ফুটবল
এ বারের আইএসএল-এ দ্রুততম গোল, জামশেদপুরকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলল চেন্নাই
প্রথম গোলটি হয় ৫৩ সেকেন্ডের মাথায়।

চেন্নাইয়িন এফসি ২ (অনিরুধ থাপা, ইসমা গনকাল্ভস) জামশেদপুর এফসি ১ (নেরিজুস ভালস্কিস)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: নিজের গত বারের দলের কাছে হেরে গেলেন ওয়েন কোয়েলের দল। গত বছর যে চেন্নাইয়িন এফসি-র (Chennaiyin FC) কোচ ছিলেন কোয়েল, সেই দলই দলগত পারফরম্যান্সের জোরে এ বারের আইএসএল-এ প্রথম ম্যাচ জিতে গেল। মঙ্গলবার গোয়ার ব্যাম্বোলিমে আয়োজিত ম্যাচে জামশেদপুর এফসিকে (Jamshedpur FC) তারা হারাল ২-১ গোলে। প্রাক্তন চেন্নাইয়িন কোচ ওয়েন কোয়েল এখন জামশেদপুরের কোচ।
খেলার একেবারে শুরুতেই গোল করে চেন্নাইয়িনকে এগিয়ে দেন অনিরুধ থাপা (Anirudh Thapa)। খেলা তখন এক মিনিটও হয়নি। ডান দিক থেকে ইসমা গনকাল্ভসের বাড়ানো ক্রসে জোরালো শট নেন থাপা। জামশেদপুরের জালে জড়িয়ে যায় বল। প্রথম গোলটি হয় ৫৩ সেকেন্ডের মাথায়। এ বারের আইএসএল-এ এইটিই এখনও পর্যন্ত দ্রুততম গোল।
চেন্নাইয়িনের হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়ান সেই ইসমা গনকাল্ভস। ২৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই একটা গোল শোধ করে জামশেদপুর। তাঁদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন গত বারের গোল্ডেন বুট জয়ী নেরিজুস ভালস্কিস।
দু’ বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বেশ চাপ তৈরি করেছিল জামশেদপুর। কিন্তু আর গোল করতে পারেনি ওয়েন কোয়েলের দল। ও দিকে একাধিক সুযোগ পেয়েও সাবা লাজলোর (চেন্নাইয়িন কোচ) দল আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
জীবনের প্রথম ডার্বিতে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সন্দেশ জিঙ্ঘান
ফুটবল
জিততে না পারলেও হতাশ নন আন্তোনিও লোপেজ আবাস
আবাস মনে করেন, এফসি গোয়ার মতো ভালো দলের বিরুদ্ধে গোলের সুযোগ বেশি পাওয়া কঠিন। তাই কম গোলের সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগাতে হয়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জিততে না পারলেও হতাশ নন এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও লোপেজ আবাস (Antonio Lopez Habas)। তবে তাঁর বক্তব্য, ম্যাচটি তাঁদের জেতা উচিত ছিল।
গোয়ার বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করার পর সাংবাদিক বৈঠকে আবার বলেন, “আমরা গোল করার আগেই ম্যাচটা জেতার সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রতি ম্যাচেই আমরা তিন পয়েন্ট জিততে চাই। কিন্তু এই একটা পয়েন্টও খারাপ নয়। এই পয়েন্টটা গুরুত্বপূর্ণ।”
রবিবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে ১-১ ড্র করে মাঠ ছাড়ে দুই দল। নাগাড়ে আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণের জেরে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রি-কিক থেকে এদু গার্সিয়ার অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান।
তবে এই গোলের দশ মিনিটের মধ্যে কর্নার থেকে দুরন্ত এক সুযোগসন্ধানী গোলে সমতা আনেন এফসি গোয়ার তরুণ ফরোয়ার্ড ইশান পন্ডিতা।
আবাস মনে করেন, এফসি গোয়ার মতো ভালো দলের বিরুদ্ধে গোলের সুযোগ বেশি পাওয়া কঠিন। তাই কম গোলের সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগাতে হয়।
তিনি বলেন, “দুটো বড়ো দলের মধ্যে একটা বড়ো ম্যাচে বেশি গোলের সুযোগ তৈরি হয় না। খুব বেশি হলে চার-পাঁচ বা ছ’টা গোলের সুযোগ আসে হয়তো। সেগুলোই কাজে লাগাতে হয়। হয়তো ম্যাচটা আমাদের ছেলেরা হারতে ভয় পাচ্ছিল। তবে আমি ওদের পারফরম্যান্সে খুশি।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান
ফুটবল
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান
এই ম্যাচের পর এটিকে মোহনবাগান লিগের দ্বিতীয় স্থানেই থাকল। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা গোয়ার ১২ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ১৯।

এটিকে মোহনবাগান ১ (এদু গার্সিয়া) এফসি গোয়া (ঈশান পণ্ডিতা)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: রবিবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইএসএল-এ (ISL 2020-21) এটিকে মোহনবাগান বনাম এফসি গোয়ার ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকল। দুটি দলই প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। দু’টি দলেরই ক্ষেত্রে শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
অচলাবস্থা ভাঙে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। পরে গোল শোধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায় এফসি গোয়া (FC Goa)।
বাধা যখন ক্রসবার
গোল করার প্রথম সুযোগ পায় এটিকে মোহনবাগান। ডান দিক থেকে দৌড়ে এসে গোয়ার বক্সে ঢুকে পড়া প্রবীর দাসকে লব করে বল পাস করেন কার্ল ম্যাকহাগ। প্রবীর গোল লক্ষ্য করে শট করেন, কিন্তু নবীন কুমার দুর্দান্ত সেভ করেন।
২৭ মিনিটে ডান দিক থেকে কর্নার করেন এটিকে মোহনবাগানের এদু গার্সিয়া। গার্সিয়ার কর্নার কিকে মাথা ছোঁয়ান শুভাশিস বোস। কিন্তু তাঁর হেড গোয়ার ক্রসবারে লেগে নিরাপদে গোলকিপারের হাতে চলে যায়।
তিন মিনিট পরেই সুযোগ পেয়ে যায় গোয়া। এ ক্ষেত্রেও ক্রসবারই গোল হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ ডান দিকে পাস বাড়ান সতীর্থ সেরিটন ফার্নান্ডেজকে। সেরিটন বক্সের ঠিক বাইরে আলবার্তো নোগুয়ারেকে বল পাস করেন। স্প্যানিশ খেলোয়াড় আবার সেরিটনকে বল বাড়িয়ে দেন। কিন্তু সেরিটনের ক্রস ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে বলের দখল গোয়ারই ছিল। কিন্তু তারা গোল করতে পারেনি। ৭৫ মিনিটে অচলাবস্থা ভাঙে এটিকে মোহনবাগান। গোয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এদু গার্সিয়া।
ম্যাচে সমতা ফিরে আসে ৯ মিনিট পরে। কর্নার কিক থেকে গোয়ার গোল করার চেষ্টা প্রথমে ব্যর্থ করেন প্রীতম কোটাল। কিন্তু বল চলে যায় ঈশান পণ্ডিতার কাছে। ঈশান গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি।
নির্ধারিত সময়ের মিনিট খানেক আগে জয়সূচক গোল করার সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু একটা ফ্রি-কিক থেকে মনবীর সিংযের হেড গোয়ার ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। অতিরিক্ত সময়ে গোয়াও গোল করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
এই ম্যাচের পর এটিকে মোহনবাগান লিগের দ্বিতীয় স্থানেই থাকল। ১১ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা গোয়ার ১২ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়াল ১৯।
আরও পড়ুন: সুন্দর-শার্দূলের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরল ভারত

কেরল ১ (জর্ডান মারে) ইস্টবেঙ্গল ১ (স্কট নেভিল)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: গোটা ম্যাচে পিছিয়ে থেকে, শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে সমতা ফিরিয়ে হার এড়াল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার, এই ফলাফলের ফলে অন্তত একটা পয়ন্ট নিশ্চিত করে মুখ রক্ষা হল রবি ফাউলারের।
এ দিন ম্যাচের প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল কেরল। ইস্টবেঙ্গলের ভুল পাসের সুযোগ নিয়ে শুরুতেই গোলের কাছাকাছি চলে এসেছিল কেরল। শেষ মুহূর্তে গোল বাঁচান লালহলুদ ডিফেন্ডাররা। তবে আচমকা দশম মিনিটে গোলের সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের হরমনের সামনে। যদিও কেরল গোলকিপার অ্যালবিনো গোমেজ তা বাঁচিয়ে দেন।
তবে দশ মিনিটের পর থেকে ম্যাচের মোড় কিছুটা ইস্টবেঙ্গলের অনুকূলে ঘুরতে শুরু করে। মাঝে মাঝেই সুযোগ পেয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে ফিনিশ করতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। ব্রাইট, মাঘোমার দ্রুত সেই সব মুভমেন্ট শুরু থেকে দেখা যায়নি। একটা শট ব্রাইট নিলেও সেটা পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
গোলশূন্য ভাবেই বিরতিতে যায় ম্যাচ। বলের দখল প্রায় সমান-সমান থাকলেও প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কোনো ঝাঁজ লক্ষ্য করা যায়নি। ব্রাইট, মাঘোমারা আক্রমণ তুলে আনলেও বেশিরভাগ সময়েই বক্সের বাইরেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের আক্রমণ।
প্রথমার্ধের ঝাঁজ বজায় রেখেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত সেভ করতে হয় দেবজিৎ মজুমদারকে। এই ম্যাচে একাধিকবার তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। মাঝমাঠে বারবার ভুল করেছে ইস্টবেঙ্গল।
বিরতির পর ইস্টবেঙ্গলের মিলন সিংহের জায়গায় নামেন অজয় ছেত্রী। এসেই মাঝমাঠের হাল ধরার মরিয়া চেষ্টা করেন তিনি। যদিও এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথায় বাজ পড়ে লালহলুদের। ৬৪তম মিনিটে অ্যালবিনো গোমেজের গোলকিক থেকে লম্বা বল সোজাসুজি ধরে কেরল ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন জর্ডান মারে।
ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। অ্যালবিনো গোলকিক করার সময় রানা ঘরামি দাঁড়িয়েছিলেন জর্ডান মারের সামনে। তাঁকে মার্কিংই করতে পারেননি। লম্বা দৌড়ে ঠিক ভাবে মারে গোলে না ঠেলতে পারলেও তা দেবজিৎকে পরাস্ত করে।
৭২ মিনিটে দলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করান রবি ফাউলার। মাঠি স্টেনম্যানের বদলে নামেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফেরেন তিনি। এই স্ট্রাইকারকে দিয়ে গোল তুলে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন ফাউলার।
৮০ মিনিটের একটু আগে পিলকিংটন দুরন্ত শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু কেরলের ডিফেন্ডার কোস্তা তা সহজেই ক্লিয়ার করে দেন। পরবর্তী ১৫ মিনিট কার্যত গোলের জন্য হাতড়ে বেড়াচ্ছিল লালহলুদ শিবির।
কিন্তু কথাতেই তো বলে, ওস্তাদের মার শেষ। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ব্রাইট এনোবাখারের কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেডের জন্য মূল্যবান এক পয়েন্ট এনে দেন স্কট নেভিল।
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মেথি?