মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ৩ (জেমি ম্যাকলারেন ২, আলবার্তো রদ্রিগুয়েজ) কেরল ব্লাস্টার্স: ০
কোচি: এ বারের আইএসএল-এর শিল্ড জয় থেকে আর এক পা দূরে থাকল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্স ঘন ঘন আক্রমণ শানিয়ে মোহনবাগানকে কিছুটা বেগ দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়টিকা পরল সবুজ-মেরুন বাহিনীই। কেরলকে ৩-০ গোলে হারাল তারা।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম মোহনবাগানের কাছে খুবই পয়া মাঠ। এই মাঠ কখনও খালি হাতে ফেরায়নি সবুজ-মেরুন বাহিনীকে। এ বারেও তার অন্যথা হল না। প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে পুরো ৩ পয়েন্ট তুলে নিল বাগান। পরের ম্যাচে ওডিশা এফসি-কে হারাতে পারলেই টানা দ্বিতীয় বার নিজেদের ঘরে শিল্ড নিয়ে যাবে তারা।
এ দিন নিজেদের মাঠে বেশ আক্রমণাত্মক খেলা খেলছিল কেরল। ৮টি সুযোগ পেয়েছিল তারা। আর মোহনবাগান পেয়েছিল ৬টি সুযোগ। প্রতিপক্ষের বক্সে ২২ বার বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিল কেরল। আর মোহনবাগান ঢুকেছিল ১৫ বার। কিন্তু মোহনবাগানের দুর্ভেদ্য রক্ষণে কিছুতেই চিড় ধরাতে পারেনি কেরল।

জয়ের পরে উচ্ছ্বাস। মোহনবাগানের কোচ খোসে মোলিনা, অধিনায়ক শুভাশিস বোস, ম্যাকলারেন প্রমুখ। ছবি Indian Super League ‘X’ থেকে নেওয়া।
বরাবরের মতোই অবনদ্য পারফরম্যান্স প্রদর্শন করলেন বাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বোস। আর একজনের কথা বলতেই হয়। তিনি বাগানের গোলকিপার বিশাল কায়েথ। এই নিয়ে টানা পাঁচটি ম্যাচ নিজেদের গোলকে অক্ষত রাখলেন তিনি। আর শেষ ১০টি ম্যাচের মধ্যে ৭টিতেই ক্লিন শিট রাখলেন বিশাল।
কেরলের দুর্বল রক্ষণভাগের সুযোগ নয়ে মোহনবাগান প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২৮ ও ৪০ মিনিটের মাথায় দু’টি অনবদ্য গোল করেন জেমি ম্যাকলারেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৬ মিনিটের মাথায় দলকে তৃতীয় গোল উপহার দেন সুযোগসন্ধানী আলবার্তো রদ্রিগুয়েজ। এ দিন সারা ম্যাচে দশটি শট নিয়েছিল মোহনবাগান। এর মধ্যে চারটি ছিল লক্ষ্যে। আর সেই চারটি শটের মধ্যে তিনটিই গোলে পরিণত হয়। অন্য দিকে, কেরলের ন’টি শটের মধ্যে দু’টি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু তা বিশালকে পরাজিত করতে পারেনি।