ক্রিকেট
অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম একাদশ ঘোষিত, উইকেটে ঋদ্ধিমান সাহা
শুভমন গিল নন, ওপেনার হিসেবে ভরসা রাখা হল পৃথ্বী শ’র ওপরে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ঋষভ পন্থ নন, বাজিমাত করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে শুরু হতে চলা প্রথম টেস্টে উইকেটকিপার হচ্ছেন বাংলার ঋদ্ধি। ফলে প্রমাণিত যে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের থেকে দক্ষ উইকেটকিপারই চাইছে ভারত।
ম্যাচে শুরুর কুড়ি ঘণ্টা আগে প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিয়েছে ভারত। সেই দলে নতুন কোনো চমক নেই। কোনো পেসারের অভিষেকও হচ্ছে না, যেমনই অভিষেক হচ্ছে না শুভমন গিলের।
ভরসা পৃথ্বীতে
প্রস্তুতি ম্যাচে ফর্মে ছিলেন না পৃথ্বী শ। তুলনায় শুভমন গিলের ফর্ম ভালোই ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও পৃথ্বীর ওপরেই ভরসা করছে ভারত। এর মূল কারণ হতে পারে নিউজিল্যান্ডে শেষ টেস্ট সিরিজে রান পেয়েছিলেন পৃথ্বী।
তবে শুভমানের ভাগ্য এখন না খুললেও মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ভাগ্য খুলতে পারে শুভমনের। সে ক্ষেত্রে ওপেনার না হলেও মিডিল অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন তিনি। এর ফলে ভারতীয় টপ অর্ডার হল এই রকম:
ময়াঙ্ক, পৃথ্বী, পুজারা, বিরাট, রাহানে, হনুমা, ঋদ্ধি
তৃতীয় পেসার উমেশ যাদব
মহম্মদ সিরাজ বা নবদীপ সাইনির অভিষেক হচ্ছে না অ্যাডিলেডে। উমেশ যাদবই তৃতীয় পেসার হিসেবে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়া চতুর্থ বোলার হিসেবে থাকছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দিন রাতের টেস্টে স্পিনারের ভূমিকা কিছুটা কম হতে পারে। সে কারণেই অশ্বিনের বদলে চতুর্থ পেসার খেলানোর একটা ব্যাপার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সেই পথে হাঁটল না টিম ম্যানেজমেন্ট।
অর্থাৎ মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, উমেশ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ওপরেই দায়িত্ব থাকছে অস্ট্রেলিয়ার কুড়িটা উইকেট ফেলার।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি, বলছেন হতাশ রবি ফাউলার
ক্রিকেট
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল লর্ডসে হবে না: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ১৯৮৩-এর ছবি ২০২১-এ দেখা যাবে না। কপিল দেব লর্ডসের ব্যালকনিতে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে যে পোজ দিয়েছিলেন, সেটা বিরাট কোহলি করতে পারবেন না টেস্টের বিiশ্বকাপ জিতলেও। কারণ ফাইনালটাই যে আর লর্ডসে হবে না।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল লর্ডস থেকে সাউদাম্পটনে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে জানান সৌরভ।
উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপ এখনও সে ভাবে কমেনি। সে কারণে জৈব সুরক্ষা বলয়ের ওপরে এখনও জোর দিতেই হবে। আর ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের আজিয়েস বল স্টেডিয়ামে মাঠের ঠিক লাগোয়া হোটেল রয়েছে। গত বছর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে এই সাউদাম্পটনেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান।
শনিবার ইংল্যান্ডকে ইনিংসে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত এবং সরাসরি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যায়। আগামী ১৮ জুন ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। তবে ম্যাচটা লর্ডসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাউদাম্পটনে হলে কিছুটা ম্যাচের জৌলুস যে কিছুটা কমবে তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
‘সাডেন ডেথ’-এ গোয়াকে হারিয়ে এই প্রথম আইএসএল-এর ফাইনালে মুম্বই
ক্রিকেট
ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।

ভারত: ৩৬৫ (পন্থ ১০১, সুন্দর ৯৬* স্ট্রোকস ৪-৮৯, আন্ডারসন ৩-৪৪)
ইংল্যান্ড: ২০৫ (স্ট্রোকস ৫৫, লরেন্স ৪৬ অক্ষর ৪-৬৮, অশ্বিন ৩-৪৭) এবং ১৩৫ (লরেন্স ৫০, রুট ৩০ অশ্বিন ৫-৪৭ অক্ষর ৫-৪৮)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচে এক ইনিংস এবং ২৫ রানে দুর্দান্ত জয়! ঘরের মাঠে ১৩তম টেস্ট সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।
শনিবার অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন বিপক্ষ ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দিল ভারত।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর পটেলের দুর্দান্ত বোলিংই এ দিন ভারতের জয়ের পথ মসৃণ করে দেয়। দুই ভারতীয় বোলারই দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে অক্ষর ৪টি এবং অশ্বিন ৩টি উইকট তুলে নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে স্কোর বোর্ডে দেড়শোর উপরে উঠতে দিলেন না দুই দাপুটে বোলার।
ইংল্যান্ড এই টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে তারা ২০৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে ১৬০ রানের লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেল আজ। এই টেস্টে অক্ষর ৯ উইকেট এবং আশ্বিন ৮ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ঋষভ পন্থ।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ২২৭ রানে জিতে এই সিরিজে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে হারিয়ে ভারত আবারও ফিরে আসে। এর পরে, দ্বিতীয় টেস্টটি দু’দিনের মধ্যেই ১০ উইকেটে জিতে নেয় ভারত। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চতুর্থ টেস্টে এক ইনিংস ও ২৫ রানে জয়ী হল ভারত। সিরিজের ফল ৩-১।
আরও পড়তে পারেন: শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
ক্রিকেট
শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে।

ইংল্যান্ড ২০৫
ভারত ২৯৪-৭ (ঋষভ ১০১, সুন্দর ৬০, অ্যান্ডারসন ৩-৪০)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেকের পর থেকে বল হাতে যতটা কামাল তিনি করেছেন, তার থেকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছেন ব্যাটে। এ হেন ওয়াশিংটন সুন্দর যদি ঋষভ পন্থের সঙ্গে ক্রিজে জমে না জেতেন, তা হলে ভারতের কপালে অবধারিত দুঃখ ছিল।
পন্থকে যত কৃতিত্ব দেওয়া যায়, কমই হবে। অত্যন্ত কঠিন পিচে যে ব্যাটিংটা তিনি করলেন তা এক কথায় দুর্দান্ত। টেস্টে পন্থের অনেক ভালো ভালো ইনিংস রয়েছে। কিন্তু তাঁর সেরা ইনিংসগুলোর তালিকা তৈরি করতে হলে, নিঃসন্দেহে এটা দু’নম্বরে আসবে, প্রথমে অবশ্যই আসবে ব্রিসবেনে ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংসটা।
মধ্যাহ্নভোজনের আগেই ভারতের চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল, দল তখনও ৯০ পেরোয়নি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমে গিয়েও স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন অজিঙ্ক রাহানে। দু’জনের জুটিটা বেশ চলছিল। রাহানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বড়ো রানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেই ইনিংসকে কাটছাঁট করে দেন জেমস অ্যান্ডারসন।
তার আগেই ভারত বড়ো চাপ খেয়ে গিয়েছে এ দিন। দিনের খেলা শুরু হওয়ার একটু পরেই পর পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলি। সিরিজে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ০ করলেন বিরাট, যা তাঁর কাছে অকল্পনীয়। দলের স্কোর তখন ৪১। এর পর চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল ইংল্যান্ড তখন ম্যাচে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু খেলা ঘুরিয়ে দিলেন পন্থই।
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে। সেই রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান পন্থ। পঞ্চাশ থেকে মাত্র এক রান কমে আউট হয়ে যান রোহিত। কিছুক্ষণ পর যখন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও আউট হন ভারত তখন ইংল্যান্ডের স্কোর থেকে ৫৯ রান দূরে।
এর পরের ঘণ্টা আড়াই আর উইকেট পড়েনি। ক্রিজে এসেই জমে যেতে শুরু করেন সুন্দর। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেন পন্থ। দু’জনের জুটি যখন একশো পেরিয়ে যায়, তখন পন্থের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৬৩। জো রুটের বলে ছক্কা মেরে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্যে দিয়েই শতরানের খরা কাটে পন্থের। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সিডনিতে শেষ বার শতরান করেছিলেন তিনি।
তবে এ দিন পন্থের ইনিংসে দু’রকম ধরন দেখা গিয়েছিল। প্রথম পঞ্চাশ তিনি করেছিলেন ঢিমেতালে খেলে। কিন্তু পরের পঞ্চাশ আসে পন্থের চিরাচরিত আগ্রাসী ঢঙেই। যদিও শতরানের পরেই পন্থ বুঝিয়ে দেন যে তিনি নিজের স্বভাব খুব একটা বদলাবেন না। কারণ শতরান থেকে এক রান বেশি করেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি।
তবে পন্থ যখন আউট হলেন ভারত ততক্ষণে লিড নিয়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এখন থেকে যা রানই আসত, সবই বোনাস। এ বার অর্ধশতরান পেরিয়ে যান সুন্দর। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোনো উইকেট পড়েনি ভারতের। লিড ক্রমশ বাড়িয়ে তারা এখন যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য3 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য3 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
দেশ3 days ago
স্বামী থাকতেও প্রেমিক খুঁজছেন ভারতের বিবাহিত মহিলারা! এটা কি খারাপ খবর?