ইমামি ইস্টবেঙ্গল: ৬ (সায়ন, বিষ্ণু, শ্যামল, জেসিন ২, আমন) পুলিশ এসি: ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: ঘরের মাঠে কলকাতা পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবকে আধ ডজন গোল দিয়ে কলকাতার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ফুটবল লিগের গ্রুপ বি-তে শীর্ষ স্থানে চলে গেল ইমামী ইস্টবেঙ্গল। ৫টি ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভবানীপুরেরও ৫ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল।
শুক্রবার নিজেদের মাঠে কলকাতা পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত বিনো জর্জের ছেলেরা ৬-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করল পুলিশ ক্লাবকে। দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে সায়ন ব্যানার্জি, পিভি বিষ্ণু, শ্যামল বেসরা, জেসিন টিকে (২টি গোল) এবং আমন সিকে।
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে
মঙ্গলবার কলকাতা লিগে লাল-হলুদের অশ্বমেধের ঘোড়া থামিয়ে দিয়েছিল কাস্টমস। একাধিক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যাচ ড্র রেখেছিল তারা। শুক্রবার আর সেই ভুল করেনি ইস্টবেঙ্গল। গত দিনের ভুল শুধরে এ দিন অভাবনীয় কামব্যাক করল মশাল ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই তারা আক্রমণে উঠে আসে এবং ব্যতিব্যস্ত করে তোলে পুলিশের রক্ষণভাগকে।
এভাবেই ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পেয়ে যায় তারা। পি ভি বিষ্ণুর সঙ্গে পাস খেলে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে আসেন সায়ন ব্যানার্জি। তার পর তিনি পাস দিতে গিয়েছিলেন কোনো সতীর্থকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই আসে দ্বিতীয় গোল। পুলিশের বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান বিষ্ণু। পুলিশের দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে তিনি জালে বল জড়িয়ে দেন। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গলে এলেন জিকসন সিং। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
জাতীয় তারকা জিকসন সিং ইস্টবেঙ্গলে
এ দিন খেলার বিরতিতে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত দলের নতুন তারকা খেলোয়াড় জিকসন সিংথৌনাওজামকে নিয়ে মাঠে নামেন এবং তাঁর হাতে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি তুলে দেন। ভারতীয় জাতীয় দলের মিডফিল্ডার জিকসন এত দিন কেরল ব্লাস্টার্স-এ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বেড়ে ৬-০
২-০ থেকে দ্বিতীয়ার্ধে জয়ের ব্যবধান ৬-০-এ নিয়ে যায় লাল-হলুদ শিবির। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করে পুলিশ দল। ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে শটও নেয়। তবে ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার আদিত্য পাত্রের সক্রিয়তায় কোনো বিপদ ঘটেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে আবার দাপট দেখাতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। এবং ৬৪ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল পেয়ে যায় তারা। আমনের পাস থেকে গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি শ্যামল বেসরা।
৩ মিনিট পরেই আবার গোল। ফাঁকায় থাকা জেসিন টিকে-কে ডান দিক থেকে পাস বাড়ান সঞ্জীব ঘোষ। সেই পাস থেকে গোল করেন জেসিন। ম্যাচের ৭২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের পঞ্চম গোল। এবারেও গোল করেন জেসিন। ফাঁকায় ছিলেন জেসিন। বাঁ দিক থেকে পাস বাড়ান সায়ন। সায়নের পাস থেকে পাওয়া বল পুলিশের জালে জড়িয়ে দিতে কোনো ভুল করেননি জেসিন। এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের ৮৫টি মিনিটে ষষ্ঠ গোলটি এল আমনের পা থেকে। এ ক্ষেত্রে পাস বাড়ান জেসিন। ৬-০ গোলে জিতে আত্মবিশ্বাস যথেষ্ট বেড়ে গেল মশাল ব্রিগেডের।
আরও পড়ুন
হার্দিক নয়, ভারত-শ্রীলঙ্কা টি২০ সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার, একদিনের ম্যাচে রোহিত