ক্রিকেট
আট বছরে পঞ্চম বার, মুম্বইকে ফের একবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করে নায়ক রোহিত শর্মা
২০১৩-তে মুম্বইয়ের অধিনায়কত্বের ব্যাটন হাতে পান রোহিত। সেই থেকে পরের আট বছরে পাঁচবার দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি।

দিল্লি: ১৫৬-৭ (শ্রেয়স ৬৫ অপরাজিত, পন্থ ৫৬, বোল্ট ৩-৩০)
মুম্বই: ১৫৭-৫ (রোহিত ৬৮, ঈশান ৩৩ অপরাজিত, নোর্কিয়া ২-২৫)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: জ্যোতি বসুর ব্যাপারে এক সময়ে বলা হত, ‘গ্রেটেস্ট প্রাইম মিনিস্টার ইন্ডিয়া নেভার হ্যাড।’ শেন ওয়ার্নকে বলা হয়, ‘গ্রেটেস্ট ক্যাপ্টেন অস্ট্রেলিয়া নেভার হ্যাড।’ ঠিক তেমনটা কি রোহিত শর্মার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে?
শেন ওয়ার্নের ভাগ্যের থেকে অবশ্য রোহিতের ভাগ্য ভালো। সহ-অধিনায়ক হওয়ার সুবাদে তিনি ভারতকে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ফলও পাওয়া গিয়েছে হাতেনাতে। কিন্তু পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক হওয়ার সৌভাগ্য তাঁর কোনো দিনও হবে না। কারণ বয়স। বিরাট কোহলির থেকে অন্তত দু’ বছরের বড়ো তিনি।
অথচ রোহিতের রেকর্ড দেখুন। ২০১৩-তে মুম্বইয়ের অধিনায়কত্বের ব্যাটন হাতে পান রোহিত। সেই থেকে পরের আট বছরে পাঁচ বার দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি। এর মধ্যে পর পর দু’ বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির তৈরি করল মুম্বই।
নেতৃত্ব তো বটেই, ফাইনালে নিজের দলের ব্যাটিংকে যে ভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন তা এক কথায় অনবদ্য। তবে প্রথমে এক্কেবারে ম্যাচের শুরু থেকেই বলা যাক।
দুবাইয়ের পিচে প্রথমে ব্যাট করা দল বরাবই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। ঠিক সেই কারণেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তটা দিল্লির কাছে বুমেরাং হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল যখন ম্যাচের প্রথম চার ওভারের মধ্যেই তিনটে উইকেট হারায় তারা।
ফাইনালের প্রথম ওভারের একদম প্রথম বল থেকেই নাটকের শুরু। দুরন্ত আউটসুইংয়ে মার্কাস স্টয়নিসকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান ট্রেন্ট বোল্ট। গত সপ্তাহে প্লে-অফের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন বোল্ট। এ দিন তাঁকে দেখে অবশ্য মনে হয়নি যে তাঁর আদৌ কোনো চোট রয়েছে। ঠিক দু’ ওভার পর ফের চমক দেন বোল্ট।
তৃতীয় ওভারেই অজিঙ্ক রাহানেকে ফিরিয়ে দেন বোল্ট। চলতি আইপিএলটা ঠিক মনের মতো গেল না রাহানের। প্রথমত তিনি বেশি সুযোগ পাননি। যা সুযোগ পেয়েছেন, তার মধ্যে একটা ম্যাচ ছাড়া সব ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন। এর পরের ওভারে শিখর ধাওয়ানকে ফেরান জয়ন্ত যাদব।
রাহুল চাহরের বদলে এ দিন জয়ন্তকে খেলিয়েছে মুম্বই। সেই সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে প্রমাণিত হয়। তবে পঞ্চম ওভার থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দিল্লি। সৌজন্যে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং ঋষভ পন্থ।
আইপিএলে রানের মধ্যে এক্কেবারেই ছিলেন না ঋষভ পন্থ। কিন্তু তাঁর ব্যাটই এ দিন জ্বলে উঠতে শুরু করে। মুম্বইয়ের বোলারদের দাপটে নড়ে যাওয়া দিল্লির ব্যাটিংকে থিতু করার দায়িত্ব দেন ঋষভ আর শ্রেয়স। প্রথম দিকে বেশি ঝুঁকি নেননি দু’ জনে। কিন্তু দশম ওভারে প্রথম বার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে নিজের আসল ফর্মের ঝলক দেখান পন্থ।
দশম ওভারের শেষে দিল্লির স্কোর পৌঁছে যায় তিন উইকেটে ৭৬-এ। এর পর থেকে আরও বেশি আগ্রাসী হতে শুরু করেন দু’ জনে। এই টুর্নামেন্টে ভালো রান করলেও শেষ পাঁচটা ম্যাচে ফর্মে ছিলেন না শ্রেয়স। কিন্তু মোক্ষম সময়ে এসে ফের জ্বলে উঠতে শুরু করেছে তাঁর ব্যাটও।
শ্রেয়স আর পন্থের ব্যাটে ভর করেই ১৪তম ওভারের প্রথম বলে একশো পেরিয়ে যায় দিল্লি। তার পরের ওভারেই অর্ধশতরান করে ফেলেন পন্থ। টুর্নামেন্টে প্রথম বার ৫০-এর গণ্ডি পেরোন তিনি। বার বার ব্যর্থ হওয়ার পর অনেকটাই চাপে ছিলেন তিনি।
যদিও ওই ওভারেই আউট হয়ে যান পন্থ। পুল মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরে পড়েন তিনি। ১৫ ওভারে দিল্লির স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় চার উইকেটে ১১৮। এর পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে দিল্লি। ছয় নম্বরে নামা শিমরান হেটমেয়ার শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন। ১৭তম ওভারে নিজের পঞ্চাশ পেরিয়ে যান শ্রেয়স আইয়ার।
তবে এর পর থেকে মুম্বইয়ের বোলাররা চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। শেষের পাঁচ ওভারে যতটা আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিল দিল্লির, সেটা সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণে ১৫৬-তেই আটকে যায় দিল্লি। যদিও ফাইনালের পক্ষে এটা যথেষ্ট ভালো স্কোরই।
শুরু থেকেই আগ্রাসী হওয়ার পরিকল্পনা সম্ভবত করেছিল মুম্বই। আর সেই কারণে, রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছক্কা হাঁকান রোহিত শর্মা। আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠেন কুইন্টন ডে কক। চাপমুক্ত হতে শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখেন দু’ জনে। প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই ৩৩ রান করে ফেলে মুম্বই।
পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে আউট হন ডে কক। তবে ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ৪৫ উঠে গিয়েছে। তাঁকে ফেরান মার্কাস স্টয়নিস। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি মুম্বইয়ের। ডে ককের ছেড়ে যাওয়া জায়গা থেকেই শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব। প্রথম দুই বলেই একটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। প্রথম ছয় ওভারে মুম্বইয়ের স্কোর চলে যায় ৬১।
পাওয়ারপ্লেতে এই পরিমাণ রান তোলার পর হিসেব অনেকটাই সহজ হয়ে আসে মুম্বইয়ের কাছে। সেই কারণে আর বাড়তি ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না মুম্বইয়ের। তারা নেয়নি। ১১তম ওভারে সূর্যকুমার যাদব যখন আউট হন, তখন স্কোরবোর্ডে উঠে গিয়েছে ৯০। তবুও মুম্বইকে টলানো যায়নি।
রোহিতের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব আরও একটা কারণে ছিল। নিজের দুশোতম আইপিএল এ দিন খেলছেন তিনি। তা সেই ম্যাচটা এর থেকে ভালো আর কী ভাবেই বা স্মরণীয় হত তাঁর কাছে! দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করে ফেলেন তিনি।
উলটো দিকে ততক্ষণে জমে গিয়েছেন ঈশান কিষাণ। বেশি কোনো ঝুঁকি না নিয়েই নিজেদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। তবে ১৭তম ওভারে তাল কেটে যায়। ওই ওভারের প্রথম বলে এনরিকে নোর্কিয়ার বাউন্সার সামলাতে না পেরে ড্রেসিং রুমের পথ দেখেন রোহিত।
এর পরেও খানিক নাটক অপেক্ষা ছিল। কারণ কার্যত বিনা কারণেই আউট হয়ে যায় কায়রন পোলার্ড। আবার জয়ের জন্য যখন মাত্র এক রান দরকার, তখন ফিরে যান হার্দিক পাণ্ড্য। তবে ১৯তম ওভারে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় মুম্বই। আরও একবার দলকে চ্যাম্পিয়ন করে রোহিত।
শুধুমাত্র আইপিএলের পারফরম্যান্স যদি দেখা হয়, তা হলে কিন্তু বিরাট কোহলিকে বার বার মাত করেছেন রোহিত শর্মা। এখনও করে চলেছেন। আট বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে একটা দলকে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন করা তো চাট্টিখানি কথা নয়।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে এ বার ভারতের সীমিত ওভারের ম্যাচগুলিতে অধিনায়কের দায়িত্ব রোহিতকে দেওয়া উচিত নয় কি?
ক্রিকেট
ইংল্যান্ড সিরিজে স্টেডিয়ামে ফিরতে পারেন দর্শকরা, ভাবনা ভারতীয় বোর্ডের
পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এ বার সেই পথে হাঁটতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি টেস্টেই অন্তত ৫০ শতাংশ দর্শককে খেলা দেখার অনুমতি দিতে চাইছে বিসিসিআই (BCCI)।
যে হেতু ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাই এ ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও।
ভারতে এই মুহূর্তে ক্রিকেট, ফুটবল মিলিয়ে একাধিক টুর্নামেন্ট চললেও কোথাও দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। জৈব সুরক্ষা বলয়ে চলছে আইএসএল (ISL), সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি (SAM Trophy), আই লিগ (I League)।
ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম দু’টি টেস্ট চেন্নাইয়ে, বাকি দু’টি অমদাবাদের নবনির্মিত স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত চারটে ম্যাচে ৫০ শতাংশ করে দর্শক ঢুকতে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। দু’টি রাজ্য সংস্থার সঙ্গেই কথা বলছে বোর্ড। রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গেও কথা চলছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চেন্নাই এবং অমদাবাদ, দুই শহরেই দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। অন্য দিকে যে হেতু সিনেমাহলের মতো বদ্ধ জায়গাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে, তাই স্টেডিয়ামের খোলা আবহে দর্শকদের ঢুকতে দিলে সমস্যা বিশেষ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রতি দিনের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দেখা হবে। যদি কোনো ভাবে ম্যাচের আগে বা মাঝখানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে, তৎক্ষণাৎ পরিকল্পনা বদল করা হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মুম্বইকে আটকাতে বদ্ধপরিকর বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল
ক্রিকেট
ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়ল পঞ্জাব, ফিঞ্চকে বিদায় জানাল বেঙ্গালুরু, অবসর নিলেন মালিঙ্গা
বড়ো চমক দিল দলগুলো।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আসন্ন আইপিএলে (IPL 2021) কোন দল কোন ক্রিকেটারকে ধরে রাখবে এবং কাকে ছাড়বে, সেটা জানানোর জন্য বুধবারই ছিল শেষ দিন। দেখা গেল বেশ কিছু দলই ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে অনেক কিছু চমক দিয়েছে। বিস্তারিত দেখে নিন নীচে।
ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়লেও, গেল-এ ভরসা রাখল পঞ্জাব
সব থেকে বড়ো চমক এই মর্মে দিয়েছে পঞ্জাব (Kings Xi Punjab)। তারা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (Glenn Maxwell) ছেড়ে দিয়েছে। পরিবর্তে দলে রেখে দিয়েছে ক্রিস গেলকে।
ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের ও টি-২০ সিরিজে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চলতি বিগ ব্যাশ লিগেও ছন্দে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও ২০২১-এর আইপিএল নিলামের আগে অজি অল-রাউন্ডারকে স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলেছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
আসলে আইপিএল ২০২০-তে অত্যন্ত খারাপ ফর্মে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর চুড়ান্ত ব্যর্থতায় হতাশ পঞ্জাব শিবির। তাই রিটেন করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগে ম্যাক্সওয়েলের ফর্মকে বিশেষ পাত্তা দিল না পঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ম্যাক্সওয়েল ছাড়াও পঞ্জাব ছেড়ে দিয়েছে শেল্ডন কটরেল এবং জিমি নিশামের মতো আন্তর্জাতিক তারকাদের। বাদ পড়েছেন করুণ নায়ার। মোট ১৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে পঞ্জাব। ছেড়ে দিয়েছে ৯ জন ক্রিকেটারকে। যদিও গেলের ওপরে এখনও ভরসা রাখছে কেএল রাহুলের দল।
বাংলার শাহবাজ আহমেদকে রেখে দিল বেঙ্গালুরু
আইপিএল ২০২১-এর নিলামের আগে স্কোয়াড থেকে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challenger’s Bengaluru)। ১২ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে আরসিবি।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ছাড়া প্রত্যাশিত ভাবেই আরসিবি রেখে দিয়েছে এবি ডি’ভিলিয়র্স, যজুবেন্দ্র চাহল এবং দেবদত্ত পাড়িক্কালকে। তারা ধরে রেখেছে ওয়াশিংটন সুন্দর, মহম্মদ সিরাজ ও নবদীপ সাইনিকেও। বাংলার অল-রাউন্ডার শাহবাজ আহমেদও রয়েছেন ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকায়।
বেঙ্গালুরু ছেড়ে দিয়েছে তিন বিদেশি তারকা অ্যারন ফিঞ্চ, ক্রিস মরিস ও মঈন আলিকে। বাদ পড়েছেন উমেশ যাদব ও শিবম দুবের মতো ভারতীয় তারকারাও। ডেল স্টেইন আগেই নিজেকে আইপিএল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। পার্থিব প্যাটেল কিছু দিন আগেই অবসর ঘোষণা করেছেন। সুতরাং, তাঁদের স্কোয়াডে রাখার কোনো প্রসঙ্গই নেই।
চার বিদেশিকে ছাড়ল দিল্লি
আইপিএল ২০২০-তে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বার ফাইনালে ওঠা দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) মূল দল ধরে রেখেই নতুন মরশুমে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিল। সে কারণেই স্কোয়াডে বিস্তর রদবদলের পথে হাঁটল না শ্রেয়স আইয়ারের দল।
বুধবার রিটেন করা ক্রিকেটারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাতে মাত্র ২ জন ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম নেই। মোহিত শর্মা ও তুষার দেশপান্ডেকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে চার জন বিদেশি ক্রিকেটারকেও বিদায় জানিয়েছে ক্যাপিটালস।
বাদ পড়েছেন কীমো পল, সন্দীপ লামিছানে, অ্যালেক্স ক্যারি ও জেসন রয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তারা ধরে রেখেছে কাগিসো রাবাদা, এনরিখ নরকিয়া, মার্কাস স্টইনিস, শিমরন হেতমায়ের, ক্রিস ওকস ও ড্যানিয়েল স্যামসকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন লসিথ মালিঙ্গা
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার তারকার পেসার তথা মুম্বইয়ের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার লসিথ মালিঙ্গা (Lasith Malinga)। স্বাভাবিক ভাবেই আসন্ন মরশুম থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি গায়ে পরতে দেখা যাবে না মালিঙ্গাকে।
মালিঙ্গা আইপিএল ২০২০-র জন্য মুম্বইয়ের স্কোয়াডে থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্টে যোগ দেননি। আইপিএল শুরুর আগেই তিনি সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দেন। এর পর দেশের মাঠে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও যোগ দেননি মালিঙ্গা।
মুম্বই মালিঙ্গা ছাড়াও স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দিয়েছে ন্যাথন কুল্টার-নাইল, জেমস প্যাটিনসন, শেরফান রাদারফোর্ড, মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান, প্রিন্স বলবন্ত রাই ও দিগবিজয় দেশমুখকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
স্টিভ স্মিথের ‘সর্বনাশ’, সঞ্জু স্যামসনের ‘পৌষ মাস’

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কথাতেই আছে, ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’। রাজস্থান রয়্যাল্সের (Rajasthan Royals) আইপিএল স্কোয়াডের দিকে চোখ বোলালে মনে হবে স্টিভ স্মিথের ‘সর্বনাশ’ আর সঞ্জু স্যামসনের ‘পৌষ মাস’।
আইপিএলের নতুন মরশুমে সঞ্জুকে (Sanju Samson) নতুন নেতা হিসেবে বেছে নিল রাজস্থান রয়্যালস। নিলামের আগে তারা স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলেছে স্টিভ স্মিথকে (Steve Smith)। স্মিথের নেতৃত্বে আইপিএল ২০২০ অভিযান মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি রাজস্থানের। তারা টুর্নামেন্ট শেষ করে অষ্টম স্থানে।
ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে জানা গিয়েছে যে দলের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ হচ্ছেন কুমার সঙ্গকারা (Kumar Sangakkara)। তিনিই নতুন মরশুমে ক্রিকেটারদের গাইড করবেন।
রাজস্থান মোট ১৭ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। ছেড়ে দিয়েছে ৮ জন ক্রিকেটারকে। স্টিভ স্মিথ ছাড়াও রয়্যালস শিবির ছেড়ে দিয়েছে টম কারানকে। বরুণ অ্যারন ও অঙ্কিত রাজপুতের মতো ভারতীয় ক্রিকেটাদের দলে রাখেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দীনেশ কার্তিককে দলে রেখে ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটসম্যানকে ছেড়ে দিল কেকেআর
-
হাওড়া3 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
বিনোদন3 days ago
বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের, সঙ্গে সানি দেওল
-
প্রবন্ধ2 days ago
‘কয়েকটা টাকার বিনিময়ে নেতাজির স্মৃতি ধুলোয় মিশিয়ে দেব?’, বলেছিলেন পদমবাহাদুর
-
বাংলাদেশ3 days ago
টাঙ্গাইলে জেলাশাসকের মানবিক উদ্যোগ, শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ