ইংল্যান্ড: ১৭৯ (৩৮.২ ওভার) (জো রুট ৩৭, উইয়ান মুল্ডার ৩-২৫, মার্কো ইয়ানসেন ৩-৩৯)
সাউথ আফ্রিকা: ১৮১-৩ (২৯.১ ওভার) (রাসি ফান ডার ডুসেন ৭২ নট আউট, হাইনরিখ ক্লাসেন ৬৪, জোফ্রা আর্চার ২-৫৫)
করাচি: টানা সাত ম্যাচে হার। আর স্বাভাবিক হাবেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগে ৩টি ম্যাচেই হেরে বিদায় নিল ইংল্যান্ড। ছন্নছাড়া ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল সাউথ আফ্রিকা। গ্রুপ ‘বি’-তে তারা থাকল শীর্ষ স্থানে। এই গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়াও গেল শেষ চারে। গ্রুপ ‘এ’ থেকে ভারত ও নিউজিল্যান্ড আগেই শেষ চারে পৌঁছেছে। তবে কোন দেশ শীর্ষে থাকবে আর কোন দেশ দ্বিতীয় স্থানে থাকবে, তা ঠিক হবে রবিবার। ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে।
শনিবার করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে এক ছন্নছাড়া ক্রিকেট প্রদর্শন করল ইংল্যান্ড। টসে জিতে ব্যাটিং নেয় তারা। করাচির মাঠে ব্যাটে ভালোই রান আসছে। কিন্তু ইংল্যান্ড তারও সুযোগ নিতে পারল না। এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে কম রানে ইনিংস শেষ করল তারা। ব্যাটাররা এমন সব স্ট্রোক খেললেন যা অর্থহীন। ৩৮.২ ওভারেই ইনিংস শেষ হয়ে গেল তাদের। একজন ব্যাটারও মোকাবিলা করতে পারলেন না সাউথ আফ্রিকার বোলারদের। সাউথ আফ্রিকা জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রায় খুব সহজেই পৌঁছে গেল। ২০.৫ ওভার বাকি থাকতেই তারা জয় পেয়ে গেল। জিতে গেল ৭ উইকেটে।

এল জয়। হাত মেলালেন ডুসেন আর মিলার। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
মার্কো ইয়ানসেনের ৩ উইকেট
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়েছে ইংল্যান্ডের। শুধু চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ব্রুক (২৯ বলে ১৯ রান) ও জো রুট (৪৪ বলে ৩৭ রান) এবং অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক জোস বাটলার (৪৩ বলে ২১ রান) ও জোফ্রা আর্চার (৩১ বলে ২৫ রান) পতন আটকানোর কিছুটা চেষ্টা করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৭৯ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ৩৯ বলে ৩ উইকেট নেন মার্কো ইয়ানসেন।
কামাল করলেন ডুসেন-ক্লাসেন
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৮০ রান তুলতে সাউথ আফ্রিকা নেয় ২৯.১ ওভার। ৪৭ রানের মধ্যে দুটি উইকেট পড়ে যায় তাদের। বিদায় নেন ট্রিস্টান স্টাবস ও রায়ান রিকেলটন। জুটি বাঁধেন রাসি ফান ডার ডুসেন (৮৭ বলে ৭২ নট আউট) এবং হাইনরিখ ক্লাসেন (৫৬ বলে ৬৪ রান)। মূল কাজটা তারাই করে দেন। দলের ১৭৪ রানের মাথায় আদিল রশিদের বলে সাকিব মাহমুদকে ক্যাচ দিয়ে ক্লাসেন যখন বিদায় নেন তখন কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। সামান্য বাকি কাজটুকু সমাধা করেন ডেভিড মিলার। আদিল রশিদকে ১ রান নিয়ে ও প্রান্তে চলে যান মিলার। পরের ওভারে লিয়াম লিভিংস্টোনের প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন মিলার। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন ইয়ানসেন।