ক্রিকেট
দীনেশ কার্তিক নয়, রোহিত শর্মার কাছে নিদাহাসের ফাইনালের সেরা মুহূর্ত কোনটা?
ওয়েবডেস্ক: ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে নিদাহাসের ফাইনালে ভারতকে হারের মুখ থেকে জিতিয়ে দেন দীনেশ কার্তিক। শেষ বলে ছয় মেরে যে ভাবে ভারতকে জিতিয়েছেন কার্তিক, তাতে ফাইনালে ভারতীয় সমর্থকদের কাছে সেরা মুহূর্ত ওই ইনিংসটাই। কিন্তু রোহিত শর্মার কাছে সেরা মুহূর্ত অন্য একটা ঘটনা। রবিবার ফাইনালটি কোলম্বোয় হলেও ভারতের সমর্থন ছিল নজরকাড়া। ভারতকে সমর্থন জানাতে মাঠে ভিড় […]
ওয়েবডেস্ক: ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে নিদাহাসের ফাইনালে ভারতকে হারের মুখ থেকে জিতিয়ে দেন দীনেশ কার্তিক। শেষ বলে ছয় মেরে যে ভাবে ভারতকে জিতিয়েছেন কার্তিক, তাতে ফাইনালে ভারতীয় সমর্থকদের কাছে সেরা মুহূর্ত ওই ইনিংসটাই। কিন্তু রোহিত শর্মার কাছে সেরা মুহূর্ত অন্য একটা ঘটনা।
রবিবার ফাইনালটি কোলম্বোয় হলেও ভারতের সমর্থন ছিল নজরকাড়া। ভারতকে সমর্থন জানাতে মাঠে ভিড় করেছিলেন শ্রীলঙ্কানরা। সেই সমর্থনের মধুরেণ সমাপয়েত হয় ম্যাচের শেষে যখন ভারতীয় সমর্থক সুধীরকে কোলে তুলে মাঠ ঘুরতে দেখা যায় শ্রীলঙ্কার এক সমর্থককে।
এই মুহূর্তের একটি ছবি পোস্ট করে রোহিত নিজের টুইটারে লিখেছেন, “দীনেশ কার্তিকের ইনিংস এবং ভারতের ট্রফি তোলা ছাড়া এই মুহূর্তটা আমার কাছে ফাইনালের সেরা।” ‘স্পোর্টস ইউনাইটস আস’ বলে হ্যাশট্যাগ দেন রোহিত।
Apart from @DineshKarthik ‘s heroics and India lifting the trophy, this 👇to me was one of the best moments of the night #SportUnitesUs pic.twitter.com/NkApLs2ZL3
— Rohit Sharma (@ImRo45) March 19, 2018
ক্রিকেট
চাইলেন অব্যাহতি, চতুর্থ টেস্টে খেলবেন না জসপ্রীত বুমরাহ
বুমরাহর অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেতে পারেন জসপ্রীত বুমরাহ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ব্যক্তিগত কারণে চতুর্থ টেস্টের দল থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বিসিসিআই। অর্থাৎ, অমদাবাদে আয়োজিত হতে চলা চতুর্থ টেস্টে খেলতে পারবেন না বুমরাহ।
এই প্রসঙ্গেই একটি বিবৃতি পেশ করে বিসিসিআই জানিয়েছে, “জসপ্রীত বুমরাহ জানিয়েছিলেন যে ব্যক্তিগত কারণে চতুর্থ টেস্টে খেলতে পারবেন না তিনি। আমরা তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছি। তাঁকে চতুর্থ টেস্টের দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম টেস্টে চার উইকেট নিয়েছিলেন বুমরাহ। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তবে তৃতীয় টেস্টে ফের দলে ফিরে এলেও বিশেষ প্রয়োজন পড়েনি বুমরাহর, কারণ সেই টেস্টে ইংল্যান্ডের ১৯টা উইকেটই তুলেছিলেন স্পিনাররা। একটি উইকেট নিয়েছিলেন ইশান্ত।
এ দিকে চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে বুমরাহর বদলে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। ফলে, অমদাবাদের দ্বিতীয় টেস্টেও ভারত যদি দুই পেসার খেলায় তা হলে ইশান্ত শর্মার সঙ্গী যে সিরাজই হবেন, তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কেরলকে হারিয়ে শেষ চারে নর্থইস্ট, রবিবার লড়াই গোয়া ও হায়দরাবাদের মধ্যে
ক্রিকেট
বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম হিসাবে ৪০০ উইকেট দখলের কৃতিত্ব রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
শেষ পর্যন্ত জ্যাক লিচকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ৭৭টা টেস্ট থেকে অশ্বিনের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০১টি উইকেট।

খবর অনলাইন ডেস্ক: জোফরা আর্চার এলবিডব্লু বোল্ড অশ্বিন ০।
স্কোরবোর্ডে এই তথ্য আসতেই একটা দুর্লভ মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টেস্ট কেরিয়ারে ৪০০ উইকেট দখল করার কৃতিত্ব। এবং দ্রুততম ভারতীয় হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন অশ্বিন। নিজের ৭৭তম টেস্টে এই কৃতিত্বের অধিকারী হলেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, এই কৃতিত্ব অর্জন করার ক্ষেত্রে নিজের নাম লিখে রাখলেন বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসাবে। তাঁর আগে রয়েছেন মুথাইয়া মুরলিধরন। তিনি ৭২টা টেস্টে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
ভারতীয় হিসাবে অশ্বিন হলেন চতুর্থ বোলার যিনি টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট দখল করলেন। এই কৃতিত্ব আর যাঁদের রয়েছে, তাঁরা হলেন অনিল কুম্বলে (৬১৯), কপিল দেব (৪৩৪) এবং হরভজন সিং (৪১৭)।
বৃহস্পতিবার অমদাবাদ টেস্টে ইংল্যান্ড যখন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তখন অশ্বিনের সংগ্রহে ছিল ৩৯৭ উইকেট। ৪০০ পূরণ করার জন্য আরও ৩ উইকেটের দরকার ছিল। প্রশ্ন ছিল, এই টেস্টেই কি ৪০০-এর ঘর ছুঁতে পারবেন অশ্বিন?
বেন স্টোক্সকে এলবিডব্লু করে খাতা খোলেন অশ্বিন। তার পর ওলি পোপকে বোল্ড করেন তিনি। জোফরা আর্চারকে তুলে নিয়ে অশ্বিন পৌঁছে যান ৪০০-য়।
শেষ পর্যন্ত জ্যাক লিচকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ৭৭টা টেস্ট থেকে অশ্বিনের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০১টি উইকেট। এ ছাড়াও অশ্বিনের দখলে রয়েছে একদিনের ক্রিকেটে ১৫০টি উইকেট এবং টি২০ ক্রিকেটে ৫২টি উইকেট।
৩৪ বছর বয়সি অশ্বিন উইকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবেন তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: দু’দিনে টেস্ট শেষ করে মহাবিতর্ক তৈরি করে দিল অমদাবাদের খোঁয়াড় পিচ

ইংল্যান্ড: ১১২ এবং ৮১ (স্টোক্স ২৫, রুট ১৯, অক্ষর ৫-৩২)
ভারত: ১৪৫ (রোহিত ৬৬, রুট ৫-৮) এবং ৪৯-০ (রোহিত ২৫ অপরাজিত, শুভমন ১৫ অপরাজিত)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: অনেকেই বলতে শুরু করবেন বিদেশে যদি সবুজ পিচ তৈরি করে ভারতকে বিপদে ফেলা হয়, তা হলে ঘরের মাঠে ভারত কেন নিজেদের পছন্দের পিচ তৈরি করবে না!
তা এই বিতর্কটা এখানেই শেষ করা ভালো। অমদাবাদে যে পিচ তৈরি করা হয়েছে, মানে যা আদতে তৈরি করাই হয়নি, সেটা ভারতেরও পছন্দের পিচ নয়। ভারতের পছন্দের পিচ হলে এখানে বিরাটবাহিনীর অসহায় আত্মসমর্পণ ঘটত না। জো রুটের সাদা মাটা স্পিন সামলাতে ভারত যে ভাবে হিমশিম খেল, তাতে কখনোই অমদাবাদের পিচকে ভারতের আদর্শ পিচ বলা যায় না।
দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ইংল্যান্ড কোনো রকমে আরও ৭০-৮০টা রান বেশি করতে পারত, তা হলে ভারত যে এই পিচেই বিপাকে পড়ত না কে বলতে পারে! সুতরাং অমদাবাদের খোঁয়াড় পিচকে কখনোই ভারতের আদর্শ পিচ বলা যায় না। যে ভাবে দু’ দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে গেল, তাতে অমদাবাদের পিচ বিতর্ক এখন চলবে কিছু দিন। উপভোগ্য ক্রিকেটের জন্য পিচের মান বদলের যে সময় এসেছে তা এক কথায় বলে দেওয়া যায়।
তবুও অক্ষর পটেল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কৃতিত্ব কোনো ভাবেই ছোটো করা হচ্ছে না। প্রথম জন নিজের ঘরের মাঠেই ১১টা উইকেট নিয়ে নিলেন, তা-ও আবার নিজের দ্বিতীয় টেস্টে। রবীন্দ্র জাদেজা সুস্থ হয়ে গেলেও অক্ষরকে ভারতীয় দলের বাইরে রাখা এখন মুশকিল হবে। আর দ্বিতীয় জন বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে চারশো উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন।
দিন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ভারতীয় ব্যাটিং যে ভাবে জো রুটের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, তা অতীতে খুব একটা দেখা যায় না। মাত্র ৪৬ রানের মধ্যে পড়ল সাতটা উইকেট। এই সাতটার মধ্যে পাঁচটা উইকেটই নিয়ে নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক রুট।
বৃহস্পতিবার ভারত নিজের স্কোর কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেটা দেখার ছিল। রোহিত শর্মা এবং অজিঙ্ক রাহানের ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছিল। কিন্তু ভারতীয় স্পিনারদের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের স্পিনাররাও যে গোলাপি বলকে মারাত্মক ভাবে ঘোরাবেন সেটা কার্যত আন্দাজই করা যায়নি।
এ দিন খেলা শুরু হওয়ার প্রথম কয়েকটি ওভারের পর ভারতীয় শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন জ্যাক লিচ, অজিঙ্ক রাহানেকে তুলে নিয়ে। এর পর রোহিত শর্মাও লিচের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে যান। এর পর শুধুই রুটের কেরামতি।
ভারতীয় পিচে দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলেছেন রুট। চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে একার হাতেই ভারতকে হারিয়েছেন তিনি। টুকটাক বলও করতে পারেন। কিন্তু তা বলে সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি পাঁচ উইকেট নিতে পারেন, সেটা ভাবাই যায়নি। তাঁর ঘূর্ণির শিকার হলেন পন্থ, ওয়াশিংটন, অশ্বিন, অক্ষর এবং বুমরাহ।
মাত্র ৩৩ রানের লিড নিয়ে শেষ হয়ে যায় ভারত। তখনও আন্দাজ করা যায়নি যে ভারত যত দ্রুত অল আউট হয়েছে, ইংল্যান্ড তার থেকেও কম সময়ে অল আউট হয়ে যাবে।
প্রথম ইনিংসের মতো এ দিনও অশ্বিনের আগেই ভারতের হয়ে উইকেট পেতে শুরু করেন অক্ষর। প্রথম ওভারেই জ্যাক ক্রলি এবং জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে প্যাভিলিয়নগামী হন ডম সিবলি।
চতুর্থ উইকেটে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে কিছুটা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন রুট এবং বেন স্টোক্স। স্টোক্স আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করছিলেন। স্টেপ আউট করে মারার চেষ্টা করছিলেন, তাতে স্পিনারদের ছন্দ ভেঙে দেওয়া যায়। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্টোক্স আউট হতেই ইংল্যান্ডের একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে।
ফের পাঁচ উইকেট নিয়ে নেন অক্ষর পটেল। অন্য দিকে বিরাট কোহলি অন্য একজনের প্রতি দয়া না দেখালে অশ্বিনের পাঁচ উইকেটও হয়ে যেত এ দিন। তিনি হচ্ছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। প্রথম ইনিংসে বল করার সুযোগই পাননি ওয়াশিংটন। তাই কিছুটা মায়াদয়া থেকেই একটি ওভার তাঁকে বল করতে দেন বিরাট। আর সেই ওভারেই কেল্লাফতে। জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেট তুলে নেন তিনি।
তা ভারতীয় দল যা করতে পেরেছিল, সেটার পুনরাবৃত্তির আশায় ইংল্যান্ডও দুই স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করে। লিচের সঙ্গে নতুন বল হাতে তুলে নেন রুট। কিন্তু কাজের কাজ হওয়া তো দূর, রীতিমতো আগ্রাসী ঢঙেই ব্যাট করতে শুরু করেন রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল। কোনো উইকেট না হরিয়ে বোলারদের রীতিমতো শাসন করে ম্যাচ জিতে যায় ভারত।
দু’ দিনে টেস্ট জিতে ইংল্যান্ডের বিশ্ব টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের আশা শেষ করে দিল ভারত। এখন লড়াইটা রইল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। পরের টেস্টটা ড্র করতে পারলেই ভারত ফাইনালে চলে যাবে। কিন্তু সব কিছুর মধ্যেও পিচ বিতর্ক যে থামবে না তা বলাই বাহুল্য।
-
দেশ1 day ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা2 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
সোশ্যাল, ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের
-
প্রযুক্তি2 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!