ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৯-৯ (শেরফেন রাদারফোর্ড ৬৮ নট আউট, ট্রেন্ট বোল্ট ৩-১৬, টিম সাউদি ২-২১, লকি ফার্গুসন ২-২৭)
নিউজিল্যান্ড: ১৩৬-৯ (গ্লেন ফিলিপস ৪০, ফিন আলেন ২৬, আলজারি জোসেফ ৪-১৯, গুদাকেশ মোতি ৩-২৫)
খবর অনলাইন ডেস্ক: পর পর ৩টি ম্যাচ জিতে এবারের টি২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘সি’ থেকে ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ চলে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ত্রিনিদাদ-টোবাগোর তারৌবায় ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে তারা নিউজিল্যান্ডকে হারায় ১৩ রানে। এই জয়ের পিছনে সবচেয়ে বড়ো অবদান শেরফেন রাদারফোর্ড, আলজারি জোসেফ এবং গুদাকেশ মোতির। রাদারফোর্ডের ব্যাটিং-ঝড় এবং জোসেফ ও মোতির বলের জাদুতে ভর করে জয়ের মুখ দেখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন শেরফেন রাদারফোর্ড।
দশম উইকেটে ঝড় তুললেন রাদারফোর্ড
ম্যাচ শুরু হয় বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল ৬টায় (স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৮টা)। টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একমাত্র ব্যাটার যাঁকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি তিনি শেরফেন রাদারফোর্ড। ৩৯ বলে ৬৮ রান করে নট আউট থাকেন রাদারফোর্ড।
৩০ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ৫টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন এবং জেম্স নিশাম। প্রথম ৫ জন ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে কিছু রান (১২ বলে ১৭) আসে। এর পর শেরফেন রাদারফোর্ড এবং কিছুটা আকিল হোসেন, আন্দ্রে রাসেল ও রোমারিও শেফার্ডের চেষ্টায় দলের উইকেট পতন কিছুটা রোধ হয়। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছে যায় ১৪৯-এ। শেষের দিকে উড়িয়ে খেলেন রাদারফোর্ড। দলের নবম উইকেট পড়েছিল ১১২ রানে। হাতে ছিল মাত্র ১৩টা বল। রাদারফোর্ড একাই রান টেনে নিয়ে যান ১৪৯-এ। তাঁর সঙ্গী ছিলেন গুদাকেশ মোতি। তিনি মাত্র ১টি বল খেলেন, কোনো রান করেননি।
মিশেল স্যান্তনারের শেষ চেষ্টা সফল হল না
জয়ের জন্য দেড়শো রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডেরও ঘন ঘন উইকেট পড়তে থাকে। তবে তারা প্রথম ২ উইকেটে করে ৩৪ রান, ৫.৪ ওভারে। তখনও ভাবা যায়নি তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যাবে। কিন্তু ৬৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পড়ে যায়। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন ড্যারিল মিশেল আর গ্লেন ফিলিপস। দলের ৮৫ রানে মিশেল (১৩ বলে ১২ রান) আউট হয়ে যাওয়ার পর ফিলিপসের সঙ্গী হন জেমস নিশাম।
ফিলিপস আর নিশাম যতক্ষণ খেলছিলেন ততক্ষণ মনে হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু ১০৮ রানের মাথায় ফিলিপস আউট হতেই সেই আশা অনেকটাই দূরে চলে যায়। ৩৩ বলে ৪০ রান করে আলজারি জোসেফের বলে রোভম্যান পাওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান গ্লেন ফিলিপস। শেষের দিকে ম্যাচ জমিয়ে দেন মিশেল স্যান্তনার। তিনি ১২ বলে ২১ করে নট আউট থাকলেও সঙ্গীর অভাবে তিনি দলকে জেতাতে পারলেন না। ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেলেন আলজারি জোসেফ এবং গুদাকেশ মোতি ৩ উইকেট পেলেন ২৫ রান দিয়ে।
খাতায় কলমে লড়াইয়ে থাকল আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড
গ্রুপ ‘সি’ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ যাওয়ার লড়াইয়ে থাকল আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে আফগানিস্তান কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। তারা ২টি ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। নিউজিল্যান্ডও ২টি ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু এখনও কোনো পয়েন্ট ঘরে তুলতে পারেনি। আফগানিস্তানের খেলা বাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে। আর নিউজিল্যান্ডের খেলা বাকি উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে। কোনো ভাবে যদি দুটি দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায় অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি ২টি ম্যাচেই হেরে যায় এবং নিউজিল্যান্ড যদি ২টি ম্যাচেই জিতে যায় তা হলে নেট রানরেটের বিচারে ঠিক হবে কে ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ যাবে। তবে পাপুয়া নিউ গিনির কাছে আফগানিস্তান হেরে যাবে, এটা একটু কষ্টকর কল্পনা।
আরও পড়ুন
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ উইকেটে হারিয়ে ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ ভারত