ক্রিকেট
ব্রিসবেনে অনন্য একটি রেকর্ড করলেন ঋষভ পন্থ
সিডনিতে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন পন্থ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: তাঁর উইকেটকিপিং দক্ষতা দুর্বল হলেও ব্যাটিং দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সিডনিতে তাঁর ব্যাটই ভারতকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিল। সেই ঋষভ পন্থ (Rishav Pant) ব্রিসবেনে অনন্য একটি রেকর্ড করে ফেললেন।
ভারতীয় উইকেট কিপার হিসেবে টেস্টে দ্রুততম এক হাজার রানের গণ্ডি ছুঁলেন পন্থ। টেস্টের পঞ্চম দিন চা বিরতির ঠিক আগে এই মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন পন্থ।
২৭টা ইনিংসে এক হাজার রান করলেন পন্থ। রেকর্ডটি করতে গিয়ে তিনি পেরিয়ে গেলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ৩২ ইনিংসে এক হাজার রান করে এতদিন এই তালিকায় সবার ওপরে ধোনিই ছিলেন।
উল্লেখ্য, পন্থ এখনও পর্যন্ত তাঁর কেরিয়ারে দুটি শতরান এবং তিনটে অর্ধশতরান করেছেন। কিন্তু ওই তিনটে অর্ধশতরানকেই শতরানে পরিণত করতে পারতেন তিনি। কারণ তাঁর ওই তিনটে স্কোর হল যথাক্রমে ৯৭, ৯২ এবং ৯২। সিডনিতে আগের টেস্টেই ৯৭-এ আউট হয়ে যান তিনি।
তবে চলতি ব্রিসবেন টেস্টে তাঁর দায়িত্ব এখনও যথেষ্ট রয়েছে। চা বিরতির পর খেলা শুরু হয়েছে। পুজারার সঙ্গে ক্রিজে যদি তিনি দাঁড়িয়ে যান, তা হলে ভারত বর্ডার গাওস্কর ট্রফি জয়ের দিকে এগিয়ে যাবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ট্রফি থেকে আর ৩৭ ওভার দূরে ভারত
ক্রিকেট
স্টেডিয়ামে অদ্ভুত কিছু বিপত্তির পর অমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন চালকের আসনে ভারত
অক্ষর পটের ছয় উইকেটের পর অর্ধশতরান রোহিতের।

ইংল্যান্ড ১১২ (ক্রলি ৫৩, রুট ১৭, অক্ষর ৬-৩৮)
ভারত ৯৯-৩ (রোহিত ৫৭ অপরাজিত, বিরাট ২৭, লিচ ২-২৭)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পথ চলা শুরুর দিন নানা রকম বিপত্তি। বার দুয়েক ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যাওয়া, খেলা চলাকালীন নিরাপত্তার বেষ্টনী এড়িয়ে পিচের কাছাকাছি এক ভক্তের চলে আসা, এই সব ঘটনা ঘটল অমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন।
কল্পনা করুন কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ওই ভক্ত যদি ক্রিকেটারদের কাছাকাছি পৌঁছে যেতেন, তা হলে কী হত! জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরিয়ে যেতে হত সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের। হয়তো এই টেস্টে আর নাও খেলতে পারতেন তাঁরা, হয়তো কোভিড নেগেটিভ টেস্ট করিয়ে তার পর ঢুকতে হত বলয়ের মধ্যে। যাই হোক, নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়নি।
তবে এই সব বিপত্তিতে ভারতের পক্ষে একটি দুর্দান্ত দিন গেল। প্রথম পঞ্চাশ ওভারের মধ্যেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আপাতত ভারত বেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থাতেই রয়েছে।
স্বপ্নের অভিষেক সিরিজ চলছে অক্ষর পটেলের। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলেছিলেন তিনি। এ বার তার সঙ্গে আরও একটা যোগ করে ফেললেন তিনি। ঘরের মাঠেই ব্রিটিশদের আধ ডজন উইকেট তুলে নিলেন অক্ষর। আর তাতেও মাত্র ১১২ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গোলাপি বল সুইং বেশি করে, এমনই ধারণা। ২০১৯-এ ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন রাতের টেস্টে সবকটা উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসাররাই। তাই মনে করা হচ্ছিল ভারত হয়তো বাড়তি পেসার নিয়ে এ দিন মাঠে নামবে। কিন্তু সেটা না করে তিন স্পিনার আর দুই পেসার ফর্মুলাতেই দল নামান কোহলি।
সেই সিদ্ধান্তটা দুরন্ত একটা সিদ্ধান্ত ছিল, সেটা বোঝা গেল। এ দিন প্রথম উইকেটটা নেন শততম টেস্ট খেলতে নামা ইশান্ত শর্মা। তাঁর আউটসুইং বলটাকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে দেন ডম সিবলি। তার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম জুড়ে স্পিনারদেরই দাপট।
শুরুটাও করেছিলেন অক্ষরই। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন তিনি। এর পর জো রুট এবং জ্যাক ক্রলির মধ্যে সুন্দর একটি জুটি তৈরি হয়। দুর্দান্ত খেলছিলেন ক্রলি। তাঁর কভার ড্রাইভগুলো দৃষ্টিনন্দন ছিল। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করে ফেলেন ক্রলি, তার পরেই ইংল্যান্ডের উইকেট-পতন শুরু।
অক্ষরের সঙ্গে যোগ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তবে দাপট বেশ কিছু অক্ষরের। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ১০০ করতে পারবে কি না। যাই হোক, সেই লক্ষ্যমাত্রাটা তারা পেরিয়ে যায়। এ দিকে, তিন উইকেট নেওয়ার পর চারশো ঊইকেট থেকে এখন আর মাত্র তিন উইকেট দূরে রইলেন অশ্বিন। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই সেই রেকর্ড করে ফেলবেন তিনি।
অ্যান্ডারসন, ব্রড এবং আর্চার সম্বিলিত পেস আক্রমণটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা। এই পেস ত্রয়ীর সামনের ভারতের ওপেনিং জুটি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিল। তবে দ্রুত সেই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসেন রোহিত শর্মা। যদিও শুভমন গিলের আচমকা খারাপ ফর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে।
চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই রান পাননি তিনি। এ দিনও শুরুতে মারাত্মক আড়ষ্ট ছিলেন তিনি। তবুও সেই আড়ষ্টতা কাটানোর জন্য দুটো দুরান্ত শট মারলেও জোফ্রা আর্চারের বাউন্সার মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হন তিনি।
এ দিন খেলা শুরুর আগে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন তিনি চেতেশ্বর পুজারার ব্যাটে দ্বিশতরান দেখতে চান। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এ দিন কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান পুজারা। তাঁর পা কে উইকেটের সামনে পেয়ে যান জ্যাক লিচ।
এর পর রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমতে শুরু করেন বিরাট কোহলি। নিজের চেনা ছন্দে খেলেই দুরন্ত অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন রোহিত। চেন্নাইয়ে শতরানের পর আরও একটা শতরানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি।
তবে বিরাট নিজের চেনা ছন্দে ছিলেন না। সুন্দর কয়েকটি স্ট্রোক খেললেও ক্রিজে মাঝেমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অ্যান্ডারসনের বলে স্লিপে তাঁর ক্যাচও ফস্কান ওলি পোপ। যদিও ইংল্যান্ড শিবিরের বিন্দুমাত্র কোনো ক্ষতি হয়নি তাতে। দিনের খেলা শেষে কিছু আগেই তাঁর উইকেটটি তুলে নেন জ্যাক লিচ।
তবুও ইংল্যান্ডের রান এতটাই কম যে এটা বলতেই হয় যে টেস্টের প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে বসে রয়েছে ভারত। দ্বিতীয় দিন নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করে ফেলতে পারে বিরাটবাহিনী।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
নরেন্দ্র মোদীর নামে স্টেডিয়াম! এক দিকে আদানি, অন্য প্রান্তে রিলায়েন্স, কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর

খবরঅনলাইন ডেস্ক: স্বপ্নের অভিষেক সিরিজ চলছে অক্ষর পটেলের। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলেছিলেন তিনি। এ বার তার সঙ্গে আরও একটা যোগ করে ফেললেন তিনি। ঘরের মাঠেই ব্রিটিশদের আধ ডজন উইকেট তুলে নিলেন অক্ষর। আর তাতেও মাত্র ১১২ রানে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ড।
গোলাপি বল সুইং বেশি করে, এমনই না কি ধারণা। ২০১৯-এ ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন রাতের টেস্টে সব ক’টা উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসাররাই। তাই মনে করা হচ্ছিল ভারত হয়তো বাড়তি পেসার নিয়ে এ দিন মাঠে নামবে। কিন্তু সেটা না করে তিন স্পিনার আর দুই পেসার ফর্মুলাতেই দল নামান কোহলি।
সেই সিদ্ধান্তটা দুরন্ত একটা সিদ্ধান্ত ছিল, সেটা বোঝা গেল। এ দিন প্রথম উইকেটটা নেন শততম টেস্ট খেলতে নামা ইশান্ত শর্মা। তাঁর আউটসুইং বলটাকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে দেন ডম সিবলি। তার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম জুড়ে স্পিনারদেরই দাপট।
শুরুটাও করেছিলেন অক্ষরই। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন তিনি। এর পর জো রুট এবং জ্যাক ক্রলির মধ্যে সুন্দর একটি জুটি তৈরি হয়। দুর্দান্ত খেলছিলেন ক্রলি। তাঁর কভার ড্রাইভগুলো দৃষ্টিনন্দন ছিল। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান করে ফেলেন ক্রলি, তার পরেই ইংল্যান্ডের উইকেট-পতন শুরু।
অক্ষরের সঙ্গে যোগ দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। তবে দাপট বেশ কিছু অক্ষরের। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ১০০ করতে পারবে কি না। যাই হোক, সেই লক্ষ্যমাত্রাটা তারা পেরিয়ে যায়। এ দিকে, তিন উইকেট নেওয়ার পর চারশো ঊইকেট থেকে এখন আর মাত্র তিন উইকেট দূরে রইলেন অশ্বিন। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই সেই রেকর্ড করে ফেলবেন তিনি।
অক্ষর ছয় উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে ভারতীয় টেস্ট দলে লম্বা রেসের ঘোড়া হতে তিনি তৈরি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদীর নামে
ক্রিকেট
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামাঙ্কিত নরেন্দ্র মোদীর নামে
মোতেরার বদলে এখন থেকে স্টেডিয়ামটি নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত হবে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: নিজের নামাঙ্কিত ক্রিকেট স্টেডিয়ামও পেয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, তথা অমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম হল মোদীর নামে। মোতেরার বদলে এখন থেকে স্টেডিয়ামটি নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত হবে।
বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উদ্বোধন করেন মোতেরার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের। যদিও ক্রিকেট স্টেডিয়াম-সহ গোটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয় সর্দার প্যাটেলের নামে। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ভুমিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ প্রমুখ।
অসুস্থতার কারণে এ দিন স্টেডিয়াম উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিজের সৌরভের বক্তব্য তুলে ধরা হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
ভারতে ক্রীড়া স্টেডিয়ামের নামকরণ রাজনীতিবিদদের নামে হয়েছে, এমন উদাহরণ রয়েছে অজস্র। দেশের এক গাদা স্টেডিয়ামের নাম জওহরলাল নেহরু, রাজীব গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীর নামে। ২০১৯-এ দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার নামকরণ হয়েছে অরুণ জেটলির নামে। এ বার নরেন্দ্র মোদীর নামেও হল ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
টসে জিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং, দুই পেসারেই নামল ভারত
-
প্রযুক্তি5 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
বিনোদন2 days ago
পর্ন ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ থেকে আয় কোটি টাকা, অ্যাপের মাধ্যমে চিত্রনাট্য-সহ পরিবেশিত হচ্ছে অশ্লীলতা
-
রাজ্য2 days ago
দেড় ঘণ্টা পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়লেন সিবিআই আধিকারিকরা