সকাল থেকে ৫-৬ শো ফোন এসেছে এ বাড়িতে। বলছেন গর্বিত পিতা। হবে না-ই বা কেন। ৫২ বছর পর প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট অলিম্পিকে পা রাখলেন, আর শুধু রাখলেনই না চলে গেলেন ফাইনালে। ত্রিপুরার আগরতলায় উজান অভয়নগর পাড়ায় এখন উৎসবের মেজাজ। সেই মেজাজের সঙ্গী হতে দীপা কর্মকারের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল খবর অনলাইন।
অত্যন্ত ছটফটে মেয়ে হিসেবে ছোট থেকেই পাড়ায় পরিচিত দীপা। প্রতিবেশীদের সকলেরই বক্তব্য, দীপা না থাকলে পাড়াটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। দর্জির কাজ করে সংসার চালান প্রতিবেশী দীপা দেবনাথ, তাঁর টাকার ব্যাগে লাগানো রয়েছে দীপার ছবি। ২ মাসের মেয়েকে বড় হলে দীপার মতই জিমন্যাস্ট করে তুলতে চান তিনি।
বাবা দুলাল কর্মকার, মা গৌরী কর্মকার দু’জনের কেউই দুই মেয়ের ছোটটি বিয়ে নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন ২০২০ পর্যন্ত। সেই সাড়ে পাঁচ বছর বয়স থেকেই তাঁরা দীপাকে তৈরি করেছেন জিমন্যাস্ট হওয়ার জন্য। দুজনেরই বিশেষ কৃতজ্ঞতা রয়েছে তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর প্রতি।
কী খেতে ভালবাসেন দীপা ? ‘ভাত আর চিংড়ি মাছ’, বলছেন দীপার মা গৌরীদেবী, তবে ওজন বেড়ে যাবে বলে প্রিয় খাবারটা যে খেতে পারেন না, তা নিয়েও আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। আক্ষেপ থাকলেও উপায় কি, ছোট থেকে তাঁরাই তো চেয়েছিলেন মেয়ে মন দিয়ে খেলাধুলো করুক।
তাঁদের সেই চাওয়া এখন সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে মেডেলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ১৩০ কোটির দেশকে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।