রাহুল ত্রিপাঠী, বেঙ্কটেশ আইয়ারের বিধ্বংসী ব্যাটিং, মুম্বইকে গুঁড়িয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এল কেকেআর

0
কেকেআরের জয়।
জয়ের দুই নায়ক - রাহুল ত্রিপাঠী ও বেঙ্কটেশ আইয়ার। ছবি IPL Twitter থেকে নেওয়া।

মুম্বই: ১৫৫-৬ (কুইন্টন ৫৫, রোহিত ৩৩, ফার্গুসন ২-২৭)

কেকেআর: ১৫৯-৩ (১৫.১ ওভার) (ত্রিপাঠী ৭৪ নট আউট, বেঙ্কটেশ ৫৩, বুমরাহ ৩-৪৩)

আবু ধাবি: রাহুল ত্রিপাঠী ও বেঙ্কটেশ আইয়ারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে এ বারের আইপিএল লিগ টেবিলে প্রথম চারে চলে এল কলকাতা নাইটরাইডার্স। মাত্র ১৫.১ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কেকেআর। ৪২ বলে ৭৪ রান করে ত্রিপাঠী নট আউট থাকলেন। বেঙ্কটেশ করলেন ৩০ বলে ৫৩।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। শুরুতেই নীতীশ রানাকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়ে চমকে দেয় তারা। যদিও এই ফাটকা কাজে লাগেনি। কারণ প্রথম বলেই চার মেরে নিজের ইনিংস শুরু করেন দলে ফিরে আসা রোহিত শর্মা।

কুইন্টন ডে কককে নিয়ে রোহিত শর্মার জুটি এগিয়ে চলে। পাওয়ার প্লে-তে একটিও উইকেট পায়নি কেকেআর। স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ৫৬ রান। কেকেআরের বোলারদের ওপরে কার্যত শাসন চালিয়ে যান মুম্বইয়ের দুই ওপেনার।

দশম ওভার পর্যন্তও কোনো সাফল্য পায়নি কেকেআর। যদিও মুম্বইয়ের রানরেটকে কমিয়ে দিতে কিছুটা সফল হয় তারা। এর পরেই অবশ্য খেলার মোড় ঘুরে যায়। প্রথমেই সুনীল নারিনের বলে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান রোহিত।

এর পর ধাক্কা দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। কেকেআর পেসারের বলে ফিরে যান সূর্যকুমার। তবে কুইন্টন নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। অর্ধশতরান পেরিয়ে যান তিনি। সেই সঙ্গে মুম্বইয়ের রান একশোর গন্ডি পেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্বিতীয় সাফল্য পান প্রসিদ্ধ। ফিরিয়ে দেন কুইন্টনকে।

ক্রমশ ব্যাটফুটে চলে যায় মুম্বই। মারকুটে ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণকে ফিরিয়ে দেয় আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত ক্যাচ। ক্রিজে পোলার্ড এবং ক্রুণাল পাণ্ড্য থাকলেও রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি মুম্বই। তারাও এক এক করে আউট হয়ে যান। লকি ফার্গুসনের দুরন্ত শেষ ওভারের সৌজন্যে ১৬০-ও পেরোতে পারেনি মুম্বই। আটকে যায় ১৫৫ রানেই।

কেকেআরের জবাব

১৫৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামেন কেকেআর-এর দুই ওপেনার শুভমন গিল ও বেঙ্কটেশ আইয়ার। গোড়া থেকেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন বেঙ্কটেশ। মুম্বইয়ের পেসার বুমরাহ তার ওপর কোনো সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারেননি। গিল শুরুটা মন্দ করেননি। কিন্তু বেশি দূর এগোতে পারলেন না। ৯ বলে ১৩ রান করে বুমরাহের বলে যখন বোল্ড হলেন ততক্ষণে দলের স্কোর ৪০-এ উঠে গেছে। এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণ বেঙ্কটেশের।

বেঙ্কটেশের সাথী হলেন রাহুল ত্রিপাঠী। রান উঠতে লাগল ঝড়ের গতিতে। দুই ব্যাটসম্যানের ওপর কোনো ছাপই ফেলতে পারলেন না মুম্বইয়ের বোলাররা। মাত্র ৯.৩ ওভারে দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের দৌলতে কেকেআর পৌঁছে গেল ১০০ রানে। আইপিএল-এ বেঙ্কটেশ তাঁর প্রথম অর্ধশত রানও করে ফেললেন মাত্র ২৫ বলে।

কেকেআর-এর ব্যাটিং-এ বিন্দুমাত্র লাগাম টানতে পারল না মুম্বই। দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে ৬ মেরে নিজের অর্ধশত রান করলেন ত্রিপাঠী। ত্রিপাঠী ৫০-এ পৌঁছোলেন মাত্র ২৯ বলে।

৩০ বলে ৫৩ করে দলের ১২৮ রানের মাথায় বিদায় নিলেন বেঙ্কটেশ। বুমরাহের বলে তাঁর লেগ স্টাম্প উপড়ে গেল। ত্রিপাঠীর সঙ্গী হলেন দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। মরগ্যানের অফ ফর্ম কিন্তু অব্যাহত। তাঁকেও নিলেন বুমরাহ। ৮ বলে ৭ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়নের পথে পা বাড়ালেন অধিনায়ক।

তাতে কোনো অসুবিধা হয়নি কলকাতার। তখন জয়ের জন্য বাকি ছিল মাত্র ৯ রান। সেই রান ভাগাভাগি করে তুলে নিলেন নীতীশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠী।

আরও পড়তে পারেন

হায়দরাবাদকে সহজে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানে উঠল দিল্লি

গ্যালারিতে রয়েছেন মহিলারা, তাই আফগানিস্তানে আইপিএলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিল তালিবান

কার্তিক ত্যাগীর অনবদ্য শেষ ওভার, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পঞ্জাবকে হারিয়ে দিল রাজস্থান

বিজ্ঞাপন