ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৫-৮ (রোস্টন চেজ ৫২, কাইল মেয়ার্স ৩৫, তাবরাইজ শামসি ৩-২৭)
সাউথ আফ্রিকা: ১২৪-৭ (১৬.১ ওভার) (ট্রিস্টান স্টুব্স ২৯, হাইনরিখ ক্লাসেন ২২, রোস্টোন চেজ ৩-১২, আন্দ্রে রাসেল ২-১৯)
খবর অনলআইন ডেস্ক: বৃষ্টির জন্য মাঝখানে খেলা বন্ধ থাকল ঘণ্টাদেড়েক। ডিএলএস পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হল। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা যেমন কমল, তেমনই ওভার কমে গেল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় করায়ত্ত হল সাউথ আফ্রিকার। তারা চলে গেল এবারের টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। যেতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ভারতীয় সময় সোমবার সকালে অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠায় সাউথ আফ্রিকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান। সাউথ আফ্রিকা ২ ওভার ব্যাট করার পর বৃষ্টি নামে। ঘণ্টাদেড়েক পরে ফের খেলা শুরু হয়। তখন ডিএলএস প্রয়োগ করা হয়। সাউথ আফ্রিকার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১২৩, করতে হবে ১৭ ওভারে। ১৬.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ করে জয় ছিনিয়ে নেয় সাউথ আফ্রিকা।
গ্রুপ ‘২’ থেকে সেমিফাইনালে সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড
গ্রুপ ‘২’ থেকে সেমিফাইনালে আগেই চলে গিয়েছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দল হিসাবে কে যাবে তা নিয়ে প্রবল কৌতূহল ছিল ক্রীড়াপ্রেমী মহলে। এবং এটা নির্ভর করছিল সাউথ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলার ওপরে। সাউথ আফ্রিকার ঘরে রয়েছে ২টি ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরে ২টি ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানরেট ছিল সকলের বেশি – ১.৯৯২। সুতরাং আজ যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোনোরকমে জিতত তা হলেই চলে যেত সেমিফাইনালে। কিন্তু তা হল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হার স্বীকার করল তারা। শেষ পর্যন্ত ৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ শীর্ষে গেল সাউথ আফ্রিকা।
রোস্টোন চেজ, কাইল মেয়ার্সের ব্যাটেই রান
প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৫-এ পৌঁছোয় মূলত রোস্টোন চেজ এবং কাইল মেয়ার্সের ব্যাটে নির্ভর করে। চেজ করেন ৪২ বলে ৫২ রান এবং মেয়ার্স করেন ৩৪ বলে ৩৫ রান। আন্দ্রে রাসেল ৯ বলে ১৫ রান করে রান আউট হন। সাউথ আফ্রিকার সফলতম বোলার তাবরাইজ শামসি। তিনি ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি ৪ উইকেট ভাগ করে নেন মার্কো ইয়ানসেন, আইডেন মার্করাম, কেশব মহারাজ এবং কাগিসো রাবাদা।
কঠিন লড়াই জিতল সাউথ আফ্রিকা
সাউথ আফ্রিকা খেলা শুরু করতেই বৃষ্টি নামে। ততক্ষণে তাদের ইনিংসের ২ ওভার খেলা হয়েছে। স্কোর ২ উইকেটে ১৫। বেশ চাপে তারা। বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হল লক্ষ্যমাত্রা গিয়ে দাঁড়াল ১২৩, করতে হবে ১৭ ওভারে। অর্থাৎ বাকি ১০৮ রান করতে হবে ১৫ ওভারে। সেই কাজ মোটামুটি সবাই মিলে ভাগাভাগি করে সমাধা করলেন। জয়ের পিছনে অবদান রয়েছে মোটামুটি সব ব্যাটারের – ট্রিস্টান স্টুবস (২৭ বলে ২৯ রান), হাইনরিখ ক্লাসেন (১০ বলে ২২ রান), মার্কো ইয়ানসেন (১৪ বলে ২১ রান নট আউট), অধিনায়ক আইডেন মার্করাম (১৫ বলে ১৮)। সপ্তদশ ওভারের প্রথম বলে ছয় মেরে দলকে জয়ে পৌঁছে দিলেন মার্কো ইয়ানসেন।
‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ তাবরাইজ শামসি
ব্যাটিং এবং বোলিং-এ সমান দক্ষতা দেখালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেজ। ৪২ বলে করলেন ৫২ রান আর ১২ রান দিয়ে পেলেন ৩টি উইকেট। কিন্তু হেরো দলের খেলোয়াড় বলে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন না তিনি। ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করে এই সম্মান পেলেন তাবরাইজ শামসি।
আরও পড়ুন