ইস্টবেঙ্গল এফসি: ৩ (নাওরেম মহেশ সিং, সউল ক্রেসপো, ডেভিড লাললানসাঙ্গা) মহমেডান এসসি: ১ (কার্লোস ফ্রাঙ্কা)
কলকাতা: এ বারের আইএসএল প্রায় শেষের মুখে। কোন দল শিল্ড জয় করবে, কোন কোন দল প্লে অফ-এ খেলবে, তা মোটামুটি আন্দাজ করা যাচ্ছে। এ সবের কোনো জায়গাতেই যে তাঁদের প্রিয় দল নেই, তা জানেন ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের সমর্থকরা। তাঁদের প্রিয় দল লিগ টেবিলের একেবারে শেষের দিকে রয়েছে। মহমেডান রয়েছে একেবারে নীচে, ত্রয়োদশ স্থানে আর ইস্টবেঙ্গল রয়েছে একাদশ স্থানে।
তবু ডার্বি ম্যাচ বলে কথা, ফুটবলপ্রেমীদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ না হলেও, দু’ দলের সমর্থকদের কাছে তো সম্মান রক্ষার লড়াই। সেই লড়াইয়ে মাত করল ইস্টবেঙ্গল এফসি। রবিবার কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে সাদা-কালো বাহিনীকে ৩-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ বাহিনী। এই ম্যাচের পরে ২০ ম্যাচ থেকে ২১ পয়েন্ট সংগ্রহ করল ইস্টবেঙ্গল আর মহমেডানের থাকল ২০ ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট। লিগ টেবিলে দুই দলেরই স্থান অপরিবর্তিত থাকল।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ১-০
খেলার ফলে কিন্তু বোঝা যাবে না, দুই দলের লড়াই কতটা হাড্ডাহাড্ডি হয়েছিল। এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায় নাওরেম মহেশ সিংয়ের অনবদ্য গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মহেশকে লক্ষ্য করে মাপা পাস বাড়ান বিষ্ণু। মহেশ কঠিন কোণ থেকে মহমেডানের গোল লক্ষ্য করে বাঁ পায়ে যে জোরালো শট নেন, তা আটকানো সম্ভব হয়নি গোলকিপারের পক্ষে। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ১-০ ফলে।

জয়ের পরে উচ্ছ্বাস। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফল দাঁড়াল ৩-১
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল সমানে সমানে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে। আর এর ফল পায় দুই দলই। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের এগিয়ে থাকার ব্যবধান বাড়ান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সউল ক্রেসপো। বক্সের মাঝখানে থাকা ক্রেসপোকে লক্ষ্য ক্রস পাঠান মেসি বৌলি। সেই ক্রস পেয়ে ডান পায়ের নিচু শটে মহমেডানের গোলের বাঁ দিকের কোণ দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন ক্রেসপো।
তিন মিনিট পরেই ব্যবধান কমান মহমেডানের ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার কার্লোস ফ্রাঙ্কা। সাময়িক ভাবে ছন্দ হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগে বাংলার স্ট্রাইকার রব হাঁসদা নিখুঁত পাস বাড়ান ফ্রাঙ্কোর উদ্দেশে। ফ্রাঙ্কো নিচু শটে ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। ইস্টবেঙ্গলের চূড়ান্ত গোলটি আসে ম্যাচের ৮৯ মিনিটে। ডেভিড লাললানসাঙ্গার গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।