ক্রিকেট
হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইপিএলে তিন নম্বর ম্যাচ জিতল মুম্বই

মুম্বই: ২০৮-৫ (ডে কক ৬৭, কিষাণ ৩১, সন্দীপ ২-৪১)
হায়দরাবাদ: ১৭৪-৭ (ওয়ার্নার ৬০, পাণ্ডে ৩০, বোল্ট ২-২৮)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: শারজায় যে ভাবে রানের বন্যা বয়ে যায়, সেই রকম ম্যাচ রবিবার হল না। মুম্বই কোনো রকমে দুশো পার করে হায়দরাবাদকে আটকে রাখল দুশোর নীচেই। বেঙ্গালুরু, দিল্লির পর তৃতীয় দল হিসেবে চলতি আইপিএলে তিন নম্বর জয়টি পেল মুম্বই।
যে মঞ্চে জ্বলে ওঠার কথা ছিল হার্দিক পাণ্ড্য, সেখানে জ্বলে উঠলেন তাঁর দাদা ক্রুণাল। ইনিংসের শেষ চারটে বলে ৫০০-এর স্ট্রাইক রেটে কুড়ি রান করলেন তিনি। আর তার ফলেই রবিবার দুশো অতিক্রম করল মুম্বই।
শারজার পিচে কোনো দল দুশো অতিক্রম করতে না পারলে সেটা ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু এ দিন মুম্বইয়ের ব্যাটিং দেখে কখনোই মনে হয়নি তারা দুশো পেরোবে। এমনকি শেষ ওভার যখন শুরু হচ্ছে, তখনও দুশো থেকে অনেকটাই দূরে তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে আউট হলেন হার্দিক। তাঁর জায়গা নিলেন ক্রুণাল। প্রথম বল ছয়ে, দ্বিতীয় বলে চার, তৃতীয় বলে চার আর চতুর্থ বলে আবার ছয়।
শারজার ছোটো মাঠে কুইন্টন ফর্মে ফিরলেও নিজেদের ইনিংসের রান রেট কখনোই দশের ওপরে নিতে যেতে পারেনি মুম্বই। এর জন্য অবশ্য দু’একটা ওভারও দায়ী। এই মাঠ রোহিত শর্মার ক্ষেত্রে আদর্শ ছিল। তুলে বল পাঠাবেন গ্যালারিতে তিনি। প্রথম ওভারে একটা বলকে পাঠিয়েও ছিলেন গ্যালারির বাইরে। কিন্তু ওখানেই শেষ। সন্দীপ শর্মার ওয়াইড বল তাড়া করতে গিয়ে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
শারজার পিচ বোলারদের কাছে যম। কিন্তু এ দিন হায়দরাবাদের বোলাররা তুলনামূলক ভাবে ভালোই বল করছিলেন। একমাত্র সিদ্ধার্থ কউল ছাড়া প্রভাব ফেলেছেন সবাই। মাঝের ওভারে মুম্বইয়ের রানের গতি আটকে দিয়েছিলেন রশিদ খান।
গত চারটে ম্যাচে ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না সাউথ আফ্রিকার নতুন অধিনায়ক কুইন্টন ডে কক। ছোটো মাঠ পেয়ে ফর্মে ফিরে আসেন তিনি। দুর্দান্ত অর্ধশতরান করে ফেলেন তিনি। তবে শেষের পাঁচ ওভারে মুম্বই বেশ কিছুটা ঝুলিয়েছে।
শারজায় বর্তমানে শেষ পাঁচ ওভারে গড়ে ৮০ থেকে ৯০ রান উঠছে। সেখানে মুম্বই তুলেছে ৬০। এর মধ্যে কুড়ি রান এসেছে শেষ চারটে বলে। অর্থাৎ, ইনিংসের শেষ দিকে ২৬ বলে মাত্র ৪০ রান করেছিল তারা। তাও আবার তখন ক্রিজে ছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য আর কায়রন পোলার্ড। শারজার পক্ষে এটা স্বাভাবিকের থেকে কম স্কোর সেটাই বলেই দেওয়া যায়।
তা শারজার পিচে ২০৮ খুব একটা বড়ো স্কোর যে নয়, সেটা আগের ম্যাচগুলি দেখেই বোঝা গিয়েছে। আর বিপক্ষে যদি ডেভিড ওয়ার্নার আর জনি বেয়ারস্টোর মতো মারকুটে ওপেনার থাকে, তা হলে যে কোনো স্কোরই কম মনে হতে পারে।
শুরুর দিকে একদমই ছন্দে ছিলেন না ওয়ার্নার। টাইমিং পাচ্ছিলেন না একদম। রীতিমতো সংঘর্ষ করছিলেন। অন্য দিকে বেয়ারস্টো ছন্দেই ছিলেন, কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মুম্বইয়ের বোলাররাও খারাপ কিছু বল করেননি। তবে প্রথম দিকে বেশি নজর কেড়েছিলেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। মনীশ পাণ্ডের পাশাপাশি ওয়ার্নারকেও আটকে দিয়েছিলেন তিনি।
হায়দরাবাদ যখন নবম ওভারে তখন সবে ১৮টা বল খেলার সুযোগ হয়েছে ওয়ার্নারের। ১০০ স্ট্রাইক রেট রেখে রান করে যাচ্ছিলেন। তবে ওই পরিস্থিতি থেকেই খেলায় ফিরতে শুরু করেন ওয়ার্নার। দু’একটা বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েও দেন তিনি। কিন্তু তবুও নিজের পুরোনো ছন্দে ফিরতে পারেননি ওয়ার্নার।
বলা যেতে পারে, হায়দরাবাদের এ দিনের ফলের জন্য ওয়ার্নারের এই ধীরগতির ইনিংস অনেকটাই দায়ী। ১৬তম ওভারে ওয়ার্নার যখন আউট হলেন তখন ম্যাচ হায়দরাবাদের হাতের বাইরে প্রায় বেরিয়ে গিয়েছে। তখন ৬৫-এর বেশি রান দরকার তাদের।
ওয়ার্নার আউট হয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব এসে পড়েছিল অভিষেক শর্মা আর কাশ্মীরের আব্দুল সামাদের ওপরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ নামডাক হয়েছে সামাদের মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু জসপ্রীত বুমরাহ, জেমস প্যাটিনসন এবং ট্রেন্ট বোল্টের মতো বোলারদের বিরুদ্ধে তিনিই কীই বা করতেন। তাও অসম্ভব চেষ্টা করেছিলেন। ৯ বলে ২০ রানের ছোট্ট একটা ইনিংস খেলে ফিরে যান তিনি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
শ্রেয়স-ঝড়ের কাছে হার মানল মর্গ্যান-তাণ্ডব, কেকেআরের বিরুদ্ধে দিল্লির জয়ের হ্যাটট্রিক
ক্রিকেট
IPL 2021: জেতা ম্যাচ লজ্জাজনক ভাবে হাতছাড়া কেকেআরের, দলের হয়ে সমর্থকদের চাইলেন শাহরুখ
মঙ্গলবার দায়িত্ব নিয়ে কেকেআরকে হারিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল এবং দীনেশ কার্তিক।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ২০১৯-এর আইপিএল রমাঞ্চিত ছিল আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংকে কেন্দ্র করে। কিন্তু ব্যাটসম্যান রাসেলের দম যে ফুরোচ্ছে সেটা ২০২০-এর আইপিএলেই বোঝা গিয়েছিল। আর এ বার তো দুটো ম্যাচের পরেই রাসেলের দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে উঠল।
কার্যত রাসেলের জন্যই জেতা ম্যাচ হেরে এল কেকেআর। অবশ্য দীনেশ কার্তিকও কম যান না। রাসেল আর কার্তিক মিলে শেষের কয়েকটা ওভারে ঠুকঠুক করে খেলে দায়িত্ব নিয়েই দলকে হারিয়ে এসেছেন। পরিণাম, একটা সময় জেতার জন্য ২৮ বলে ৩১ রানের প্রয়োজনীয়তা থাকা কেকেআরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ১০ রানে লজ্জাজনক হার।
ম্যাচের পর সমর্থকদের কাছে দলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন মালিক শাহরুখ খান। ক্ষুব্ধ শাহরুখ টুইটারে লেখেন, “জঘন্য খেলা! কেকেআর ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে।”
মঙ্গলবার, শাকিব আল হাসান আউট হওয়ার পর রাসেল যখন ক্রিজে এলেন তখন নাইটদের জেতার জন্য প্রয়োজন ২৪ বলে ৩০ রান। হাতে আরও ৫ উইকেট। ক্রুণাল পাণ্ড্যর বলে দুবার জীবন ফিরে পেলেন। কিন্তু সেই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন কোথায়! ১৫ বলে ৯ রান করে শেষ ওভারে যখন ফিরছেন, তখন নাইট ব্যাটিং আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে।
তবে তিনি শুধু তিনি নয়। নীতীশ রানার ৫৩ ও শুভমন গিলের ৩৩ ছাড়া নাইটদের বাকি ব্যাটিং তথৈবচ ছিল এ দিন। রাহুল ত্রিপাঠি (৫), ওইন মর্গ্যান (৭), শাকিব (৯), প্যাট কামিন্স (০) যেন শুধু যাওয়ার আসার প্রতিযোগিতায় মাতলেন।
রোহিত টি-২০তে, বিশেষ করে আইপিএলে খুবই বিচক্ষণতার সঙ্গে অধিনায়কত্ব করেন। কিন্তু তিনিও যেন চিপকের পিচ বুঝতে ভুল করলেন। ঘূর্ণি পিচে যেখানে নাইটরা তিন স্পিনার খেলিয়েছিল, সেখানে তাঁর কাছে ছিল রাহুল চাহার ও ক্রুণাল। কিন্তু কে জানত হরিয়ানার এই লেগ স্পিনার ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে কাঁপিয়ে দেবেন। অবশ্য তাঁকে দারুণ সঙ্গত দিলেন ট্রেন্ট বোল্ট ও ক্রুণাল। ফলে ৭ উইকেটে ১৪২ রানে আটকে গেল কলকাতা।
মুম্বই তাদের সবচেয়ে পছন্দের ও পয়া প্রতিপক্ষ কলকাতার বিরুদ্ধে কবে এত খারাপ ব্যাটিং করেছে মনে পড়ে না। বল হাতে স্লোয়ার বাউন্সার, স্লোয়ার ইয়র্কার, ওয়াইড ইয়র্কারের উপর ভর করে রোহিতের দলের মিডল অর্ডারকে একেবারে শেষ করে দেন রাসেল।
স্বদেশীয় কায়রন পোলার্ডকে ফিরিয়ে প্রথম ঝটকা দিয়েছিলেন। এরপর একে একে তাঁর শিকার ক্রুণাল পাণ্ড্য ও পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী দলের শেষের দিকে বাকি ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ২ ওভারে হাত ঘুরিয়ে আইপিএলে প্রথম বার ৫ উইকেট পেলেন রাসেল। তাও আবার মাত্র ১৫ রান দিয়ে।
চিপকের ঘূর্ণি পিচে রোহিত ও কুইন্টন ডি’ ককের ব্যাটকে রুখে দেওয়ার জন্য শুরু থেকেই স্পিনারদের হাতে নতুন বল তুলে দেন মর্গ্যান। দ্বিতীয় ওভারে এল প্রথম সাফল্য। বরুণ চক্রবর্তীর বলে ফিরে যান ডি’ কক। সূর্যকুমার যাদব অবশ্য নিজের লক্ষ্যে এক্কেবারেই অবিচল ছিলেন। ৩৬ বলে ৫৬ করে তিনি যখন ফিরছেন, তখন মুম্বইয়ের স্কোর বোর্ডে ২ উইকেটে ৮৬ রান।
এর পরেই ভেঙে পড়ে মুম্বই। সৌজন্যে আন্দ্রে রাসেলের দুটি ওভার। সেই কারণেই ১৫২ রানে আটকে যায় মুম্বই। কিন্তু ম্যাচ তো শেষ হয়ে যায় নি। মুম্বইকে অনেক বার খাদের কিনারা থেকে বের করেছেন জশপ্রীত বুমরা। এ বারও সেটা করলেন রোহিতের ‘তুরুপের তাস’।
এমনিতেই চাহারের স্পিনে নাইটরা নাজেহাল ছিল। সঙ্গে তিনি ১৯ ওভারে বল হাতে নিয়ে দিলেন মাত্র ৪ রান। ব্যস সেখানেই ম্যাচ শেষ। বাকি কাজটা শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট মাথা ঠাণ্ডা রেখে করে জয়ের পরিসংখ্যান আরও বাড়িয়ে নিলেন।
কোনো দল লড়াই করেও যদি হেরে যায় তা হলে ম্যাচের শেষে শক্তিশালী মনোবল নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। কিন্তু মঙ্গলবার কেকেআর যা করল, তাতে তাদের মনোবল যে ভেঙে পড়বেই তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ক্রিকেট
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
টানটান রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ

পঞ্জাব: ২২১-৬ (রাহুল ৯১, হুডা ৬৪, সাকারিয়া ৩-৩১)
রাজস্থান: ২১৭-৭ (সঞ্জু ১১৯, পরাগ ২৫, অর্শদীপ ৩-৩৫)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: দুই উইকেটকিপার-অধিনায়কের লড়াই ছিল। দু’জনেই দুরন্ত ব্যাট করলেন। একজন শতরানের কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়ে গেলেন তো অন্য জন শতরান করেই ফেললেন। শেষে কেএল রাহুলের পঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে গেল সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে কী তথৈবচ ফর্মে ছিলেন কেএল রাহুল। তাই পঞ্জাব কিংস তাদের অধিনায়কের ফর্ম নিয়ে কিছুটা চাপে তো ছিলই। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে আইপিএলের শুরুতে যে ভাবে দুরন্ত ফর্মে রাহুল শুরু করেন, সেটাই এ দিন মুম্বইয়ে করে দেখালেন। কোথায় তাঁর অফ-ফর্ম! প্রথম কয়েকটি ওভার দেখে খেলে ফেলার পরেই তাঁর ব্যাট থেকে রানের ফুলঝুরি।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এ দিন অভিষেক করলেন দুই বোলার, সৌরাষ্ট্রের চেতন সাকারিয়া এবং বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমন। দুই বাঁ হাতি বোলারই প্রথম দিকে কিছুটা চাপে রেখেছিলেন রাহুল এবং পঞ্জাবের অপর ওপেনার ময়াঙ্ক অগ্রবালকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে অফফর্মের কবলে ময়াঙ্ক পড়েছিলেন, এ দিনও সেখান থেকে বেরোতে পারেননি। তাই তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান তিনি।
পঞ্জাবে এসে নতুন জীবন পেয়েছেন ক্রিস গেল। ওপেনারের বদলে তিনি এখন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। এ দিনও সেটাই হল। আর শুরু থেকেই বেশ আগ্রাসী ছিলেন তিনি। ৪০ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলে ড্রেসিং রুমে যখন গেল ফিরে যান ততক্ষণে তাঁর স্ট্রাইক রেট পৌঁছে গিয়েছে ১৪২-এ। তাঁর এই সংক্ষিপ্ত ইনিংসটি চারটে চার এবং দু’টি ছয়ে সাজানো ছিল।
তবে এ দিন সব নজর কেড়ে নিয়েছেন দীপক হুডা। হরিয়ানার এই মারকুটে ব্যাটসম্যান আইপিএলের ময়দানে মাঝেমধ্যেই জ্বলে ওঠেন। তবে এ দিন তিনি যা খেললেন, সেই রকম খেলতে আগে খুব একটা দেখা যায়নি। শুরু থেকেই রাজস্থানের বোলারদের মাথায় চেপে বসেছিলেন তিনি। একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে বিপক্ষের ছন্দটাই নষ্ট করে দেন তিনি। কার্যত কোনো সময় না নিয়েই অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন তিনি।
তাঁর ৬৪ রানের ইনিংসটি এসেছে মাত্র ২৮ বলে। স্ট্রাইক রেট ছিল ২২৮। চলতি আইপিএলের দ্রুততম পঞ্চাশ রানের মালিকও হয়ে গেলেন হুডা। তাঁর আউট হয়ে যাওয়ার পর নজর ছিল রাহুলের ওপরে, আরও একটা শতরান তিনি করতে পারেন কি না, সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু অল্পের জন্য তা হয়নি। শতরান থেকে নয় রান দূরে থেকেই শেষ ওভারে আউট হয়ে যান রাহুল।
একেই পাহাড়প্রমাণ রান, তার পর বিপক্ষের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ, রাজস্থানের পক্ষে রানটা তারা করা খুবই চাপের ছিল। সবার নজর ছিল মহম্মদ শামির ওপরে। সুস্থ হয়ে ফিরে সেই শামিই কিন্তু রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কাটা দেন। প্রথম ওভারেই ওপেনার বেন স্টোক্সকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
রাজস্থান কিন্তু রান তাড়া করার চেষ্টা করেই যাচ্ছিল। শুরু থেকেই দলের রানের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মনন ভোহরা। অন্যদিকে, অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ধীরে ধীরে নিজের ছন্দে আসছিলেন। তিনি তারা উইকেটও হারিয়ে ফেলছিল বার বার।
অষ্টম ওভারের মধ্যে তিনটে উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। যদিও তখনও রানরেট ছিল দশে। এখান থেকে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করতে শুরু করে রাজস্থান। স্যামসন তো ছিলনই, সেই সঙ্গে রানের গতি বাড়াতে শুরু করেন শিবম দুবেই। দুবে এবং স্যামসনের মধ্যে দুরন্ত একটি জুটি শেষ হয় ১৩তম ওভারে। ততক্ষণে অর্ধশতরান পেরিয়ে গিয়েছেন স্যামসন।
১৪ ওভারের পর থেকে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের দিকে নিয়ে চলে আসেন রাজস্থান। ক্রিজে ততক্ষণে জমে গিয়েছেন স্যামসন। কিন্তু ছয় নম্বর নামা অসমের রিয়ান পরাগ পর পর ছক্কা মেরে ম্যাচের পরিস্থিতি রাজস্থানের জন্য অনেকটাই শহর করে দেন। ১৭তম ওভার যখন শুরু হচ্ছে তখন রাজস্থানের দরকার ৪৮, আহামরি কিন্তু বেশি নয়। তবে ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেই পরাগকে ফিরিয়ে দিয়ে পঞ্জাবকে ফের ম্যাচে নিয়ে আসেন শামি।
যদিও স্যামসনের দাপটের কাছে পঞ্জাবের বোলাররা ম্লান হয়ে যাচ্ছিলেন। ১৮তম ওভারে স্যামসন যখন শতরান করেন, রাজস্থানের তখন দরকার ১৫ বলে ২৬। পরিস্থিতি অনেকটাই সহজ হয়ে এসেছে তাদের জন্য। কিন্তু এখানে কিছুটা চাপা বোলিং করে পঞ্জাব। এর ফলে শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজনীয়তা এসে দাঁড়ায় ১৩ রানে।
অর্শদীপ সিংহ বল করতে আসেন প্রথম তিনটে বলে মাত্র ২ রান দিলেও চতুর্থ বলেই তাঁকে ছক্কা হাঁকিয়ে দেন স্যামসন। কিন্তু দলকে বৈতরণী পার করিয়ে দিতে পারেননি তিনি। লক্ষ্যামাত্রার থেকে চার রান দূরেই থেমেই গেল রাজস্থান।
ক্রিকেট
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি
চেন্নাই সুপারকিংস অধিনায়কের মতে এই সময়ের পরিবর্তনই ম্যাচের নির্ধারক হয়ে উঠছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর থেকে আইপিএলে খেলা শুরুর সময়টা কিছুটা পালটে গিয়েছে। রাত ৮টার বদলে শুরু হচ্ছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। রাত ৮টায় শুরু হলে অধিকাংশ ম্যাচই মাঝরাত পর্যন্ত গড়িয়ে যাওয়াযর কারণে এই অদলবদল করা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাই সুপারকিংস অধিনায়কের মতে এই সময়ের পরিবর্তনই ম্যাচের নির্ধারক হয়ে উঠছে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৭ উইকেটে হারের পরেই ধোনি যুক্তি দিয়ে জানালেন, “৮টায় খেলা শুরু হলে শিশির ততক্ষণে মাঠে পড়ে যেত। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা দল কোনো বাড়তি সুবিধা পেত না। তবে ৭.৩০ টায় শুরু হওয়ায় যে কোনো এক দল ৩০-৪০ মিনিট একদম শুকনো পরিবেশে ব্যাট করার সুবিধা পায়। এটা তফাত গড়ে দিতে পারে।”
ধোনির কথায়, “এমনিতে শিশিরের কারণে প্রথমে ব্যাট করা দল সব সময় ১৫-২০ রান অতিরিক্ত তুলে রাখতে চায়। তবে এটা ৮টার সময় ম্যাচ শুরু করার সময়। ৭.৩০ ম্যাচ শুরু হলে প্রতিপক্ষ সব সময় আধঘন্টার সুবিধা পেয়ে যাবেই। দ্বিতীয় ইনিংসে বল যে ভাবে সুন্দরভাবে ব্যাটে আসবে, প্ৰথমে ব্যাটিংয়ে সেটা মোটেও হবে না। তাই অতিরিক্ত ১৫-২০ রান করার সঙ্গেই বল হাতে শুরুতেই কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে হবে প্রতিপক্ষের। তাহলেই ব্যাপারটা সমান-সমান হবে।” এমনই বলেন ধোনি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
IPL 2021: নীতীশ-রাহুলের ব্যাটে ভর করে হায়দরাবাদকে হারাল কেকেআর
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
-
প্রবন্ধ2 days ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ2 days ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি