আগামী ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বহু প্রতীক্ষিত নিলাম। কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) এই মরশুমে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে অংশ নিচ্ছে। গতবার অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে তারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে (এসআরএইচ) হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল। লিগ পর্বের শীর্ষস্থান দখল করে প্লে-অফে ওঠে এবং সানরাইজার্সকে কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনালে পরাজিত করে ট্রফি হাতে তোলে কেকেআর।
তবে এই মরশুমে কেকেআর-এর পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। তাদের পরামর্শদাতা হিসাবে ফিরে আসা গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ায় দল থেকে সরে গেছেন। কেকেআর তাদের ৬ জন খেলোয়াড়কে রিটেন করেছে, যার মধ্যে রয়েছেন রিঙ্কু সিং (১৩ কোটি টাকা), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি টাকা), সুনীল নারিন (১২ কোটি টাকা), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি টাকা), হর্ষিত রানা (৪ কোটি টাকা) এবং রমনদীপ সিং (৪ কোটি টাকা)। তবে তাদের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে রিলিজ করে দেওয়ার ফলে নতুন অধিনায়কের প্রয়োজন রয়েছে। এই রিটেনশনের পর তাদের হাতে বাকি আছে ৫১ কোটি টাকার বাজেট।
এই মরশুমের আগে কেকেআর কিছু হেভিওয়েটকে রিলিজ দিয়েছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন নীতিশ রানা, রহমতউল্লাহ গুরবাজ, শ্রেয়স আইয়ার, জেসন রয়, সায়শ শর্মা, অনুকূল রায়, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বৈভব অরোরা, কেএস ভারত, চেতন সাকারিয়া, আঙ্করিশ রঘুবংশী, শেরফেন রাদারফোর্ড, মণীশ পাণ্ডে, মুজিব উর রহমান, গাস অ্যাটকিনসন এবং সাকিব হাসান।
কেকেআরের কাজ এখন ওপেনিং পার্টনার খোঁজা। ফিল সল্টকে ছেড়ে দেওয়ার পর কেকেআর তাদের ওপেনিংয়ের জন্য একটি নতুন পার্টনার খুঁজছে। সল্ট বর্তমানে ভালো ফর্মে রয়েছেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে নিলামে দাম অনেক বেশি হতে পারে। তাই তাঁকে নিলে কেকেআর-এর বাজেটে বড়সড় টান পড়তে পারে।
সল্টের মূল্য কেকেআর-এর সামর্থ্যের বাইরে হলে, তারা রহমতউল্লা গুরবাজকে টার্গেট করতে পারে। গুরবাজের আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনার সুযোগ আছে। এছাড়া টম ব্যান্টনকেও তারা আবার দলে নিতে পারে। ভারতীয় উইকেটকিপারের জন্য কেকেআর-এর বিকল্প হিসেবে রয়েছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন, ঈশান কিষাণ এবং জিতেশ শর্মা।
স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসাবে সিদিকুল্লা আতালও কেকেআর-এর বিবেচনায় আসতে পারেন। আফগানিস্তানের এই ব্যাটসম্যান একবার টি২০ ম্যাচে একটি ওভারে সাতটি ছক্কা মেরেছিলেন এবং তিনি ওমানের মাসকটে অনুষ্ঠিত মেন’স ইমার্জিং এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।
এইভাবে কেকেআর এই নিলামে তাদের দলের দুর্বলতা পূরণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের জন্য বিড করতে পারে।