পাপুয়া নিউ গিনি: ৭৮ (১৯.৪ ওভারে) (চার্লস আমিনি ১৭, লকি ফার্গুসন ৩-০, টিম সাউদি ২-১১, ট্রেন্ট বোল্ট ২-১৪)
নিউজিল্যান্ড: ৭৯-৩ (১২.২ ওভারে) (ডেভন কনওয়ে ৩৫, ড্যারিল মিশেল ১৯ নট আউট, কাবুয়া মরিয়া ২-৪)
খবর অনলাইন ডেস্ক: তাঁরই মতো দুর্ধর্ষ বোলিং করেছিলেন তিনি – কানাডার অধিনায়ক সাদ বি জাফর। ২০২১-এ পানামার বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচে। তিনিও ৪ ওভার বল করে ৪টিই মেডেন পেয়েছিলেন, আর পেয়েছিলেন ২টি উইকেট। কিন্তু একটি ব্যাপারে এগিয়ে নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন। তিনি ২টি নয়, প্রতিপক্ষের ৩টি উইকেট দখল করেছেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে রেকর্ড গড়লেন লকি ফার্গুসন – ৪ ওভার, ৪ মেডেন, ৩ উইকেট।
এবারের টি২০ বিশ্বকাপে সিডপ্রাপ্ত দল নিউজিল্যান্ডের জায়গা হয়নি সুপার ৮-এ। কিন্তু লকি ফার্গুসনের এই বিরলতম পারফরমেন্সের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ড টি২০ বিশ্বকাপ থেকে তার চলে যাওয়াটা স্মরণীয় করে রাখল। আর স্মরণীয় হয়ে থাকল এবারের টি২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড বনাম পাপুয়া নিউ গিনির নিয়মরক্ষার ম্যাচটি। এই ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ৭ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড।
ভারতীয় সময় সোমবার রাত ৮টায় ত্রিনিদাদ-টোবাগোর তারৌবায় ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে পাপুয়া নিউ গিনিকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। কিউয়ি বোলারদের দাপট সহ্য করতে পারেননি পাপুয়ার ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ রান চার্লস আমিনির, ১৭। এ ছাড়া আর দু’জন দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছোলেন নরম্যান ভানুয়া (১৪) এবং সেসে বাউ (১২)। ফার্গুসন ছাড়াও বোলিং-এ কেরামতি দেখালেন টিম সাউদি (১১ রানে ২ উইকেট) ট্রেন্ট বোল্ট (১৪ রানে ২ উইকেট), ইশ সোধি (২৯ রানে ২ উইকেট)। ১৯.৪ ওভারে ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়ার ইনিংস।
কিউয়িরা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ৪৬ বল বাকি থাকতে। ১২.৪ ওভারে তারা করে ৩ উইকেটে ৭৯। ডেভন কনওয়ে ৩২ বলে ৩৫ রান করেন। দলের ৫৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট (ডেভন কনওয়ে) পড়ে যাওয়ার পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১৭ বলে ১৮ রান) এবং ড্যারিল মিশেল (১২ বলে ১৯ রান) অবিচ্ছেদ্য থেকে দলকে জয়ে পৌঁছে দেন। স্বাভাবিকভাবেই ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন লকি ফার্গুসন।
আরও পড়ুন
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: কোন ৮ দেশ সুপার ৮-এ, দেখে নিন ক্রীড়াসূচি