ক্রিকেট
ওপেনার সচিন তেন্ডুলকরের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এক দিনের ক্রিকেটে তাঁদের ওপেনিং জুটি বিপক্ষ শিবিরের কার্যত ঘুম কেড়ে নিত। বহু ইতিহাসের সাক্ষী দু’জনে, ভেঙেছেন বহু রেকর্ডও।
এ বার ওপেনিং পার্টনার সচিন তেন্ডুলকরের গোপন একটি রহস্য ফাঁস করে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ জানিয়ে দেন দীর্ঘ সময় ধরে ওপেনিং জুটিতে কোনো দিনই প্রথম বল খেলতে চাইতেন না সচিন।
লকডাউনে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তেমনই শুরু হয়েছে ‘ওপেন নেটস উইথ ময়াঙ্ক’। যেখানে ভারতীয় প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় দেখা যায় ময়াঙ্ক অগ্রবালকে। এমনই একটি এপিসোডে হাজির ছিলেন খোদ বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
সৌরভের উদ্দেশে ময়াঙ্কের প্রশ্ন ছিল, “এটা কি সত্যি যে সচিন পাজি আপনাকে প্রথম বল খেলতে জোর করতেন?” উত্তরে সৌরভ বলেন, “সব সময়। যখনই ওকে বলতাম অন্তত একবার তুমি প্রথম বল খেলো, তখন ওর কাছে দু’টো উত্তর তৈরি থাকত।”
সৌরভ বলেন, “সচিন বিশ্বাস করত, ওর ফর্ম ভালো থাকলে ওর নন স্ট্রাইকার এন্ডেই থাকা উচিত (যে হেতু নন স্ট্রাইকারে থেকে সচিনের ফর্ম ভালো যাচ্ছে)। আর যখন ওর ফর্ম ভালো থাকত না, বলত আমারই নন-স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা উচিত। এতে আমার উপর চাপ কম থাকে।”
তবে মাঝেমধ্যে সৌরভ সচিনকে চমকে দিয়েছেন, এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কখনও কখনও মাঠে নামার সময় ওকে (সচিন) পেরিয়ে আগে গিয়ে আমি নন স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়িয়ে যেতাম। তখন বাধ্য হয়ে স্ট্রাইকার এন্ড-এ খেলতে হত সচিনকে।”
ক্রিকেট
ইংল্যান্ড সিরিজে স্টেডিয়ামে ফিরতে পারেন দর্শকরা, ভাবনা ভারতীয় বোর্ডের
পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। এ বার সেই পথে হাঁটতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি টেস্টেই অন্তত ৫০ শতাংশ দর্শককে খেলা দেখার অনুমতি দিতে চাইছে বিসিসিআই (BCCI)।
যে হেতু ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাই এ ব্যাপারে কথা বলা হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও।
ভারতে এই মুহূর্তে ক্রিকেট, ফুটবল মিলিয়ে একাধিক টুর্নামেন্ট চললেও কোথাও দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। জৈব সুরক্ষা বলয়ে চলছে আইএসএল (ISL), সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি (SAM Trophy), আই লিগ (I League)।
ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম দু’টি টেস্ট চেন্নাইয়ে, বাকি দু’টি অমদাবাদের নবনির্মিত স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত চারটে ম্যাচে ৫০ শতাংশ করে দর্শক ঢুকতে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। দু’টি রাজ্য সংস্থার সঙ্গেই কথা বলছে বোর্ড। রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গেও কথা চলছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চেন্নাই এবং অমদাবাদ, দুই শহরেই দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। অন্য দিকে যে হেতু সিনেমাহলের মতো বদ্ধ জায়গাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে, তাই স্টেডিয়ামের খোলা আবহে দর্শকদের ঢুকতে দিলে সমস্যা বিশেষ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রতি দিনের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দেখা হবে। যদি কোনো ভাবে ম্যাচের আগে বা মাঝখানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে, তৎক্ষণাৎ পরিকল্পনা বদল করা হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মুম্বইকে আটকাতে বদ্ধপরিকর বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল
ক্রিকেট
ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়ল পঞ্জাব, ফিঞ্চকে বিদায় জানাল বেঙ্গালুরু, অবসর নিলেন মালিঙ্গা
বড়ো চমক দিল দলগুলো।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আসন্ন আইপিএলে (IPL 2021) কোন দল কোন ক্রিকেটারকে ধরে রাখবে এবং কাকে ছাড়বে, সেটা জানানোর জন্য বুধবারই ছিল শেষ দিন। দেখা গেল বেশ কিছু দলই ছেড়ে দেওয়া ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে অনেক কিছু চমক দিয়েছে। বিস্তারিত দেখে নিন নীচে।
ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়লেও, গেল-এ ভরসা রাখল পঞ্জাব
সব থেকে বড়ো চমক এই মর্মে দিয়েছে পঞ্জাব (Kings Xi Punjab)। তারা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (Glenn Maxwell) ছেড়ে দিয়েছে। পরিবর্তে দলে রেখে দিয়েছে ক্রিস গেলকে।
ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের ও টি-২০ সিরিজে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চলতি বিগ ব্যাশ লিগেও ছন্দে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও ২০২১-এর আইপিএল নিলামের আগে অজি অল-রাউন্ডারকে স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলেছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
আসলে আইপিএল ২০২০-তে অত্যন্ত খারাপ ফর্মে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর চুড়ান্ত ব্যর্থতায় হতাশ পঞ্জাব শিবির। তাই রিটেন করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগে ম্যাক্সওয়েলের ফর্মকে বিশেষ পাত্তা দিল না পঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ম্যাক্সওয়েল ছাড়াও পঞ্জাব ছেড়ে দিয়েছে শেল্ডন কটরেল এবং জিমি নিশামের মতো আন্তর্জাতিক তারকাদের। বাদ পড়েছেন করুণ নায়ার। মোট ১৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে পঞ্জাব। ছেড়ে দিয়েছে ৯ জন ক্রিকেটারকে। যদিও গেলের ওপরে এখনও ভরসা রাখছে কেএল রাহুলের দল।
বাংলার শাহবাজ আহমেদকে রেখে দিল বেঙ্গালুরু
আইপিএল ২০২১-এর নিলামের আগে স্কোয়াড থেকে একঝাঁক তারকা ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challenger’s Bengaluru)। ১২ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে আরসিবি।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ছাড়া প্রত্যাশিত ভাবেই আরসিবি রেখে দিয়েছে এবি ডি’ভিলিয়র্স, যজুবেন্দ্র চাহল এবং দেবদত্ত পাড়িক্কালকে। তারা ধরে রেখেছে ওয়াশিংটন সুন্দর, মহম্মদ সিরাজ ও নবদীপ সাইনিকেও। বাংলার অল-রাউন্ডার শাহবাজ আহমেদও রয়েছেন ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকায়।
বেঙ্গালুরু ছেড়ে দিয়েছে তিন বিদেশি তারকা অ্যারন ফিঞ্চ, ক্রিস মরিস ও মঈন আলিকে। বাদ পড়েছেন উমেশ যাদব ও শিবম দুবের মতো ভারতীয় তারকারাও। ডেল স্টেইন আগেই নিজেকে আইপিএল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। পার্থিব প্যাটেল কিছু দিন আগেই অবসর ঘোষণা করেছেন। সুতরাং, তাঁদের স্কোয়াডে রাখার কোনো প্রসঙ্গই নেই।
চার বিদেশিকে ছাড়ল দিল্লি
আইপিএল ২০২০-তে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বার ফাইনালে ওঠা দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) মূল দল ধরে রেখেই নতুন মরশুমে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিল। সে কারণেই স্কোয়াডে বিস্তর রদবদলের পথে হাঁটল না শ্রেয়স আইয়ারের দল।
বুধবার রিটেন করা ক্রিকেটারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাতে মাত্র ২ জন ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম নেই। মোহিত শর্মা ও তুষার দেশপান্ডেকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে চার জন বিদেশি ক্রিকেটারকেও বিদায় জানিয়েছে ক্যাপিটালস।
বাদ পড়েছেন কীমো পল, সন্দীপ লামিছানে, অ্যালেক্স ক্যারি ও জেসন রয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তারা ধরে রেখেছে কাগিসো রাবাদা, এনরিখ নরকিয়া, মার্কাস স্টইনিস, শিমরন হেতমায়ের, ক্রিস ওকস ও ড্যানিয়েল স্যামসকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন লসিথ মালিঙ্গা
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার তারকার পেসার তথা মুম্বইয়ের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার লসিথ মালিঙ্গা (Lasith Malinga)। স্বাভাবিক ভাবেই আসন্ন মরশুম থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি গায়ে পরতে দেখা যাবে না মালিঙ্গাকে।
মালিঙ্গা আইপিএল ২০২০-র জন্য মুম্বইয়ের স্কোয়াডে থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্টে যোগ দেননি। আইপিএল শুরুর আগেই তিনি সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দেন। এর পর দেশের মাঠে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও যোগ দেননি মালিঙ্গা।
মুম্বই মালিঙ্গা ছাড়াও স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দিয়েছে ন্যাথন কুল্টার-নাইল, জেমস প্যাটিনসন, শেরফান রাদারফোর্ড, মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান, প্রিন্স বলবন্ত রাই ও দিগবিজয় দেশমুখকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
স্টিভ স্মিথের ‘সর্বনাশ’, সঞ্জু স্যামসনের ‘পৌষ মাস’

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কথাতেই আছে, ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’। রাজস্থান রয়্যাল্সের (Rajasthan Royals) আইপিএল স্কোয়াডের দিকে চোখ বোলালে মনে হবে স্টিভ স্মিথের ‘সর্বনাশ’ আর সঞ্জু স্যামসনের ‘পৌষ মাস’।
আইপিএলের নতুন মরশুমে সঞ্জুকে (Sanju Samson) নতুন নেতা হিসেবে বেছে নিল রাজস্থান রয়্যালস। নিলামের আগে তারা স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলেছে স্টিভ স্মিথকে (Steve Smith)। স্মিথের নেতৃত্বে আইপিএল ২০২০ অভিযান মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি রাজস্থানের। তারা টুর্নামেন্ট শেষ করে অষ্টম স্থানে।
ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে জানা গিয়েছে যে দলের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ হচ্ছেন কুমার সঙ্গকারা (Kumar Sangakkara)। তিনিই নতুন মরশুমে ক্রিকেটারদের গাইড করবেন।
রাজস্থান মোট ১৭ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। ছেড়ে দিয়েছে ৮ জন ক্রিকেটারকে। স্টিভ স্মিথ ছাড়াও রয়্যালস শিবির ছেড়ে দিয়েছে টম কারানকে। বরুণ অ্যারন ও অঙ্কিত রাজপুতের মতো ভারতীয় ক্রিকেটাদের দলে রাখেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দীনেশ কার্তিককে দলে রেখে ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটসম্যানকে ছেড়ে দিল কেকেআর
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা
-
ক্রিকেট1 day ago
ঋদ্ধিমান তো বটেই, হায়দরাবাদে থেকে গেলেন বাংলার আরও এক ক্রিকেটার