এটিকে ৩ (রয় কৃষ্ণ ৫৭ ও ৭১ মিনিট, এদু গার্সিয়া ৯১ মিনিট)
জামশেদপুর এফসি ১ (সের্গিয়ো কাস্তেল)
ওয়েবডেস্ক: বুলবুলের হুমকি উপেক্ষা করেই শনিবার আইএসএল-এর খেলা হল ঝড়বৃষ্টির কলকাতায়। আর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে জামশেদপুরকে কার্যত উড়িয়ে দিল কলকাতা। পর পর তিনটি ম্যাচ জিতে ফের লিগ শীর্ষে চলে গেল তারা। ও দিকে চারটে খেলে প্রথম হারের স্বাদ পেল জামশেদপুর।
এ দিনের ম্যাচে উল্লেখযোগ্য ঘটনা তিনটি পেনাল্টি। সেই পেনাল্টির দু’টিই পেল কলকাতা। তার থেকে তারা গোল করতে ভুলচুক করেনি। জামশেদপুরও পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে একটা গোল শোধ করার সুযোগ পায়।
চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে এটিকে-র যে দল খেলেছিল, শনিবার সেই দলে একটা পরিবর্তন ঘটান আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। প্রণয় হালদারের বদলে এ দিন খেলানো হয় জয়েশ রানেকে। আর জামশেদপুর তাদের দলে দু’টি পরিবর্তন ঘটায়। বিকাশ জায়রু আর অনিকেত যাদবের জায়গায় খেলানো হয় কীগান পেরেরা এবং আইজ্যাক বনমলসওমাকে।
খেলায় প্রথম সুযোগ কিন্তু জামশেদপুরই পেয়েছিল। ৮ মিনিটের মাথায় প্রিটের ক্রসে ফারুক হেড দিলেও তা ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
কলকাতা প্রথম ১০ মিনিট গুটিয়ে ছিল। তার পরই তারা তেড়েফুঁড়ে ওঠে। মাইকেল সুসৈরাজ তাঁর ড্রিবলিং আর দৌড়ে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে জামশেদপুরের ডিফেন্সকে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এটিকে-র উইলিয়ামস গোটা দুয়েক সুযোগ পান। ৪০ মিনিটে মেমোকে কাটিয়ে ব্যালহিলে রানের কাছে বল পাঠান। কিন্তু রানের শট গোলরক্ষক সুব্রত পাল বাঁচিয়ে দেন। অল্পক্ষণ করেই ফের উইলিয়ামসের শট রানের পায়ে। রানের এ বারের শট ইঞ্চির জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে এটিকে তাদের প্রাধান্য বজায় রাখে। সুসৈরাজ, কৃষ্ণ আর উইলিয়ামস জামশেদপুরের ডিফেন্সের পরীক্ষা নিতে থাকেন অনবরত। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১০ মিনিট পর কৃষ্ণের উদ্যমের ফল ফলে। বল নিয়ে মাঝমাঠ দিয়ে ছুটতে থাকেন কৃষ্ণ। জামশেদপুরের কয়েক জনকে প্লেয়ারকে কাটিয়ে বক্সে চলে যান। বিপজ্জনক কৃষ্ণের হাত থেকে দলকে বাঁচাতে ফাউল করে বসেন তিরি। সঙ্গে সঙ্গে রেফারির বাঁশি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি কৃষ্ণ।
এর পরেও কৃষ্ণ জামশেদপুরের কাঁটা হয়ে থাকেন। ৭০ মিনিটে আবার পেনাল্টি। তিরির ট্যাকল টপকে বাতাসে ভেসে আসা বল পায়ে নিয়ে জামশেদপুরের বক্সে চলে যান কৃষ্ণ। এ বার মেমো তাঁকে ফেলে দেন। ফের পেনাল্টি থেকে গোল করে কলকাতাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন কৃষ্ণ।
যখন মনে হচ্ছিল এটিকে ২-০ জয় নিয়ে ম্যাচ শেষ করবে, ঠিক সেই সময়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় জামশেদপুর। ৮৫ মিনিটে পাওয়া সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে গোলের ব্যবধান কমায় থাকায়।
অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হতেই ফের সুযোগ চলে আসে এটিকে-র কাছে। উইলিয়ামসের ক্রস-ফিল্ড পাস যায় কৃষ্ণের কাছে। মুহূর্তের টাচে কৃষ্ণ বল পাঠান এদু গার্সিয়ার কাছে। গার্সিয়া ডান পায়ের চিপে জামশেদপুরের জালে বল জড়িয়ে দেন।
৪টি খেলে ৩টিতে জয়, ৯ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা লিগ শীর্ষে। ও দিকে সমসংখ্যক খেলায় ২টতে জিতে ১টি ড্র করে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জামশেদপুর।