পাপুয়া নিউ গিনি (পিএনজি): ৭৭ (১৯.১ ওভার) (হিরি হিরি ১৫, ফ্রাঙ্ক এনসুবাগা ২-৪, জুমা মিয়াগি ২-১০)
উগান্ডা: ৭৮-৭ (১৮.২ ওভার) (রিয়াজত আলি শাহ ৩৩, আলেই নাও ২-১৬, নর্মান ভানুয়া ২-১৯)
খবর অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বকাপে প্রথম জেতার লড়াই ছিল দু’ দলেরই। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসল উগান্ডা। ইনিংসের শুরুতেই বিধ্বস্ত হয়ে গেলেও রিয়াজত আলি শাহের ব্যাটে ভর করে তারা জয় ছিনিয়ে নিল পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) কাছ থেকে। অত্যন্ত কম স্কোরের ম্যাচে উগান্ডা ৩ উইকেটে হারাল পিএনজি-কে। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’-এর সম্মান পেলেন রিয়াজত আলি শাহ।
মাত্র ৩ জনের রান দু’ অঙ্কের
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় ভোর ৫টায় (স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা) গুয়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে পিএনজি-কে ব্যাট করতে পাঠায়। এবং উগান্ডা প্রমাণ করে সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। নির্ধারিত ২০ ওভারের ৫ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় পিএনজি। উগান্ডার বোলারদের বিরুদ্ধে তাদের কোনো ব্যাটারই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান আসে হিরি হিরির ব্যাট থেকে, ১৫। আর দু’জন দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছোন লেগা সিয়াকা (১২) এবং কিপলিন দোরিগা।
পিএনজি-র উইকেটগুলি উগান্ডার বোলাররা প্রায় সমান ভাগে ভাগ করে নেন। সবচেয়ে সফল বোলার ফ্রাঙ্ক এনসুবাগা। তিনি ৪ ওভারে ৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট দখল করেন। তাঁর ৪ ওভারে ২টি মেডেন ছিল। এ ছাড়াও জুমা মিয়াগি ১০ রান দিয়ে ২টি উইকেট দখল করে।
প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে জয়
কিন্তু সহজ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোতে উগান্ডারও যে কালঘাম ছুটে যাবে সেটা সেই দলের সমর্থকরা ভাবতেও পারেননি। পিএনজি-র বোলিং-এর দাপটে ২৬ রানের মধ্যে তাদের ৫টি উইকেট পড়ে যায়। জয়ের আশা যখন ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছে তখন হাল ধরেন ৪ নম্বরে নামা রিয়াজত আলি শাহ এবং জুমা মিয়াগি। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৩৫ রান।
দুর্ভাগ্যক্রমে দলের ৬১ রানের মাথায় জুমা রান আউট হয়ে যান। তাতে অবশ্য উগান্ডার খুব একটা বিপদ হয়নি। ৫৬ বলে ৩৩ রান করে রিয়াজত যখন আউট হন জয় তখন ৩ রান দূরে। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতে জয় পেয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ: বুমরাহ-হার্দিক-অর্শদীপের বোলিং, রোহিত-ঋষভের ব্যাটে আয়ারল্যান্ড ধরাশায়ী