন। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই সেই রেকর্ড করে ফেলবেন তিনি।
অ্যান্ডারসন, ব্রড এবং আর্চার সম্বিলিত পেস আক্রমণটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা। এই পেস ত্রয়ীর সামনের ভারতের ওপেনিং জুটি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিল। তবে দ্রুত সেই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসেন রোহিত শর্মা। যদিও শুভমন গিলের আচমকা খারাপ ফর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে।
চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই রান পাননি তিনি। এ দিনও শুরুতে মারাত্মক আড়ষ্ট ছিলেন তিনি। তবুও সেই আড়ষ্টতা কাটানোর জন্য দুটো দুরান্ত শট মারলেও জোফ্রা আর্চারের বাউন্সার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হন তিনি।
এ দিন খেলা শুরুর আগে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন তিনি চেতেশ্বর পুজারার ব্যাটে দ্বিশতরান দেখতে চান। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এ দিন কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান পুজারা। তাঁর পা কে উইকেটের সামনে পেয়ে যান জ্যাক লিচ।
এর পর রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমতে শুরু করেন বিরাট কোহলি। নিজের চেনা ছন্দে খেলেই দুরন্ত অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন রোহিত। চেন্নাইয়ে শতরানের পর আরও একটা শতরানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি।
তবে বিরাট নিজের চেনা ছন্দে ছিলেন না। সুন্দর কয়েকটি স্ট্রোক খেললেও ক্রিজে মাঝেমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অ্যান্ডারসনের বলে স্লিপে তাঁর ক্যাচও ফস্কান ওলি পোপ। যদিও ইংল্যান্ড শিবিরের বিন্দুমাত্র কোনো ক্ষতি হয়নি তাতে। দিনের খেলা শেষে কিছু আগেই তাঁর উইকেটটি তুলে নেন জ্যাক লিচ।
তবুও ইংল্যান্ডের রান এতটাই কম যে এটা বলতেই হয় যে টেস্টের প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে বসে রয়েছে ভারত। দ্বিতীয় দিন নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করে ফেলতে পারে বিরাটবাহিনী।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
নরেন্দ্র মোদীর নামে স্টেডিয়াম! এক দিকে আদানি, অন্য প্রান্তে রিলায়েন্স, কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর

খবরঅনলাইন ডেস্ক: স্বপ্নের অভিষেক সিরিজ চলছে অক্ষর পটেলের। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলেছিলেন তিনি। এ বার তার সঙ্গে আরও একটা যোগ করে ফেললেন তিনি। ঘরের মাঠেই ব্রিটিশদের আধ ডজন উইকেট তুলে নিলেন অক্ষর। আর তাতেও মাত্র ১১২ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গোলাপি বল সুইং বেশি করে, এমনই না কি ধারণা। ২০১৯-এ ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন রাতের টেস্টে সব ক’টা উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসাররাই। তাই মনে করা হচ্ছিল ভারত হয়তো বাড়তি পেসার নিয়ে এ দিন মাঠে নামবে। কিন্তু সেটা না করে তিন স্পিনার আর দুই পেসার ফর্মুলাতেই দল নামান কোহলি।
সেই সিদ্ধান্তটা দুরন্ত একটা সিদ্ধান্ত ছিল, সেটা বোঝা গেল। এ দিন প্রথম উইকেটটা নেন শততম টেস্ট খেলতে নামা ইশান্ত শর্মা। তাঁর আউটসুইং বলটাকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে দেন ডম সিবলি। তার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম জুড়ে স্পিনারদেরই দাপট।
শুরুটাও করেছিলেন অক্ষরই। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন তিনি। এর পর জো রুট এবং জ্যাক ক্রলির মধ্যে সুন্দর একটি জুটি তৈরি হয়। দুর্দান্ত খেলছিলেন ক্রলি। তাঁর কভার ড্রাইভগুলো দৃষ্টিনন্দন ছিল। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করে ফেলেন ক্রলি, তার পরেই ইংল্যান্ডের উইকেট-পতন শুরু।
অক্ষরের সঙ্গে যোগ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তবে দাপট বেশ কিছু অক্ষরের। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ১০০ করতে পারবে কি না। যাই হোক, সেই লক্ষ্যমাত্রাটা তারা পেরিয়ে যায়। এ দিকে, তিন উইকেট নেওয়ার পর চারশো ঊইকেট থেকে এখন আর মাত্র তিন উইকেট দূরে রইলেন অশ্বিন। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই সেই রেকর্ড করে ফেলবেন তিনি।
অক্ষর ছয় উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে ভারতীয় টেস্ট দলে লম্বা রেসের ঘোড়া হতে তিনি তৈরি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদীর নামে
ক্রিকেট
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদীর নামে
মোতেরার বদলে এখন থেকে স্টেডিয়ামটি নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত হবে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: নিজের নামাঙ্কিত ক্রিকেট স্টেডিয়ামও পেয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, তথা অমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম হল মোদীর নামে। মোতেরার বদলে এখন থেকে স্টেডিয়ামটি নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত হবে।
বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উদ্বোধন করেন মোতেরার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের। যদিও ক্রিকেট স্টেডিয়াম-সহ গোটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় সর্দার প্যাটেলের নামে। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ভুমিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ প্রমুখ।
অসুস্থতার কারণে এ দিন স্টেডিয়াম উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিজের সৌরভের বক্তব্য তুলে ধরা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
ভারতে ক্রীড়া স্টেডিয়ামের নামকরণ রাজনীতিবিদদের নামে হয়েছে, এমন উদাহরণ রয়েছে অজস্র। দেশের এক গাদা স্টেডিয়ামের নাম জওহরলাল নেহরু, রাজীব গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীর নামে। ২০১৯-এ দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার নামকরণ হয়েছে অরুণ জেটলির নামে। এ বার নরেন্দ্র মোদীর নামেও হল ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
টসে জিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং, দুই পেসারেই নামল ভারত
-
প্রযুক্তি5 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
বিনোদন2 days ago
পর্ন ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ থেকে আয় কোটি টাকা, অ্যাপের মাধ্যমে চিত্রনাট্য-সহ পরিবেশিত হচ্ছে অশ্লীলতা
-
রাজ্য2 days ago
দেড় ঘণ্টা পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়লেন সিবিআই আধিকারিকরা