ফুটবল
অনবদ্য দেবজিৎ, দশ জনে খেলেও চেন্নাইকে আটকে দিল ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল ০ চেন্নাইয়িন ০
খবরঅনলাইন ডেস্ক: ম্যাচের ৬৫ মিনিট দশ জনে খেলেও চেন্নাইয়িন এফসিকে আটকে দিল ইস্টবেঙ্গল। আর এই ম্যাচে একাধিক অনবদ্য সেভ করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার।
প্রথমার্ধেই দশ জনে হয়ে গেল লালহলুদ
গত কয়েকটা ম্যাচে তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্সের জোরে ইস্টবেঙ্গল শিবির এখন বেশ উজ্জীবিত। সোমবারও খেলার শুরুতে তারই প্রতিফলন দেখা গেল। কোনো দলই বিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙতে না পারলেও ইস্টবেঙ্গলকেই বেশি দাপুটে লাগছিল।
১৮তম মিনিটে একটি সুযোগ এসেছিল চেন্নাইয়িনের কাছে। বক্সের বাঁ দিক থেকে ছাংতেকে পাস দেন চেন্নাইয়ের ইসমা। ছাংতে শট নিলেও সেটা ইস্টবেঙ্গলের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৩তম মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে একটি ফ্রি-কিক পায় চেন্নাইয়িন। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা।
এ দিকে ম্যাচ যত এগোতে থাকে ততই যেন ছন্নছাড়া হতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। আর তার ওপরে লালহলুদ শিবির বিরাট বড়ো একটা ধাক্কা খায় ম্যাচের তিরিশতম মিনিটে। চেন্নাইয়িনের রহিম আলিকে ফাউল করার ফলে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ফেলেন ইস্টবেঙ্গলের অজয় ছেত্রী। অর্থাৎ লালকার্ড দেখতে হয় তাঁকে।
এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক বার লাল কার্ড দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের। এ দিনও ম্যাচের প্রথম দিকেই দশ জনে নেমে যাওয়ার দলটা ফের ধাক্কা খেল। বাকি একটা ঘণ্টা চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে লড়াই দেওয়াটাই তাদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বিরতির কয়েক মিনিট আগে প্রায় গোল হজম করেই ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইয়িনের থাপার বাড়ানো বল বাঁচাতে গোল থেকে বেরিয়ে আসেন দেবজিৎ মজুমদার। কিন্তু তিনি বল পড়তে পারেননি। লালহলুদ ডিফেন্ডার ড্যানি ফক্স বলটাকে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে কার্যত আত্মঘাতী গোলই করে ফেলছিলেন। শেষে নারায়ণ দাসের সৌজন্যে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ইস্টবেঙ্গল শিবির। বিরতিতে গোলশূন্যই ছিল ম্যাচ।
দ্বিতীয়ার্ধেও খাতা খুলল না কেউ
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে মোক্ষম একটি সুযোগ চলে এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। সুরচন্দ্রর দেওয়া পাস থেকে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল থেকে শট নেন পিলকিংটন। কিন্তু সেটা চেন্নাইয়িন গোলের সাইডে লেগে বেরিয়ে যায়। এর ঠিক তিন মিনিটের মাথায় দেবজিতের আরও এক অনবদ্য সেভ ইস্টবেঙ্গলের গোল হজম করা থেকে বাঁচিয়ে দেয়। গোলের উদ্দেশ্যে শট নিয়েছিলেন ইসমা।
৬২তম মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসে যায় লালহলুদের কাছে। স্কট নেভিলের নেওয়া ফ্রি-কিক থেকে বাড়ানো বলটি গ্রহণ করে গোলের উদ্দেশে শট নিয়েছিলেন পিলকিংটন। কিন্তু চেন্নাইয়িনের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ সেটা বাঁচিয়ে দেন।
৭০তম মিনিটে চেন্নাইয়িনের রহিম আলি নেওয়া শট ফের অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন দেবজিৎ। এর ঠিক দু’ মিনিটের মাথায় গোলের উদ্দেশে শট নেন পিলকিংটন। কিন্তু বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায় সেটা। ম্যাচ যত শেষে দিকে গড়াতে থাকে ততই দু’ পক্ষ নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করে। তবে লালহলুদের কাছে লড়াইটা অনেক কঠিন ছিল, কারণ শেষ মুহূর্তে গোল হজম করা আটকাতে হত তাদের।
এ দিকে ৮৪তম মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসেছিল চেন্নাইয়িনের কাছে। এবং এ বারও দেবজিতের দক্ষ হাত সেটা বাঁচিয়ে দেয়। চার মিনিট পর পিলকংটন আরও একটা শট নিলেই সেটা গোলের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এ ভাবেই গোলশূন্য হিসেবেই শেষ হয় ম্যাচ। তবে দশ জনে খেলেও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিয়ে আসার পর রবি ফাউলারের ছেলেরা যে বাড়তি উজ্জীবিত হবেন তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
‘অধিনায়ক’ নন, বিরাট কোহলি এখন ‘গর্বিত স্বামী ও বাবা’
ফুটবল
হায়দরাবাদের সঙ্গে ড্র করে শেষ চারে চলে গেল গোয়া
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে।

এফসি গোয়া ০ হায়দরাবাদ এফসি ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: আসল কাজটা সারার জন্য ১টা পয়েন্ট দরকার ছিল গোয়ার। সেই কাজটাই তারা করল আজ। এবং শেষ চারেও চলে গেল তারা।
রবিবার ফাতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এফসি গোয়া (FC Goa) বনাম হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। শেষ চারে যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল জয়। সেই জয় অধরাই থাকল।
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে। আর সমসংখ্যক খেলায় ২৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এ বারের মতো আইএসএল অভিযান শেষ করল হায়দরাবাদ।
এ দিনের খেলায় দুই দলই সমানে সমানে লড়ে গিয়েছে। তবে বলের দখলদারিতে গোয়া এগিয়ে ছিল। কিন্তু ৯৯ মিনিটের খেলায় (প্রথমার্ধে অতিরিক্ত ২ মিনিট এবং শেষার্ধে অতিরিক্ত ৭ মিনিট) কোনো দলই টার্গেট লক্ষ্য করে তেমন শট নিতে পারেনি।
খেলায় রীতিমতো উত্তেজনা ছিল। খেলার একেবারে শেষ দিকে দু’টি দলই রেড কার্ড দেখেছে। তবে হায়দরাবাদের লুই সাস্ত্রে দেখেছেন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে, খেলা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়ার পরে। আর গোয়ার আলবার্তো নগুয়েরা দেখেছেন দু’ বার হলুদ কার্ড দেখার খেরাসত হিসাবে।
তবে এরই মধ্যে একটা ইতিহাস তৈরি করে ফেলল গোয়া – টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। নতুন আইএসএল রেকর্ড।
ফুটবল
মুম্বইয়ের কাছে হেরে লিগজয়ীর শিল্ড হারাল এটিকে মোহনবাগান

মুম্বই ২ (ফল, ওগবেচে) এটিকে মোহনবাগান ০
খবরঅনলাইন ডেস্ক: কয়েক দিন আগেও পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটি বেশ ভালো ভাবেই দখলে রেখেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু এ দিন মুম্বইয়ের কাছে হেরে গিয়ে এই স্থানটা তো গেলই। ফলে লিগজয়ীর শিল্ডটাও খোয়াল সবুজমেরুন।
তাগিদ অনেক বেশি ছিল। তাই শুরু থেকেই এ দিন আক্রমণ করতে শুরু করে মুম্বই এফসি। আর সেই আক্রমণের লাভও উঠিয়ে ফেলে প্রথম সাত মিনিটের মধ্যেই। মুর্তাদা ফলের গোলে এগিয়ে যায় মুম্বই এফসি। জাহুর ফ্রিকিক থেকে থেকে হেডে আইএসলের ১২ তম গোল করেন ফল।
গোলটি খাওয়ার পর থেকেই ম্যাচে ফেরার চেষ্টা শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সন্দেশ ঝিঙ্ঘনকে হারিয়ে একটা ধাক্কা খায় তারা। কুড়ি মিনিটের মধ্যে চোটের কারণে উঠে যেতে হয় ঝিঙ্ঘনকে। এ দিনের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করছিলেন তিনি। তাঁর জায়গায় নামেন প্রবীর দাস।
লম্বা বল খেলে এটিকে মোহনবাগানের ওপর চাপ বাড়ানোর পন্থা নেয় মুম্বই সিটি এফসি। যদিও পালটা আক্রমণ শুরু করে এটিকে মোহনবাগানও। কিন্তু ৩৯ মিনিটে ফের ধাক্কা খায় বাগান। হারমান সান্তানার ফ্রিকিক ক্রস বারে লেগে ফিরে এলে হেডে গোল করে যান ওগবেচে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোলের ব্যবধান বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মুম্বই। তাদের সেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়তেই চার ডিফেন্ডারে চলে আসে এটিকে মোহনবাগান। পাশাপাশি কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের চেষ্টাও করতে শুরু করে তারা।
৬৩তম মিনিটে একটি সুযোগ এসেছিল সবুজমেরুনের কাছে। ডানদিক থেকে প্রবীরের ক্রস রয় কৃষ্ণর হাঁটুতে লেগে বল চলে যায় অমরিন্দরের হাতে। চার মিনিট পর এদু গার্সিয়ার শট প্রথম পোস্টের সাইড নেটে লেগে বাইরে চলে যায়।
মরিয়া লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ আর দেখতেই পারেনি সবুজমেরুন। এর ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটির পাশাপাশি লিগজয়ীর শিল্ডটাও খোয়ালো তারা। তবে আইএসএলের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা এখনও যথেষ্ট রয়েছে। সেটাকেই পাখির চোখ করবেন আন্তনিও লোপেজ আবাস।

ওড়িশা ৬ ইস্টবেঙ্গল ৫
খবরঅনলাইন ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গলের কাছে লজ্জার একটা টুর্নামেন্ট শেষ হল চরম লজ্জা দিয়েই। লিগের লাস্ট বয় ওড়িশাকে পাঁচ গোল দিয়েও ছ’টি গোল খেয়ে গেল তারা। জঘনয় রক্ষনের একাধিক ভুলের খেসারত দিতে হল তাদের। তবে এই ম্যাচে অনন্য একটি রেকর্ডও হয়েছে। আইএসএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি গোল হল এই ম্যাচে – ১১।
গত নর্থ-ইস্ট ম্যাচ থেকে শনিবার দলে ৯টি বদল আনেন রবি ফাওলার! সেই ম্যাচ থেকে এই দলে জায়গা পান মাত্র ২ জন।
২৪ মিনিটে পিলকিংটনের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তবে কিছুক্ষণ পরেই ৩৩ মিনিটে সমতা ফেরান লালরেজুয়ালা। যদিও ৩৭ মিনিটে ফের ম্যাচে ফিরে আসে লাল-হলুদ। এ বার আত্মঘাতী গোল করে ব্রাইটদের এগিয়ে দেন বিপক্ষের গোল রক্ষক রবি কুমার। ফলে প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ।
তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ রক্ষণের দুর্বলতা ও সুব্রত পালের জঘন্য গোল কিপিং বারবার চোখে পড়ে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক গোল করতে থাকে ওডিশা। ডাগআউটে তখন অসহায় ভাবে নিজের দলের করুণ পরিণতি দেখছিলেন দেবজিৎ ঘোষ। ৪৯ মিনিটে লাল-হলুদের জঘন্য রক্ষণের ভুলে ফের সমতা ফেরাল ওডিশা। গোল করলেন পউল। স্কোর লাইন ২-২। ৫১ মিনিটে আবার গোল করল ওডিশা। তৃতীয় গোল করে এ বার দলকে এগিয়ে দিলেন জেরি।
কিন্তু বিরতির পর থেকেই ম্যাচের মোড় পুরোপুরি ঘুরে যায়। ৪৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরান পল রামফাংজাউভা। এর ঠিক দুই মিনিটের মধ্যেই ওড়িশাকে এগিয়ে দেন জেওরি।
৩-২-এ পিছিয়ে পড়া ইস্টবেঙ্গলের সমতা ফেরে ৬০ মিনিটে। এ বার অ্যারণ আমাদি দলের হয়ে ৩-৩ করেন। এতে অবশ্য দমে না গিয়ে ৬৬ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করে ওড়িশা। ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করলেন রামফাংজাউভা। স্কোর লাইন তখন ৪-৩। সেই গোলের উল্লাস মিটতে না মিটতেই ফের এগিয়ে গেল ওডিশা। ৬৭ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জেরি। আর ৬৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করলেন ব্রাজিলিয়ান দিয়েগো মরিসিও। সেই সময় ওডিশা ৬-৩ গোলে এগিয়ে।
তবে রক্ষণ ও সুব্রত পালের ভুলে একাধিক ভুলের পরেও লড়াই করে যাচ্ছিলেন অ্যারণ, পিলকিংটন, জেজেরা। ৭৪ মিনিটে রানা ঘরামির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে গোল করলেন ‘মিজো স্নাইপার’ জেজে।
যদিও তখনও ৬-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ। এরপর ৯৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন অ্যারণ। লালহলুদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওডিশার কাছে ৫-৬ ব্যবধানে হারতে হল।
জোড়া ডার্বি হার তো ছিলই। এর সঙ্গে যোগ হল এই লজ্জাজনক বিপর্যয়। লালহলুদের রক্ষণকে নিয়ে ছেলেখেলা করল ওডিশার স্ট্রাইকাররা। তাই তো আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার ১১টি গোলের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। যেখানে লালহলুদ হজম করল ৬ গোল!
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের