ক্রিকেট
সচিন নয়, আইসিসির ‘হল অফ ফেম’-এ এলেন কিংবদন্তি এই ভারতীয় ক্রিকেটার
ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসির ‘হল অফ ফেম’-এ এখনও সচিনের স্থান হয়নি, কিন্তু জায়গা পেলেন রাহুল দ্রাবিড়। সোমবার এই ঘোষণা করা হয়েছে আইসিসির তরফে। পঞ্চম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেলেন দ্রাবিড়। এর আগে অনিল কুম্বলে, সুনীল গাভাস্কর, কপিল দেব এবং বিষেন সিং বেদীর স্থান ‘হল অফ ফেম’-এ হয়েছে। দ্রাবিড় ছাড়াও এ […]
ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসির ‘হল অফ ফেম’-এ এখনও সচিনের স্থান হয়নি, কিন্তু জায়গা পেলেন রাহুল দ্রাবিড়। সোমবার এই ঘোষণা করা হয়েছে আইসিসির তরফে।
পঞ্চম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেলেন দ্রাবিড়। এর আগে অনিল কুম্বলে, সুনীল গাভাস্কর, কপিল দেব এবং বিষেন সিং বেদীর স্থান ‘হল অফ ফেম’-এ হয়েছে। দ্রাবিড় ছাড়াও এ দিন ‘হল অফ ফেম’-এ জায়গা পেয়েছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক রিকি পন্টিং এবং ইংল্যান্ড মহিলা দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ক্লেয়ার টেলর।
নতুন শিরোপা পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত দ্রাবিড়। তিনি বলেন, “আইসিসি ‘হল অফ ফেম’-এ নিজের নাম দেখতে পেয়ে খুব সম্মানিত বোধ করছি। আমার নামের পাশেই এত বিখ্যাত ক্রিকেটারের নাম আছে সেটা দেখেই গর্বিত লাগছে।”
ক্রিকেট
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি
চেন্নাই সুপারকিংস অধিনায়কের মতে এই সময়ের পরিবর্তনই ম্যাচের নির্ধারক হয়ে উঠছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর থেকে আইপিএলে খেলা শুরুর সময়টা কিছুটা পালটে গিয়েছে। রাত ৮টার বদলে শুরু হচ্ছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। রাত ৮টায় শুরু হলে অধিকাংশ ম্যাচই মাঝরাত পর্যন্ত গড়িয়ে যাওয়াযর কারণে এই অদলবদল করা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাই সুপারকিংস অধিনায়কের মতে এই সময়ের পরিবর্তনই ম্যাচের নির্ধারক হয়ে উঠছে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৭ উইকেটে হারের পরেই ধোনি যুক্তি দিয়ে জানালেন, “৮টায় খেলা শুরু হলে শিশির ততক্ষণে মাঠে পড়ে যেত। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা দল কোনো বাড়তি সুবিধা পেত না। তবে ৭.৩০ টায় শুরু হওয়ায় যে কোনো এক দল ৩০-৪০ মিনিট একদম শুকনো পরিবেশে ব্যাট করার সুবিধা পায়। এটা তফাত গড়ে দিতে পারে।”
ধোনির কথায়, “এমনিতে শিশিরের কারণে প্রথমে ব্যাট করা দল সব সময় ১৫-২০ রান অতিরিক্ত তুলে রাখতে চায়। তবে এটা ৮টার সময় ম্যাচ শুরু করার সময়। ৭.৩০ ম্যাচ শুরু হলে প্রতিপক্ষ সব সময় আধঘন্টার সুবিধা পেয়ে যাবেই। দ্বিতীয় ইনিংসে বল যে ভাবে সুন্দরভাবে ব্যাটে আসবে, প্ৰথমে ব্যাটিংয়ে সেটা মোটেও হবে না। তাই অতিরিক্ত ১৫-২০ রান করার সঙ্গেই বল হাতে শুরুতেই কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে হবে প্রতিপক্ষের। তাহলেই ব্যাপারটা সমান-সমান হবে।” এমনই বলেন ধোনি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
IPL 2021: নীতীশ-রাহুলের ব্যাটে ভর করে হায়দরাবাদকে হারাল কেকেআর
ক্রিকেট
IPL 2021: নীতীশ-রাহুলের ব্যাটে ভর করে হায়দরাবাদকে হারাল কেকেআর
হায়দরাবাদের ওপরে দাপট বজায় রাখল কেকেআর

কেকেআর: ১৮৭-৬ (নীতীশ ৮০, রাহুল ৫৩, রশিদ ২-২৪)
হায়দরাবাদ: ১৭৭-৫ (মনীশ ৬১ অপরাজিত, বেয়ারস্টো ৫৫, প্রসীদ ২-৩৫)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা নাইটরাইডার্সের কাছে হেরে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ওইন মর্গ্যানের দলের এই জয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখে গেলেন দুই ব্যাটসম্যান নীতীশ রানা এবং রাহুল ত্রিপাঠি।
গত মরশুমের আইপিএলে মাত্র এক বার ওপেনিং জুটি পঞ্চাশ পেরিয়েছিল। তবে সে বার ওপেনিং নিয়ে নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিল কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। শুধুমাত্র শুভমন গিলের জায়গাই পাকা ছিল। তাঁর বিপরীতের ব্যাটসম্যানদের মাঝেমধ্যেই বদলে ফেলা হত। তবে এই মরশুমের প্রথম ম্যাচেই মনে হল পরিকল্পনা একদম ঠিকঠাক ভাবেই নিয়েছে কেকেআর। তাই গিলের সঙ্গী করা করা হল নীতীশ রানাকে। আর সেই সিদ্ধান্ত শুরুতেই লেগে গেল।
অস্ট্রেলিয়া সফরের সুবাদে টি নটরাজন এখন ঘরে ঘরে পরিচিত নাম। সেই নটরাজন এবং ভুবনেশ্বর কুমার-সন্দীপ শর্মা সম্বিলিত পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে কেকেআরের হয়ে দুরন্ত শুরু করেন শুভমন এবং নীতীশ। অস্ট্রেলিয়ায় দুরন্ত পারফর্ম করলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ফর্ম খুইয়েছিলেন শুভমন। এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে তিনি ফর্মে ফেরার চেষ্টা করলেন। অন্য দিকে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন নীতীশ।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ষষ্ঠ ওভারেই পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় কেকেআর। তবে এর ঠিক পরেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন শুভমন। যদিও এতে বিচলিত হননি নীতীশ। বরং তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরকে আরও এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। হায়দরাবাদের প্রধান তুরুপের তাস রশিদ খানকেও দুর্দান্ত ভাবে সামলে দেন রাহুল-নীতীশ। একটা সময় মনে হচ্ছিল অবলীলায় দু’শো পেরিয়ে যাবে কেকেআর। শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নীতীশ।
ঝোড়ো ইনিংসের মধ্যে দিয়ে পঞ্চাশ পেরিয়ে যান রাহুল। কিন্তু এর পরেই তিনি আউট হয়ে যান। ১৬তম ওভারে নটরাজনের বলে রাহুল ফিরতেই ভেঙে পড়ে কেকেআরের ইনিংস। পরের ওভারেই রশিদের বলে শিকার হন আন্দ্রে রাসে। ১৮তম ওভারে পর পর দু’বলে নীতীশ এবং অধিনায়ক ওইন মর্গ্যানকে ফিরিয়ে কেকেআরকে মোক্ষম ধাক্কা দেন আফগানিস্তানের মহম্মদ নবী।
শেষের কয়েকটি ওভারে হায়দরাবাদের চাপা বোলিংয়ের জেরে কেকেআরের ইনিংসে অনেকটাই ধাক্কা খেয়ে যায়। তবে শেষ ওভারে প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের সংক্ষিপ্ত ঝোড়ো ইনিংসের জেরে ১৯০-এর কাছাকাছি পৌঁছে যায় কেকেআর।
ভারতীয় দলে জায়গা খোয়ানোর পর ঋদ্ধিমান সাহা কেমন খেলেন, সেই দিকে নজর ছিল সবার। গত আইপিএলে একদম শেষ মুহূর্তে মাত্র চারটে ম্যাচ খেললেও দুরন্ত খেলেছিলেন ঋদ্ধি। সে কারণে এ বার প্রথম ম্যাচ থেকেই দলে রয়েছেন তিনি। প্রথম ওভারের হরভজন সিংহের বলকে তুলে গ্যালারিতেও ফেলে দেন ঋদ্ধি। কিন্তু তার পরেই ব্রেক লেগে যায় তাঁর ইনিংসে। শাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ততক্ষণে ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারও।
এগারো রানের মাথায় দু’টো উইকেট খুইয়ে আচমকা বিপদে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। সেই বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করার দায়িত্ব এসে পড়ে মনীশ পাণ্ডে এবং জনি বেয়ারস্টোর ওপরে। ভারতের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের দু’টি সিরিজে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বেয়ারস্টো। সেই ফর্ম এই ম্যাচেও নিয়ে আসেন তিনি। ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়তে শুরু করে।
সিভি বরুণকে খেলানোর জন্য এ দিন সুনীল নারিনকে নামায়নি কেকেআর। সম্ভবত সেই কারণে বাড়তি একটা সুবিধা পেয়ে গিয়েছিলেন বেয়ারস্টো এবং মনীশ পাণ্ডে। কেকেআর বোলারদের বিরুদ্ধে দাপট বাড়াতে থাকেন দু’জন। বরুণের বিরুদ্ধেও দুরন্ত গতিতে রান করতে শুরু করেন। ক্রমশ নিজেদের নাগালের মধ্যে আস্কিং রেটকে নিয়ে আসেন দু’জন। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান পেরিয়ে যান বেয়ারস্টো।
তবে খুব বাজে সময়ে আউট হয়ে যান বেয়ারস্টো, ১৩তম ওভারের শেষ বলে। তাঁর উইকেট তোলেন প্যাট কামিন্স। ততক্ষণে সবে ১০০ পেরিয়েছে হায়দরাবাদ।
বেয়ারস্টো আউট হয়ে যাওয়ার পর লড়াইয়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়তে থাকে হায়দরাবাদ। আস্কিং রেটি ক্রমশ চড়তে থাকে। বরুণ, হরভজন, প্রসীদ কৃষ্ণ, কামিন্সদের চাপা বোলিংয়ের জেরে প্রবল চাপে পড়তে শুরু করে দক্ষিণের এই দলটা। কিন্তু যতক্ষণ মনীশ ছিলেন, ততক্ষণ ভরসা ছিল হায়দরাবাদের।
কিন্তু মনীশ সঙ্গী পাননি। মহম্মদ নবী বোলিংয়ে বেশি দক্ষ হলেও ব্যাটিংয়ে এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো ইনিংসে হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে পারেননি। এ দিনও ব্যর্থ হলেন তিনি। নবীর পর বিজয় শঙ্কর নামেন। মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশ নামডাক রয়েছে তাঁর। তিনিও ব্যর্থ হন। শেষ দুই ওভারে হায়দরাবাদের আস্কিং রেট উঠে যায় ১৯-এ। ম্যাচের ফলাফল কার্যত নিশ্চিতই ছিল।
তবে শেষ মুহূর্তে কাশ্মীরের তরুণ ক্রিকেটার আব্দুল সামাদ কিছুটা চেষ্টা করছিলেন জয়ের কাছাকাছি দলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাঁর সংক্ষিপ্ত মারকাটারি ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল নবীরও আগে তাঁকে নামালে অন্য রকম ফলাফল হয়ে পারত হায়দরাবাদের জন্য।
যাই হোক, আইপিএলে এমনিতেই হায়দরাবাদের ওপরে বরাবরই দাপট থাকে কেকেআরের। সেটা এই ম্যাচেও বজায় থাকল।
আরও পড়ুন: IPL 2021: পৃথ্বী-ধাওয়ানের দাপটে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল চেন্নাই

চেন্নাই ১৮৮-৭ (রায়না ৫৪, মঈন ৩৬, ওক্স ২-১৮)
দিল্লি ১৯০-৩ (ধাওয়ান ৮৫, পৃথ্বী ৭২, শার্দূল ২-৫৩)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: দুশোর কাছাকাছি রান তুলেও পার পেল না চেন্নাই। পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ানের ব্যাটিং দাপটের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই। গত আইপিএলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর চলতি আইপিএলও খুব খারাপ ভাবে শুরু করল তারা। এ দিকে গুরু ধোনির বিরুদ্ধে নেমে অধিনায়কত্বের অভিষেকটি দারুণ হল শিষ্য ঋষভ পন্থের।
তবে এ দিন প্রথম ইনিংসে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং দেখে আদৌ মনে হয়নি যে তাদের বোলিং এ ভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ফেলবে। কারণ প্রত্যাবর্তনেই ব্যাট চলচিল সুরাশ রায়নার।
সুরেশ রায়না থাকা আর না-থাকার মধ্যে কতটা ফারাক তৈরি হতে পারে, চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিল এ দিনের চেন্নাইয়ের ইনিংস। গত বারের আইপিএলে চেন্নাইয়ের খারাপ অবস্থার অন্যতম কারণ ছিল রায়নার অনুপস্থিতি। সেই রায়না ফিরতেই পুরো ঘুরে গেল চেন্নাইয়ের ব্যাটিং।
আর রায়নার কারণেই প্রথম তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও বিশেষ চাপে পড়তে হয়নি চেন্নাইয়ে। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং শুরু হতেই এ দিন ড্রেসিং রুমের পথ দেখেন দুই ওপেনার ফাফ দু’প্লসি এবং ঋতুরাজ গায়েকওয়াড়। কিন্তু মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে দুরন্ত জুটি তৈরি করে চেন্নাইয়ের হাল ধরেন রায়না।
আইপিএলের নিলামে মঈনকে চেন্নাই যখন তুলেছিল, তখন বলা হচ্ছিল চেন্নাইয়ের ঘূর্ণি পিচে তাঁর স্পিন খুব কাজে দেবে। কিন্তু এ বারের আইপিএলে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগই হল না তাঁর। সেই মঈন কিন্তু ব্যাট হাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেলেন। ৩৪ রান করে দেড়শোর স্ট্রাইক রেটে। মারলেন দুটো ছয়।
তবে এ দিন সব নজর একাই কেড়ে নিলেন রায়না। প্রায় দু’বছর পর আইপিএলের কামব্যাক ইনিংসে জ্বলে উঠল তাঁর ব্যাট। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল চারটে ছক্কাই। দিল্লির বোলারদের কার্যত নাকানিচোবানি খাইয়ে দেন তিনি। এ ভাবেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতরান করে ফেলেন তিনি।
তবে দুর্ভাগ্যের রান আউট হয়ে যান রায়না। কোনো রান না করে ভক্তদের হতাশ করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ধোনি। তবে তার পর দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন স্যাম কারান এবং রবীন্দ্র জাদেজা। দু’জনের মধ্যে সপ্তম উইকেটে ৫১ রানের জুটি তৈরি হয়। এতেই দুশোর কাছাকাছি চলে যায় চেন্নাই।
বড়ো রানই তুলেছিল চেন্নাই। কিন্তু সেটা দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ এত ছোটো করে দেবেন সেটা কার্যত কল্পনা করা যায়নি। মনে পরে গত বছরের শেষ দিকের কথা? অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়ে কী পরিমাণ ট্রোল্ড হয়েছিলেন শ। এর পরেই স্বপ্নের ফর্মে ফিরে আসেন তিনি। কয়েক মাস আগে বিজয় হাজারে ট্রফিতে মুম্বইয়ের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছিলেন তিনি। ভেঙে দিয়েছিলেন একের পর এক সব রেকর্ড।
সেই ফর্মটাই এ দিন ধরে রেখেছিলেন শ। চেন্নাইয়ের বোলিং আক্রমণ শুরু হতেই তিনিও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। স্যাম কারান এবং দীপক চাহরের ওপরে দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেন তিনি। কী অসাধারণ অবলীলায় চার এবং ছয়গুলো তিনি মারছিলেন, সেটা না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না। পিছিয়ে ছিলেন না ধাওয়ানও। এই দুই ক্রিকেটারের দাপটে প্রথম পাওয়ারপ্লে অর্থাৎ প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে ৬৫ রান তুলে ফেলে দিল্লি।
এ দিকে শিখর ধাওয়ানের প্রমাণ করার তাগিদটা আরও বেশি ছিল। অক্টোবরে আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের ওপেনিংয়ের স্থানটা পাকা করার ব্যাপারে তিনি বদ্ধপরিকর। সেই কারণেই পাখির চোখ করেছেন আইপিএলকে। তার প্রথম ম্যাচেই ব্যাট চলল ধাওয়ানের।
এ দিকে, ইনিংস যত এগিয়ে যাচ্ছিল ততই দাপট বাড়ছিল ধাওয়ান আর পৃথ্বীর। নিমেষের মধ্যে একশো রান পেরিয়ে গেলেন দু’জনে। রানরেট তখনও দশের ওপরে। প্রয়োজনীয় রানের ব্যাপারটি তখন অনেক সহজ হয়ে আসছে। তবে যেই মনে হচ্ছিল দশ উইকেটেই ম্যাচটা পকেটে পুড়বে দিল্লি, তখনই আঘাত হানলেন ডোয়েন ব্রাভো, পৃথ্বী শ’কে ফিরিয়ে।
তিন নম্বরে নামা পন্থকে নিয়ে দলকে জয়ের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছিলেন ধাওয়ান। গত বছর আইপিএলে তিনটে শতরান করেছিলেন তিনি। এ বার আইপিএলের শুরুতেই একটা ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লাভ হল না। জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পরেই ধাওয়ানের পা কে উইকেটের সামনে পেয়ে যান শার্দূল ঠাকুর। আঙুল তুলনে বিন্দুমাত্র বিড়ম্বনায় পড়েননি আম্পায়ার।
তবে ধাওয়ান আউট হলেও নতুন করে কোনো বিপদে পড়েনি দিল্লি। খুব সহজেই দলকে জয়ে পৌঁছে দেন পন্থ এবং শিমরন হেটমেয়ার।
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls Live: সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের বেশি
-
বিদেশ2 days ago
Coronavirus Infection: কোনো বস্তু থেকে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজারে মাত্র ১, জানাল মার্কিন সিডিসি
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: কোচবিহারে ৩ দিনের জন্য রাজনীতিবিদদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: বাহিনীর গুলিতে হত ৪, শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়