আর্জেন্তিনা: ২ (খুলিয়ান আলবারেজ, লিওনেল মেসি) কানাডা: ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় ছিলেন লিওনেল মেসি। প্রতিপক্ষের গোলের জাল খুঁজে পাওয়ার জন্য শুধু দরকার ছিল কিংবদন্তি বাঁ বুটের একটা সোনালি স্পর্শ। সেটাই করলেন মেসি। গোল। ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষা করছিলেন লিওনেল মেসির গোলের জন্য। সেই আশা এত দিন পরে পূর্ণ করলেন মেসি। এবারের কোপা আমেরিকায় প্রথম গোল করলেন তিনি। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ও হলেন তিনি।
তাঁর এবং খুলিয়ান আলবারেজের গোলে কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে কলোম্বিয়া বনাম উরুগুয়ে ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে। এবার দেখার অপেক্ষা মেসি আর আর্জেন্তিনা এবারের টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত সফল হতে পারেন কি না। এবার কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হলে টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন হবে আর্জেন্তিনা।
প্রশংসা করতে হয় কানাডারও। এই ম্যাচে পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিস্ময়কর কোপা অভিযান শেষ হল বটে, কিন্তু দাগ রেখে গেল তারা। এবারের কোপা আমেরিকায় তাদের অভিষেক হয়েছিল। অভিষেকের টুর্নামেন্টেই সেমিফাইনালে যাওয়া একটি দুর্দান্ত কৃতিত্বের স্বাক্ষর বই-কি।
দুটি অর্ধে দুটি গোল
বুধবার সকালে (ভারতীয় সময়) নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে প্রতি অর্ধেই একটি করে গোল করে আর্জেন্তিনা। প্রথমার্ধে আলবারেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্তিনা। দ্বিতীয়ার্ধে গোড়ার দিকেই জয় সম্পূর্ণ করেন মেসি। কানাডার রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগে গোল পেয়ে যায় আর্জেন্তিনা। কানাডাও গোল করার গোটাদুয়েক ভালো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু আর্জেন্তিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দক্ষতায় কানাডার গোল করা সম্ভব হয়নি।
প্রথমার্ধে ২২ মিনিটে গোল পায় আর্জেন্তিনা। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে খুলিয়ান আলবারেজকে ফরোয়ার্ড পাস বাড়ান রদরিগো দে পল। কানাডার রক্ষণভাগ চিরে এগিয়ে যান আলবারেজ। কানাডার ময়সে বমবিতো পিছলে গিয়ে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। আলবারেজ ঠান্ডা মাথায় বল কানাডার গোলের জালে জড়িয়ে দেন। কানাডার গোলকিপার ম্যাক্সিম ক্রিপিউ একটু এগিয়ে এসে গোল করার কোণটাকে সরু করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টা কাজে লাগেনি। আর্জেন্তিনা এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
প্রথমার্ধে কানাডার গোল লক্ষ্য করে অন্তত ৩টে শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু গোল পাননি। এবারের টুর্নামেন্টে ৪টে ম্যাচেই গোল পাননি তিনি। বুধবারের ম্যাচটা ছিল পঞ্চম ম্যাচ। এখনও গোল নেই। ক্রমশ একটা হতাশা যখন তাঁকে জড়িয়ে ধরছিল, ঠিক সেই সময়ে গোল পেয়ে গেলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে গোল এল মেসির পা থেকে। খুব যে পরিচ্ছন্ন গোল তা নয়। কিন্তু গোল তো বটে। কানাডা ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে না পারার খেসারত দিল। বল চলে গেল আর্জেন্তিনার এনজো ফার্নান্দেজের কাছে। সেই শট মেসির পা ছুঁয়ে ঢুকে গেল কানাডার গোলে।
‘অফসাইড’-এর কারণ দেখিয়ে মেসির গোল বাতিল করার দাবি জানাল কানাডা। দীর্ঘক্ষণ করে ‘ভার’-এর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) পরীক্ষা চলল। পরীক্ষায় দেখা গেল কানাডার ডেরেক কর্নেলিয়াসের জন্য মেসি অনসাইডেই ছিলেন। গোল পেলেন মেসি। গোল পেল আর্জেন্তিনা। বিদায় নিল কানাডা।
আরও পড়ুন
ইউরো কাপ ২০২৪: এক গোলে এগিয়ে থেকে আত্মসমর্পণ ফ্রান্সের, ফাইনালে স্পেন