অস্ট্রিয়া: ৩ (ডোনিয়েল মালেন আত্মঘাতী, রোমানো শ্মিড, মার্সেল সাবিৎজার) নেদারল্যান্ডস: ২ (কোডি গাকপো, মেমফিস ডিপে)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ইউরো কাপের গ্রুপ ‘ডি’-র খেলায় গোলের প্রদর্শনী। এমন আক্রমণাত্মক উত্তেজক ফুটবলে শেষ হাসি হাসল অস্ট্রিয়া। মঙ্গলবার বার্লিনের ওলিম্পিয়াস্টাডিওনে আয়োজিত ম্যাচে তারা নেদারল্যান্ডসকে হারাল ৩-২ গোলে।
প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে দু’ পক্ষ আরও ৪টি গোল করে। সেই অর্ধের শুরুতেই সমতা ফেরায় ডাচেরা। কিছুক্ষণ পরে আবার গোল করে এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। আবার গোল শোধ করে দেয় ডাচেরা। শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলটি করে অস্ট্রিয়া।
তৃতীয় দল হিসাবে নেদারল্যান্ডসও শেষ ১৬-য়
গ্রুপ ‘ডি’-এ শীর্ষে থেকে শেষ ১৬-য় চলে গেল অস্ট্রিয়া। ৩ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। একই সময়ে অনুষ্ঠিত গ্রুপ ‘ডি’-র অন্য খেলায় পোল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে ফ্রান্সও চলে গেল শেষ ১৬-য়। ৩ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে নেদারল্যন্ডস। তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। তারাও শেষ ১৬-য় জায়গা করে নিয়েছে। কারণ ৬টি তৃতীয় স্থানাধিকারী দলের মধ্যে ৪টির জায়গা হবে শেষ ১৬-য়। গ্রুপ ‘এ’-তে তৃতীয় স্থানাধিকারী হাঙ্গেরির পয়েন্ট ৩ এবং গ্রুপ ‘বি’-তে তৃতীয় স্থানাধিকারী ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট ২। সুতরাং এখনই পয়েন্টের হিসাবে হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে থাকায় নেদারল্যান্ডসও চলে গেল শেষ ১৬-য়।
আত্মঘাতী গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে অস্ট্রিয়া
শুরু থেকেই ম্যাচে দখলদারি কায়েম করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে অস্ট্রিয়া। দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। এবং তার ফলও পেয়ে যায় ৬ মিনিটেই। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডস। বাঁদিক থেকে আক্রমণ চালিয়েছিল অস্ট্রিয়া। প্রাস মাঝমাঠ থেকে অনেকটা উঠে এসে পাস বাড়ান ভিমারকে। ভিমার বক্সের মাঝখান থেকে নিচু ক্রস বাড়ান নেদারল্যান্ডসের গোলের উদ্দেশে। সেই সম্ভাব্য গোল আটকাতে গিয়ে ডাচ ডিফেন্ডার ডোনিয়েল মালেন নিজেদের গোলেই বল ঢুকিয়ে দেন।
অস্ট্রিয়া তাদের গোলের ব্যবধান আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে এবং নেদারল্যান্ডস দৃশ্যতই ব্যাকফুটে চলে যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা জড়তা কাটিয়ে আক্রমণে উঠে আসে। ডিপের আলতো টোকায় বল পান কোডি গাকপো। গাকপো বল দিয়ে দেন মালেনকে। মালেনের শট বাঁচানোর জন্য গোল ছেড়ে এগিয়ে এসেছিলেন অস্ট্রিয়ার গোলকিপার পেনৎস। কিন্তু মালেনের শট পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে অস্ট্রিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল
দ্বিতীয়ার্ধের শুরতেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডাচেরা। এবং ৪৭ মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরায় তারা। দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণে উঠে এসে বাঁদিক থেকে ডান পায়ে যে শট নেন কোডি গাকপো, তা অস্ট্রিয়ার গোলকিপারকে পরাস্ত করে পোস্টের ডান দিকের কোণ ঘেঁষে ঢুকে যায়।
ইতিমধ্যে আবার আক্রমণ শানায় অস্ট্রিয়া এবং তার ফল পেয়ে যায় ৫৯ মিনিটে। বল পেয়ে যান আর্নাউতোভিচ। তিনি পাস বাড়ান গ্রিলিৎশকে। গ্রিলিৎশের ক্রস পেয়ে যান রোমানো শ্মিড। তিনি গোল করে এগিয়ে দেন অস্ট্রিয়া।
ডাচেরা আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। এবং ৭৫ মিনিটে আবার গোল করে সমতা ফেরায় তারা। অস্ট্রিয়ার বক্সে বুক দিয়ে বল নামিয়ে আলতো শটে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে পরাস্ত করে ডাচবাহিনী। ‘ভার’ পরীক্ষায় দেখা যায় গোলটি যথাযথ।
এবার অস্ট্রিয়ার পালা। ৫ মিনিট পরেই তাদের জয়সূচক গোলটি আসে মার্সেল সাবিৎজারের পা থেকে। ডর্টমুন্ডের মিডফিল্ডার বোরুসিয়ার পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে গোল করেন তিনি। এর ৪ মিনিট পরেই দারুণ আক্রমণ থেকে নেদারল্যান্ডসের গোলে বল ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বাউমগার্টনার। তবে রেফারি সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করেন।
আরও পড়ুন
ইউরো কাপ ২০২৪: ইউরোয় এমবাপ্পের প্রথম গোল, পোল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্র করে শেষ ১৬-য় ফ্রান্স