ভারত: ১২৪-৬ (হার্দিক পাণ্ড্য ৩৯ নট আউট, আইডেন মার্করাম ১-৪)
সাউথ আফ্রিকা: ১২৮-৭ (ট্রিস্টান স্টাবস ৪৭ নট আউট, বরুণ চক্রবর্তী ৫-১৭)
গেবেরহা (পূর্বতন পোর্ট এলিজাবেথ): বরুণ চক্রবর্তীর দুর্ধর্ষ বোলিং-এর মোকাবিলা করতে পারলেন না সাউথ আফ্রিকার ব্যাটাররা। কিন্তু তাতে কোনও ক্ষতি হল না। ভারত যে স্বল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল, তা ক্রমান্বয়ে উইকেট খুইয়েও পূরণ করে ফেলল আইডেন মার্করামের দল। তারা জিতল ৩ উইকেটে। মাত্র ১৭ রান দিয়ে সাউথ আফ্রিকার ৫টি উইকেট দখল করেন বরুণ। তবে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন ট্রিস্টান স্টাবস, ৪১ বলে ৪৭ রান করে নট আউট থাকার জন্য।
ইনিংসের গোড়াতেই বিপর্যয় ভারতের
গেবেরহার সেন্ট জর্জেস পার্কে আয়োজিত দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় সাউথ আফ্রিকা। ভারতের যে দল প্রথম টি২০ ম্যাচ জিতেছিল, এ দিন সেই দলই মাঠে নামে। কিন্তু এ দিন ভারতের ইনিংসের গোড়াতেই বিপর্যয় নেমে আসে। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিকারী সঞ্জু স্যামসন ইনিংসের তৃতীয় বলে শূন্য রানে ফিরে যান। সঞ্জুকে অনুসরণ করেন অভিষেক শর্মা এবং সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ১৫ রানের মধ্যে ভারতের ৩টি উইকেট পড়ে যায়।
চতুর্থ উইকেটে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিলক বর্মা এবং অক্ষর পটেল। তাঁরা দলের স্কোর টেনে নিয়ে যান ৪৫-এ। কিন্তু রান ওঠার গতি ছিল বেশ কম। ৪৫ রান ওঠে ৮ ওভারে। ২০ বলে ২০ রান করে তিলক আউট হন মার্করামের বলে ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে। অক্ষরের সঙ্গী হন হার্দিক পাণ্ড্য।
পঞ্চম উইকেটে আরও ২৫ রান যোগ হয় ভারতের। ২১ বলে ২৭ রান করে অক্ষর যখন ফিরে যান তখন ভারতের রান ১১.৫ ওভারে ৭০। প্রথমে রিঙ্কু এবং পরে অর্শদীপকে সঙ্গী করে হার্দিক শেষ পর্যন্ত দলের রান নিয়ে যান ১২৪-এ। এ দিন হার্দিককেও চেনা যাচ্ছিল না। ৩৯ রান করে নট আউট থাকলেও হার্দিক সেই রান তোলেন ৪৫ বলে। মজার ব্যাপার হল, ভারতের ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার কোনও বোলারই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেননি। ভারতের ৬টা উইকেট সাউথ আফ্রিকার ছ’জন বোলার ভাগ করে নেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ৫ উইকেট বরুণের। তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব, অক্ষর পটেল প্রমুখ। ছবি BCCI ‘X’ থেকে নেওয়া।
১ ওভার বাকি থাকতেই জয় সাউথ আফ্রিকা।
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ১২৫। তা সত্ত্বেও সাউথ আফ্রিকারও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। ভারতের মতো তাদের শূন্য রানে প্রথম উইকেট না পড়লেও তারাও ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারায়। তাদেরও রান ওঠার গতি ছিল বেশ শ্লথ। ১৫.৪ বলে তারা সপ্তম উইকেট হারায়। দলের রান তখন ৮৬। মারাত্মক বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখল করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বরুণ চক্রবর্তী এই প্রথম ৫ উইকেট দখল করলেন।
তখনও জয় থেকে ৩৯ রান দূরে। এই রান করতে হবে ৪.২ ওভারে। অর্থাৎ ওভারপিছু ৯-এর উপর। এ দিন যে গতিতে দু’ দল রান তুলেছে, তাতে ভারতের সমর্থকদের মনে জয়ের একটা আশা জেগে ওঠে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দেন ক্রিস্টান স্টাবস এবং গেরাল্ড কোয়েৎজে। খেলার চরিত্র একেবারে বদলে যায়। মারাকাটারি ব্যাটিং দু’জনের। ৩.২ ওভারে তাঁরা তোলেন ৪২ রান, গড়ে ১৩ রানের ওপরে। ৪১ বলে ৪৭ রান করে নট আউট থাকেন ক্রিস্টান স্টাবস। তাঁর ৪৭ রানে ছিল ৭টা চার। আর ৯ বলে ১৯ রান করে নট আউট থাকেন গেরাল্ড কোয়েৎজে। তাঁর ১৯ রানে ছিল ১টা ছয়, ২টো চার। ১ ওভার বাকি থাকতেই জয়ে পৌঁছে যায় সাউথ আফ্রিকা।