দক্ষিণ আফ্রিকা: ১১৫-৭ (রিজা হেনড্রিক্স ৪৩, ট্রিস্টান স্টুব্স ২৭ নট আউট, কুশল ভুরতেল ৪-১৯, দীপেন্দ্র সিং আইরি ৩-২১)
নেপাল: ১১৪-৭ (আসিফ শেখ ৪২, অনিল শাহ ২৭, তাবরাইজ শামসি ৪-১৯)
খবর অনলাইন ডেস্ক: আপাতদৃষ্টিতে এই ম্যাচের কোনো গুরুত্ব ছিল না। এবারের টি২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার ৮-এ চলে গিয়েছে। এটা ছিল নিতান্তই নিয়মরক্ষার ম্যাচ। নিয়মরক্ষার ম্যাচকেই উত্তেজক ম্যাচে পরিণত করে ফেলেছিল নেপাল। কিন্তু অঘটন ঘটতে ঘটতে ঘটল না। মাত্র ১ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেল নেপাল।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার সকালের (স্থানীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যার) এই ম্যাচে নেপাল জিতে গেলে কিছুটা চিন্তায় পড়ত বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘ডি’ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার ৮-এ চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসাবে বাংলাদেশই এগিয়ে রয়েছে। ৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। আজকের ম্যাচ যদি নেপাল জিতত তা হলে তাদের পয়েন্ট হত ৩। কিন্তু তাদের শেষ খেলা বাংলাদেশেরই সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেপাল বাংলাদেশের মুখোমুখি হলে বাংলাদেশ যে কিছুটা চাপে থাকত তাতে সন্দেহ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যাওয়ায় বাংলাদেশ কিছুটা নিশ্চিন্ত হল।
১১৫-য় আটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা
সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নোস ভেল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে নেপাল ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তাদের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা দক্ষিণ আফ্রিকার খেলাতেই প্রমাণিত হয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলতে পারল মাত্র ১১৫ রান। তাও এই ১১৫ রানের মধ্যে ৭০ রানই এল রিজা হেনড্রিক্স আর ট্রিস্টান স্টুব্সের ব্যাট থেকে। ইনিংসের ওপেন করতে নেমে রিজা ৪৯ বলে ৪৩ করে দীপেন্দ্র সিং আইরির বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তখন দলের রান ৮২। এর পর আর মাত্র ৩৩ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা, বিনিময়ে হারায় ৩ উইকেট। ১৮ বলে ২৭ রান করে নট আউট থাকেন ট্রিস্টান স্টুব্স। নেপালের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন কুশল ভুরতেল (১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট) এবং দীপেন্দ্র সিং আইরি (২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট)।
ব্যবধান রইল মাত্র ১ রান
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তাড়া করতে গিয়ে নেপাল ভালোই শুরু করেছিল। প্রথম উইকেটে তারা করে ৩৫ রান। ওই একই রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে নেপাল যোগ করে ৫০ রান। সমর্থকদের মনে তখন জয়ের একটা ক্ষীণ আশা উঁকিঝুঁকি মারছে। ৯৯ রানে দলের চতুর্থ উইকেট পড়ার পরেও আশা ছিল জয়ের জন্য বাকি ১৬ রান নেপাল তুলে নেবে ইনিংসের বাকি ১৫ বলে। তা হল না। মাত্র ১ রানের জন্য ম্যাচ টাই করতে পারল না নেপাল। তবু নেপালের এই লড়াই মনে রাখার মতো। নেপালের রান এল মূলত আসিফ শেখ (৪৯ বলে ৪২ রান) এবং অনিল শাহের (২৪ বলে ২৭ রান) ব্যাট থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরাইজ শামসি ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন।
আরও পড়ুন