ইস্টবেঙ্গল এফসি: ১ (জিকসন সিং থৌনাওজাম) হায়দরাবাদ এফসি: ১ (মনোজ মহম্মদ)
হায়দরাবাদ: এবারের আইএসএল-এ দুটি দলেরই অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবু গোড়ার দিকে লিগ টেবিলের একেবারে নীচে থাকার পর গত দুটো ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল এফসির অবস্থা কিঞ্চিৎ ভালো হয়েছিল। তারা একেবারে নীচে থেকে উঠে এসেছিল দশম স্থানে। শনিবার তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল হায়দরাবাদ এফসি। তাদেরও অবস্থা তথৈবচ। সেই হায়দরাবাদকে প্রতিপক্ষ পেয়ে ইস্টবেঙ্গল তাদের অবস্থা আর একটু ভালো করতে পারত। করেও ফেলেছিল। কিন্তু ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও জয় আনতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদের সঙ্গে ম্যাচ ১-১ ড্র করে ফের লিগ টেবিলে আবার এক ধাপ নীচে নেমে গেল।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের খেলার মধ্যে কেমন একটা গা-ছাড়া ভাব ছিল। তাদের খেলায় কোনো পরিকল্পনা চোখে পড়ছিল না। এ বারের হায়দরাবাদ এফসি তুলনামূলক ভাবে দুর্বল দল। সেই দুর্বল দলকে প্রতিপক্ষ হিসাবে পেয়েও তাদের বিরুদ্ধে তেমন আক্রমণ শানাতে পারছিল না ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধেই দু’টি গোল
তবে দ্বিতীয়ার্ধে অন্য রূপ ধরে লাল-হলুদ বাহিনী। তাদের আক্রমণের ঝাঁজ অনেক বেড়ে যায়। এর ফলও পেয়ে যায় ম্যাচের ৬৪ মিনিটে। হায়দরাবাদের ডিফেন্ডার তাদের বক্সের ঠিক বাইরে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে ফাউল করেন। তারই ফলস্বরূপ ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেইটনের শট হায়দরাবাদের বারে লেগে ফিরে আসে। কাছেই ছিলেন জিকসন সিং থৌনাওজাম। লাফিয়ে উঠে হেড করে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দিতে বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি তাঁর।
এর পরই খেলা জমে যায়। দু’ পক্ষই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদকে সামাল দিতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের একেবারে শেষ মুহূর্তে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনল হায়দরাবাদ। বাঁ দিক থেকে কোরিয়ার কাছ থেকে পাস পেয়ে মনোজ মহম্মদ বাঁ পায়ের জোরালো শটে কাজ হাসিল করেন। মূলত দলের রক্ষণের ভুলেই জেতা ম্যাচ মাঠেই ছেড়ে আসতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
লিগ টেবিলে কে কোথায়
১৩ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ইস্টবেঙ্গল নেমে এল একাদশ স্থানে। আর হায়দরাবাদ এফসি থাকল দ্বাদশ স্থানে। সমসংখ্যক ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। টেবিলের একেবারে নীচে রয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। সমসংখ্যক খেলায় তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।