জামশেদপুর এফসি: ২ (রেই তাচিকাওয়া, লালচুংনুঙ্গা, আত্মঘাতী) ইস্টবেঙ্গল এফসি: ০
জামশেদপুর: জয় তো দূরস্থান, এবারের আইএসএল-এ হারের মুখ দেখেই চলেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। টানা ৪টি ম্যাচে হার। শনিবার জামশেদপুর এফসি-র কাছে ইস্টবেঙ্গল হারল ২-০ গোলে। এর মধ্যে ১টি গোল আত্মঘাতী।
এদিন জামশেদপুরের জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল হেরে গেলেও আগের ৩টি ম্যাচের তুলনায় অনেক ভালো খেলেছে। একঝাঁক গোলের সুযোগ পেয়েছিল তারা। মোট ২৪টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু তা থেকে একটা বলও বিপক্ষের জালে জড়াতে পারেনি। এক গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় পেনাল্টি পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তারই খেসারত দিল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে জামশেদপুর ১১টি সুযোগ পেয়ে দুটো কাজে লাগিয়ে ফেলল।
প্রথমার্ধে ১টি গোল
ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করে জামশেদপুর। দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন জাপানি মিডফিল্ডার রেই তাচিকাওয়া। ইস্টবেঙ্গলের বক্সের মাথা থেকে প্রথমে গোলে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন মহম্মদ শনন। তা আটকে দেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে। কিন্তু তাঁর পায়ে লেগে বল ছিটকে চলে আসে শননের পিছনে থাকা জাপানি তারকা তাচিকাওয়ার পায়ে। সামনে অনেকটা জায়গা ছিল আর হাতে সময়ও ছিল। বল নিখুঁত ভাবে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন তাচিকাওয়া। ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারের কিছুই করার ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে আত্মঘাতী গোল
গোল খাওয়ার পর ম্যাচে সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। সল ক্রেসপোর দুর্বল পেনাল্টি শট আটকাতে কোনো অসুবিধা হয়নি জামশেদপুরের গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিলের।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৭০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের আত্মঘাতী গোলে জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় জামশেদপুর। বাঁদিক দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের বক্সে ঢুকে ক্রস বাড়ান জর্ডন মারে। সেই ক্রস পৌঁছে যায় ইমরান খানের কাছে। ইমরান আবার ক্রস বাড়িয়ে দেন সেই মারেকে। মাঝখান থেকে সেই বল আটকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেদের গোলেই বল ঠেলে দেন লালচুংনুঙ্গা। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জয় পেয়ে যায় জামশেদপুর।
জামশেদপুর তৃতীয় স্থানে
৪ ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট পেয়ে জামশেদপুর এফসি লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রইল। আর সমসংখ্যক খেলায় প্রতিটি ম্যাচ হেরে ইস্টবেঙ্গল এফসি রইল টেবিলের একদম নীচে, ত্রয়োদশ স্থানে।