ফুটবল
মুম্বইকে আটকাতে বদ্ধপরিকর বদলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল
লিগে এখনও পর্যন্ত সাত ম্যাচে অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার, লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) মুখোমুখি হতে চলেছে দশ নম্বর দল ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। খাতায় কলমে ইস্টবেঙ্গল অনেকটাই দুর্বল দল। কিন্তু গত কয়েকটা ম্যাচে লালহলুদ ব্রিগেড যে ফুটবল খেলেছে, তাতে মুম্বইকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রবি ফাউলারের ছেলেরা।
চমকপ্রদ বিষয় হল মুম্বই যেমন টানা দশ ম্যাচ অপরাজিত, তেমনই ইস্টবেঙ্গল গত ৭টা ম্যাচ হারেনি। ফলে ম্যাচটা উত্তেজনায় ভরপুর হতেই পারে।
যে ভাবে ইস্টবেঙ্গল শেষ মিনিটে গোল করে কেরল ব্লাস্টার্সকে আটকে দেয়, যে ভাবে গত ম্যাচে দশ জনে খেলেও চেন্নাইন এফসি-কে কোনো গোল করতে না দিয়ে আটকে দেয়, সেই কৌশলেই ফের মুম্বই সিটি এফসি-র সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে পারে ব্রিটিশ কোচ রবি ফাউলারের দল।
প্রথম লেগে তিন গোলে মুম্বইয়ের কাছে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। লে ফন্দ্রের দু’টি ও এর্নান সান্তানার একটি গোলে বিধ্বস্ত হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তখন ইস্টবেঙ্গল ছিল অন্য রকম। সদ্য লিগে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক ম্যাচ হারতে শুরু করে তারা।
কিন্তু তার পরে আরও দশটা ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে তাদের। রক্ষণ থেকে আক্রমণ— এখন সব বিভাগেই অনেক উন্নতি করেছে লালহলুদ ব্রিগেড। আক্রমণে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ব্রাইট ইনোবাখারেকে পাওয়ার পরে জাক মাঘোমার সঙ্গে তাঁর তালমেলে এবং অ্যান্থনি পিলকিংটনের সাহায্যে অনেকটাই উন্নতি করেছে। রক্ষণও এখন আগের থেকে অনেকটাই উন্নত।
আশাবাদী ফাউলারের ভারতীয় সহকারী
সহকারী কোচ রেনেডি সিংও (Renedy Singh) যথেষ্ট আশাবাদী যে তাঁদের দল ক্রমশ আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখাবে। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “গত সাত দিনে আমরা যা খেলেছি, একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই জায়গায় পৌঁছনো যায়। আমাদের দল আরও ভালো খেলবে। দলের সব ফুটবলারই আরও ভালো খেলবে বলে আমার আশা এবং সেই সময় খুব তাড়াতাড়িই আসতে চলেছে।”
গত সাত ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকে অনুপ্রেরণা পেতে চান ইস্টবেঙ্গল ও ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন তারকা। বলেন, “গত সাত ম্যাচে আমরা অপরাজিত থেকেছি। তিনটি ম্যাচে আমরা দশ জনে খেলেও হারিনি। এগুলোই এখন আমাদের কাছে প্রেরণা”।
আসন্ন ম্যাচের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তিনি বলেন, “মুম্বই সিটি যথেষ্ট ভালো ও শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা আমাদের নিজস্ব স্টাইলে মনসংযোগ করব। গত সাত ম্যাচে আমরা যে স্টাইলে খেলে এসেছি তার ওপর। দলের ছেলেরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে।”
এ দিকে লিগ টেবলের দশ নম্বর দল হলেও ইস্টবেঙ্গলকে হালকা ভাবে নিতে রাজি নন মুম্বই সিটি এফসি-র স্প্যানিশ কোচ লোবেরা। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের গত বার মুখোমুখিতে কী হয়েছিল, সে কথা মাথায় রেখে যদি এই ম্যাচে খেলতে নামি, তা হলে সেটা হবে সবচেয়ে বড়ো ভুল। এখন ওরা সম্পুর্ণ অন্য একটা দল আর পারফরম্যান্সে অনেক উন্নতি করেছে ওরা।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আক্রমণ বিভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটাতে পারছেন না আন্তোনিও লোপেজ আবাস
ফুটবল
হায়দরাবাদের সঙ্গে ড্র করে শেষ চারে চলে গেল গোয়া
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে।

এফসি গোয়া ০ হায়দরাবাদ এফসি ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: আসল কাজটা সারার জন্য ১টা পয়েন্ট দরকার ছিল গোয়ার। সেই কাজটাই তারা করল আজ। এবং শেষ চারেও চলে গেল তারা।
রবিবার ফাতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এফসি গোয়া (FC Goa) বনাম হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। শেষ চারে যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল জয়। সেই জয় অধরাই থাকল।
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে। আর সমসংখ্যক খেলায় ২৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এ বারের মতো আইএসএল অভিযান শেষ করল হায়দরাবাদ।
এ দিনের খেলায় দুই দলই সমানে সমানে লড়ে গিয়েছে। তবে বলের দখলদারিতে গোয়া এগিয়ে ছিল। কিন্তু ৯৯ মিনিটের খেলায় (প্রথমার্ধে অতিরিক্ত ২ মিনিট এবং শেষার্ধে অতিরিক্ত ৭ মিনিট) কোনো দলই টার্গেট লক্ষ্য করে তেমন শট নিতে পারেনি।
খেলায় রীতিমতো উত্তেজনা ছিল। খেলার একেবারে শেষ দিকে দু’টি দলই রেড কার্ড দেখেছে। তবে হায়দরাবাদের লুই সাস্ত্রে দেখেছেন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে, খেলা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়ার পরে। আর গোয়ার আলবার্তো নগুয়েরা দেখেছেন দু’ বার হলুদ কার্ড দেখার খেরাসত হিসাবে।
তবে এরই মধ্যে একটা ইতিহাস তৈরি করে ফেলল গোয়া – টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। নতুন আইএসএল রেকর্ড।
ফুটবল
মুম্বইয়ের কাছে হেরে লিগজয়ীর শিল্ড হারাল এটিকে মোহনবাগান

মুম্বই ২ (ফল, ওগবেচে) এটিকে মোহনবাগান ০
খবরঅনলাইন ডেস্ক: কয়েক দিন আগেও পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটি বেশ ভালো ভাবেই দখলে রেখেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু এ দিন মুম্বইয়ের কাছে হেরে গিয়ে এই স্থানটা তো গেলই। ফলে লিগজয়ীর শিল্ডটাও খোয়াল সবুজমেরুন।
তাগিদ অনেক বেশি ছিল। তাই শুরু থেকেই এ দিন আক্রমণ করতে শুরু করে মুম্বই এফসি। আর সেই আক্রমণের লাভও উঠিয়ে ফেলে প্রথম সাত মিনিটের মধ্যেই। মুর্তাদা ফলের গোলে এগিয়ে যায় মুম্বই এফসি। জাহুর ফ্রিকিক থেকে থেকে হেডে আইএসলের ১২ তম গোল করেন ফল।
গোলটি খাওয়ার পর থেকেই ম্যাচে ফেরার চেষ্টা শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সন্দেশ ঝিঙ্ঘনকে হারিয়ে একটা ধাক্কা খায় তারা। কুড়ি মিনিটের মধ্যে চোটের কারণে উঠে যেতে হয় ঝিঙ্ঘনকে। এ দিনের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করছিলেন তিনি। তাঁর জায়গায় নামেন প্রবীর দাস।
লম্বা বল খেলে এটিকে মোহনবাগানের ওপর চাপ বাড়ানোর পন্থা নেয় মুম্বই সিটি এফসি। যদিও পালটা আক্রমণ শুরু করে এটিকে মোহনবাগানও। কিন্তু ৩৯ মিনিটে ফের ধাক্কা খায় বাগান। হারমান সান্তানার ফ্রিকিক ক্রস বারে লেগে ফিরে এলে হেডে গোল করে যান ওগবেচে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোলের ব্যবধান বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মুম্বই। তাদের সেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়তেই চার ডিফেন্ডারে চলে আসে এটিকে মোহনবাগান। পাশাপাশি কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের চেষ্টাও করতে শুরু করে তারা।
৬৩তম মিনিটে একটি সুযোগ এসেছিল সবুজমেরুনের কাছে। ডানদিক থেকে প্রবীরের ক্রস রয় কৃষ্ণর হাঁটুতে লেগে বল চলে যায় অমরিন্দরের হাতে। চার মিনিট পর এদু গার্সিয়ার শট প্রথম পোস্টের সাইড নেটে লেগে বাইরে চলে যায়।
মরিয়া লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ আর দেখতেই পারেনি সবুজমেরুন। এর ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটির পাশাপাশি লিগজয়ীর শিল্ডটাও খোয়ালো তারা। তবে আইএসএলের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা এখনও যথেষ্ট রয়েছে। সেটাকেই পাখির চোখ করবেন আন্তনিও লোপেজ আবাস।

ওড়িশা ৬ ইস্টবেঙ্গল ৫
খবরঅনলাইন ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গলের কাছে লজ্জার একটা টুর্নামেন্ট শেষ হল চরম লজ্জা দিয়েই। লিগের লাস্ট বয় ওড়িশাকে পাঁচ গোল দিয়েও ছ’টি গোল খেয়ে গেল তারা। জঘনয় রক্ষনের একাধিক ভুলের খেসারত দিতে হল তাদের। তবে এই ম্যাচে অনন্য একটি রেকর্ডও হয়েছে। আইএসএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি গোল হল এই ম্যাচে – ১১।
গত নর্থ-ইস্ট ম্যাচ থেকে শনিবার দলে ৯টি বদল আনেন রবি ফাওলার! সেই ম্যাচ থেকে এই দলে জায়গা পান মাত্র ২ জন।
২৪ মিনিটে পিলকিংটনের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তবে কিছুক্ষণ পরেই ৩৩ মিনিটে সমতা ফেরান লালরেজুয়ালা। যদিও ৩৭ মিনিটে ফের ম্যাচে ফিরে আসে লাল-হলুদ। এ বার আত্মঘাতী গোল করে ব্রাইটদের এগিয়ে দেন বিপক্ষের গোল রক্ষক রবি কুমার। ফলে প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ।
তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ রক্ষণের দুর্বলতা ও সুব্রত পালের জঘন্য গোল কিপিং বারবার চোখে পড়ে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক গোল করতে থাকে ওডিশা। ডাগআউটে তখন অসহায় ভাবে নিজের দলের করুণ পরিণতি দেখছিলেন দেবজিৎ ঘোষ। ৪৯ মিনিটে লাল-হলুদের জঘন্য রক্ষণের ভুলে ফের সমতা ফেরাল ওডিশা। গোল করলেন পউল। স্কোর লাইন ২-২। ৫১ মিনিটে আবার গোল করল ওডিশা। তৃতীয় গোল করে এ বার দলকে এগিয়ে দিলেন জেরি।
কিন্তু বিরতির পর থেকেই ম্যাচের মোড় পুরোপুরি ঘুরে যায়। ৪৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরান পল রামফাংজাউভা। এর ঠিক দুই মিনিটের মধ্যেই ওড়িশাকে এগিয়ে দেন জেওরি।
৩-২-এ পিছিয়ে পড়া ইস্টবেঙ্গলের সমতা ফেরে ৬০ মিনিটে। এ বার অ্যারণ আমাদি দলের হয়ে ৩-৩ করেন। এতে অবশ্য দমে না গিয়ে ৬৬ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করে ওড়িশা। ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করলেন রামফাংজাউভা। স্কোর লাইন তখন ৪-৩। সেই গোলের উল্লাস মিটতে না মিটতেই ফের এগিয়ে গেল ওডিশা। ৬৭ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জেরি। আর ৬৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করলেন ব্রাজিলিয়ান দিয়েগো মরিসিও। সেই সময় ওডিশা ৬-৩ গোলে এগিয়ে।
তবে রক্ষণ ও সুব্রত পালের ভুলে একাধিক ভুলের পরেও লড়াই করে যাচ্ছিলেন অ্যারণ, পিলকিংটন, জেজেরা। ৭৪ মিনিটে রানা ঘরামির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে গোল করলেন ‘মিজো স্নাইপার’ জেজে।
যদিও তখনও ৬-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ। এরপর ৯৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন অ্যারণ। লালহলুদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওডিশার কাছে ৫-৬ ব্যবধানে হারতে হল।
জোড়া ডার্বি হার তো ছিলই। এর সঙ্গে যোগ হল এই লজ্জাজনক বিপর্যয়। লালহলুদের রক্ষণকে নিয়ে ছেলেখেলা করল ওডিশার স্ট্রাইকাররা। তাই তো আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার ১১টি গোলের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। যেখানে লালহলুদ হজম করল ৬ গোল!
-
রাজ্য2 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল2 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
রাজ্য2 days ago
কলকাতায় তেজস্বী যাদব, হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ