আলবানিয়া: ২ (কোয়াজিম লাসি, ক্লাউস জাসুলা) ক্রোয়েশিয়া: ২ (আন্দ্রেজ ক্র্যামারিক, ক্লাউস জাসুলা, আত্মঘাতী)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ৭৪ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েছিল আলবানিয়া। তার পর ২ মিনিটের মধ্যে ২টি গোল করে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের প্রায় শেষ দিকে গোল করে ম্যাচ ২-২ গোলে অমীমাংসিত করল আলবানিয়া।
হামবুর্গের ফক্সপার্কস্টাডিওনে বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া হয় গ্রুপ ‘বি’র ম্যাচে আলবানিয়ার ক্লাউস জাসুলা একাধারে ভিলেন এবং হিরো দুই-ই হলেন। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে তাঁর আত্মঘাতী গোলের জেরেই ক্রোয়েশিয়া ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। আবার ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটের মাথায় তাঁরই গোলের জেরে ক্রোয়েশিয়ার কাছে পরাজয় এড়াতে পারে আলবানিয়া।
অতিরিক্ত সময়ে সমতা ফেরাল আলবানিয়া
ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচে ২৩ সেকেন্ডে গোল করে রেকর্ড করেছিল আলবানিয়া। আজ অতটা না হলেও ম্যাচের ১১ মিনিটেই তারা এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান আসানি। ক্রোয়েশিয়ার বক্সে ক্রস বাড়ান। কোয়াজিম লাসি ঠিক সময়ে ছুটে এসে হেড দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার গোলে বল ঢুকিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৪ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল আলবানিয়া। ৭৪ মিনিটের মাথায় ম্যাচে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। বুদিমিরের কাছ থেকে পাস পেয়ে আলবানিয়ার বক্সে ঢুকে যান আন্দ্রেজ ক্র্যামারিক। তার পর আলবানিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের কাটিয়ে গোল লক্ষ্য করে যে শট নেন তা দাঁড়িয়ে থেকে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না আলবানিয়ার গোলকিপার স্ত্রাকোশার। ২ মিনিটের মধ্যে আলবানিয়ার ক্লাউস জাসুলার আত্মঘাতী গোলে ২-১ ফলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর আর ৯ মিনিট দেওয়া হয় অতিরিক্ত সময় হিসাবে। যে সময়ে সবাই প্রায় যখন ধরে নিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়াই জয়ী হয়ে মাঠ ছাড়বে, প্রায় সেই সময়ে নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন ক্লাউস জাসুলা। দুর্দান্ত শটে ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে ম্যাচে সমতা আনেন।
২টি ম্যাচ থেকে ২টি দলেরই সংগ্রহ ১ পয়েন্ট
আলবানিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া, দুটি দেশেরই ২টি করে খেলা হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হেরে যায় আলবানিয়া এবং স্পেনের কাছে হারে ক্রোয়েশিয়া। ফলে দুটি দেশই ২টি করে ম্যাচ খেলে ১টি করে পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। এবার আলবানিয়ার খেলা বাকি আছে স্পেনের সঙ্গে এবং ইতালির সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার। নক আউট পর্যায়ে যেতে হলে শেষ ম্যাচটি অবশ্যই জিততে হবে ২টি দলকেই।
২০১৬ সাল থেকে অর্থাৎ যে বছর থেকে ইউরো ফাইনাল পর্যায়ের খেলা ২৪টি দেশের হয়ে গিয়েছে, সেই বছরের পর গ্রুপ লিগে দুটো ম্যাচ ড্র করে কোনো দল নক আউট পর্যায়ে পৌঁছোতে পারেনি।
আরও পড়ুন
ইউরো কাপ ২০২৪: এক গোলে পিছিয়ে থেকে চেকিয়াকে ২-১ গোলে হারাল পর্তুগাল