ক্রিকেট
“ওর ভয়ে গুটিয়ে থাকতাম, লুকোনোর জায়গা খুঁজতাম,” প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সম্পর্কে বললেন কপিল দেব

খবরঅনলাইন ডেস্ক: নিঃসন্দেহে ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের মধ্যে একজন তিনি। তাঁর হাত ধরেই ভারত প্রথম বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছেন। অধিনায়ক ছিলেন যে হেতু, সহ-খেলোয়াড়রা নিশ্চয় তাঁকে সমীহ করে চলতেন। এ হেন কপিল দেবই (Kapil Dev) এমন একজনের অধিনায়কত্বে খেলেছেন, যাঁর ভয়ে নাকি তিনি গুটিয়ে থাকতেন, লুকোনোর জায়গা খুঁজতেন।
তিনি শ্রীনিবাস বেঙ্কটরাঘবন (Srinivas Venkataraghavan)। বিষেণ সিংহ বেদীর অধিনায়কত্বে কপিলের অভিষেক হলেও বেঙ্কটের অধিনায়কত্বে চারটে টেস্ট আর তিনটে একদিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
কপিলের দাবি, তাঁর মুখ দেখলেই না কি রেগে আগুন হয়ে যেতেন বেঙ্কট। কপিলের কথায়, “আমি ওকে খুব ভয় পেতাম। প্রথমত ও সব সময়ে ইংরেজিতে কথা বলত, আর দ্বিতীয়ত ওর রাগ ছিল সাংঘাতিক।”
কপিল যোগ করেন, “১৯৭৯-তে আমরা ইংল্যান্ড সফরে যাই। আমি সব সময়ে চেষ্টা করতাম এমন একটা জায়গায় থাকতে, যাতে ওর সঙ্গে আমার বেশি কথা না হয়। সে সময়ে আমাদের দলে বেদী, প্রসন্ন, চন্দ্রশেখর ছিল। তারা ওর বকুনি খেত না। কিন্তু ওর যাবতীয় রাগ এসে পড়ত আমার ওপর।”
এর পর ১৯৮৩ সালের একটি ঘটনার কথা বলেন কপিল। তখন তিনি অধিনায়ক আর বেঙ্কট তাঁর সহ-খেলোয়াড়। কপিলের কথায়, “আমি আগে সব সময়ে ওকে ‘স্যার’ বলতাম। এই সিরিজ থেকে বেঙ্কি বলে ডাকা শুরু করি।”
কপিল বলে চলেন, “বার্বাডোজে একটি টেস্ট খেলছি। বাউন্সি পিচ বলে পেসারদের বেশি সময়ে দিচ্ছি। এর পর বেঙ্কির বদলে প্রথমে রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে এলাম। স্লিপে দাঁড়িয়ে ছিল বেঙ্কি। হঠাৎ রেগে গিয়ে বলতে শুরু করল, ‘কপিল, আমি কি তোমায় বলেছি যে আমি বল করব না?’ আমি বুঝতে পারতাম না যে তখন আমি অধিনায়ক না কি বেঙ্কি।”
উল্লেখ্য, বেঙ্কটের অধিনায়কত্বে ভারত ১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামে। পরবর্তীকালে তিনি একজন সফল আম্পায়ারও হন।
ক্রিকেট
অস্ট্রেলিয়ায় চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন হার্দিক পাণ্ড্য
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কিছু দিন আগেই আকস্মিক ভাবে বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। খুব একটা অসুস্থতা ছিল না, তাই বাবার এমন ভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না হার্দিক পাণ্ড্য। তবে সেই ঘটনার কয়েক দিন পরেই একটা ভালো খবর এল পাণ্ড্য পরিবারে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট দলে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। অনেক কিছু প্রত্যাশিত থাকলেও, হার্দিকের দলে ঢোকাটা কিঞ্চিৎ অপ্রত্যাশিতই ছিল।
অস্ট্রেলিয়ায় একদিনের এবং টি২০ সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন হার্দিক। তখন থেকেই টেস্ট দলে তাঁকে ঢোকানোর দাবি উঠছিল। কিন্তু বিসিসিআই তখন সেই পথে হাঁটেনি। তবে দু’ মাস পর ফের সাদা জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ করে দিলেন হার্দিককে।
এ দিকে, অস্ট্রেলিয়ায় তিনটে টেস্টের মধ্যে দু’টো জিতে, একটি ড্র করে এবং সর্বোপরি ভাঙাচোরা টিম নিয়ে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি জিতে নেওয়ায় ক্রিকেটভক্তদের একটা অংশ দাবি করছিলেন বিরাট কোহলিকে সরিয়ে অজিঙ্ক রাহানে অধিনায়ক করা হোক। যদিও সেই পথে হাঁটেনি ভারতের নতুন নির্বাচক কমিটি।
প্রত্যাশামতোই পিতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন বিরাট। এবং তিনিই যে ভারতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক তাতে কোনো সন্দেহই নেই। একা কোহলিই নয, চোট সারিয়ে দলে ফিরছেন অভিজ্ঞ পেসার ইশান্ত শর্মা।
তবে ১৮ জনের স্কোয়াডে নাম নেই ব্রিসবেনে অভিষেক হওয়া টি নটরাজনের। বাদ পড়েছেন নবাগত পেসার। চোটের জন্য প্রথম দু’টি ম্যাচের দলে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, হনুমা বিহারী ও রবীন্দ্র জাদেজার। লোকেশ রাহুলকে মূল স্কোয়াডে জায়গা করে দেওয়া হলেও তাঁকে ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হবে। ফিট হলে তবেই তিনি টেস্ট স্কোয়াডে থাকবেন।
ভারতে খেলা হবে বলে বাড়তি স্পিনার হিসেবে অক্ষর প্যাটেল দলে ঢুকেছেন। গাব্বায় চমকে দেওয়া পারফর্ম্যান্সের সুবাদে টেস্ট দলে জায়গা ধরে রেখেছেন শার্দুল ঠাকুর ও ওয়াশিংটন সুন্দর। মূল দলের পাশাপাশি স্ট্যান্ড-বাই ক্রিকেটার ও নেট বোলারের পুলও ঘোষণা করা হয়েছে। স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে রয়েছেন বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরন।
ভারতের স্কোয়াড: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, ময়াঙ্ক আগরওয়াল, বিরাট কোহলি (ক্যাপ্টেন), চেতেশ্বর পুজারা, অজিঙ্ক রাহানে, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), হার্দিক পাণ্ড্য, লোকেশ রাহুল (ফিটনেট টেস্টে পাশ করলে), জসপ্রীত বুমরাহ, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সিরাজ, শার্দুল ঠাকুর, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, ওয়াশিংটন সুন্দর ও অক্ষর প্যাটেল।
স্ট্যান্ড-বাই: কেএস ভরত (উইকেটকিপার), অভিমন্যু ঈশ্বরন, শাহবাজ নদিম ও রাহুল চাহার।
নেট বোলার: অঙ্কিত রাজপুত, আবেশ খান, সন্দীপ ওয়ারিয়র, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও সৌরভ কুমার।
ক্রিকেট
অভাবনীয় প্রতিজ্ঞা, অদম্য জেদ-সংকল্প’, রাহানেদের ‘নয়া ভারত’-র জয়ে উচ্ছ্বাস মোদীর
প্রতিক্রিয়া দিলেন সচিন তেনডুলকরও।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, এটা ‘নয়া ভারত’। সিরিজ যখন শেষ হল, তখন তিনি সেই দলে না থাকলেও তাঁর ‘নয়া ভারত’ অনবদ্য এবং অতিহাসিক রেকর্ড গড়ে সিরিজটাই পকেটে পুড়ে নিল।
এই ‘নয়া ভারত’-এর ঐতিহাসিক জয়ে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ম্যাচ শেষ হতেই টুইটারে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
ঋষভ পন্তের জয়সূচক শটের পরেই টুইটারে মোদী লেখেন, “অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্যে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। পুরো সিরিজ জুড়েই তাঁদের অসামান্য শক্তি এবং আবেগ স্পষ্টত দেখা গিয়েছে। যেমন তাঁদের অভাবনীয় প্রতিজ্ঞা, অদম্য জেদ এবং সংকল্পের প্রমাণ মিলেছে। ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা।”
শুধু মোদী নন, সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে টুইটার। জয়ের মাহাত্ম্য যে কতটা, তা প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারদের দেখেই বোঝা গিয়েছে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই টুইট করেন সচিন তেন্ডুলকর লেখেন, “প্রতিটি সেশনে আমরা নতুন নায়ক খুঁজে পেয়েছি। যখনই আমরা ধাক্কা খেয়েছি, আমরা একসঙ্গে উঠে দাঁড়িয়েছে। ভয়ডরহীন খেলার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে যে সীমা আছে, তা ছাপিয়ে গিয়েছি।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ক্রিকেট
‘অ্যাডিলেডের পর যারা আঙুল তুলেছিলেন, তাঁরা এ বার দেখুন’ ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরাট কোহলি
কোহলির নেতৃত্বে দু’বছর আগেও অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতেছিল ভারত।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: প্রথম টেস্টে লজ্জার হারের পর একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। বিরাট কোহলি দেশে ফিরে যাওয়ায় ভারতকে হোয়াইটওয়াশের মুখেও পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে।
কিন্তু সব হিসেব উলটে দিয়ে ব্রিসবেনে ঐতিহাসিক জয় পেল ভারত। আর তার পরেই টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরাট কোহলি।
সেই জয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক কোহলি। যাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয়ের পরও স্মিথ এবং ওয়ার্নারের অনুপস্থিতির কারণে কোথাও একটা খুঁত ছিল বলে মনে করতেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
এ দিন টুইটারে বিরাট বলেন, “দুর্দান্ত জয়! ইয়েসসসস! অ্যাডিলেডের পর যাঁরা আমাদের নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তাঁরা সামনে এসে দেখে নিন। দৃষ্টান্তমূলক পারফরম্যান্স। সার্বিক ভাবে জেদ এবং সংকল্প সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ছেলেদের এবং দলের ম্যানেজমেন্ট দুর্দান্ত কাজ করেছেন। ছেলেরা এই ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করো।”
উল্লেখ্য, অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বে ভারতের এমন জয়ের পরে ক্রিকেটভক্তদের একটা অংশ তাঁকেই বরাবরের জন্য অধিনায়ক করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। যদিও বিসিসিআইয়ের তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। মঙ্গলবারই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষিত হবে, তাতে যে কোহলিই অধিনায়কত্বের ব্যাটন ফিরে পাবেন, তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
১৭ বছর আগের এমনই একটা দিনের সঙ্গে কত মিল!
-
রাজ্য24 hours ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
দেশ2 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
রাজ্য2 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
ফুটবল2 days ago
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান