এএস রোমা – ৪ লিভারপুল – ২
(দুই পর্ব মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানে জয়ী লিভারপুল)
ওয়েবডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লিভারপুল। বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইতালির এএস রোমার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েও, দুই পর্ব মিলিয়ে জয়ী তারা। ফলে এগারো বছর পর ফের ফাইনালে লিভারপুল। সব মিলিয়ে অষ্টমবার। প্রথম লেগে হারের ফলে, ঘরের মাঠে বড়ো জয় দরকার ছিল রোমার। শুরুটা তারা ভালোই করে। ফ্লোরেঞ্জির শট অবশ্য গোলের দরজা খুলতে পারেনি। তবে প্রতি-আক্রমণে অ্যাওয়ে গোলের জন্য উঠে আসে লিভারপুলও। ম্যাচের মাত্র ন’মিনিটে সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় তারা। ঘরের মাঠে পিছিয়ে পড়েও, এ দিন কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেল রোমা। যার ফল ছয় মিনিটের মধ্যে লিভারপুলের জেমস মিলনারের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় রোমা। আক্রমণে প্রতি-আক্রমণে উঠতে থাকে দু’দলই। ফের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন মানে, তবে রোমা গোলকিপারকে তা পরাস্ত করতে পারেনি।
অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইংল্যান্ডের অন্যতম এই সেরা ক্লাবটিকে। মিনিটে দু’য়েকের মধ্যে ফের এগিয়ে যায় লিভারপুল। সৌজন্যে উইজন্যাল্ডম। প্রায় তিন বছর পর কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করলেন তিনি। কিছুটা ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝিতেই ফের গোল হজম রোমার। প্রথমার্ধেই গোলশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে রোমা। দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার এল-শারাউইর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় হোম টিম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য সমতা ফিরিয়ে আনে রোমা। দলের হয়ে গোল করেন, মরশুমের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এডিন জেকো। সমতা ফিরিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ শুরু করে তারা। তবে প্রথম সেমিফাইনালের মতো, দ্বিতীয় সেমিতেও রেফারিং নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। দু’বার রোমার পেনাল্টির আবদার নাকজ করে দেন রেফারি। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ রোমা শিবিরে। ফলে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যায়।
তবে এসবের মধ্যে পিছিয়ে থাকেনি ইতালির অন্যতম সেরা এই ক্লাবটি। ক্রমাগত আক্রমণ শানাতে থাকেন জেকোরা। এদিন অবশ্য লিভারপুল দুর্গের শেষ প্রহরী গোলকিপার ক্যারিয়াস অনবদ্য গোলকিপিং করে গেলেন। শেষ দিকে নাইয়ানগোলানের একক দক্ষতা এবং অতিরিক্ত সময় পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়লেও, তা অবশ্য জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না এএস রোমার পক্ষে।