ইংল্যান্ড: ২ (হ্যারি কেন, ওলি ওয়াটকিন্স) নেদারল্যান্ডস: ১ (জাভি সিমন্স)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ম্যাচ গড়িয়ে গিয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। আর মিনিটচারেক বাকি। ফয়সালা না হলে ম্যাচ চলে যাবে পেনাল্টি শুট-আউটে। ঠিক সেই মুহূর্তে গোল এল ওলি ওয়াটকিন্সের পা থেকে। ইংল্যান্ড এগিয়ে গেল ২-১ গোলে। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জিতল ২-১ গোলে। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আবার তারা ইউরো কাপের ফাইনালে উঠল। ২০২০-এর ইউরো কাপের পরে আবার। ফাইনালে তারা স্পেনের মুখোমুখি হবে।
বুধবার গভীর রাতে (ভারতীয় সময়) ডর্টমুন্ডের বিভিবি স্টাডিওনে আয়োজিত ম্যাচে ৭ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। কিছুক্ষণ পরেই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করে ইংল্যান্ড। অতিরিক্ত সময়ের ১ মিনিটে ওয়াটকিন্সের গোলে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের পর ওয়াটকিন্স বললেন, “ইউরোতে আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলব, এটা কখনও ভাবিইনি।”
প্রথমার্ধ ১-১
এবারের টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডকে যে চেহারায় দেখা গিয়েছে, এ দিন একটু অন্যরকম লাগল। আক্রমণেই ভরসা করে খেলা শুরু করল তারা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আক্রমণে উঠে এল ডাচেরা। জাভি সিমন্স ইংল্যান্ডের ডেক্লান রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বল ড্রিবল করতে করতে একেবারে চলে গেলেন বক্সের মাঝখানে। সেখান থেকে যে শট নিলেন তা বাঁদিকের পোস্টের কোণ দিয়ে গোলে ঢুকে গেল। ডাচেরা এগিয়ে গেল ১-০ গোলে।
গোল খেয়ে তেড়েফুঁড়ে উঠল ইংল্যান্ড এবং তার ফলও পেয়ে গেল ম্যাচের ১৮ মিনিটে। ইংল্যান্ডের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল পেলেন বুকায়ো সাকা। সাকা বল বাড়িয়ে দিলেন হ্যারি কেনকে। কেন যে শট নিলেন তা ডাচদের ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে গেল। হ্যারি কেনে পায়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের ডেনজেল ডামফ্রিস। ‘ভার’ (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) পরীক্ষার পরে ইংল্যান্ডকে পেনাল্টি দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি হ্যারি কেন।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ডাচদের বক্সের বাঁ দিকে থাকা ফিল ফোডেনকে বল বাড়িয়ে দেন কোবি মাইনু। ফোডেনের শট ডাচ গোলকিপারকে পরাস্ত করে গোলে ঢোকার মুখে গোল বাঁচিয়ে দেন ডামফ্রিস। ৩০ মিনিটে সুযোগ পায় নেদারল্যান্ডস। কর্নার পেয়েছিল তারা। কর্নার শটে মাথা ছুঁইয়ে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন ডামফ্রিস। কিন্তু তার হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ অবস্থায়।
৯১ মিনিটে ফয়সালা
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই দুই দলই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু কোনো দলেরই ঠিকমতো ফিনিশিং হচ্ছিল না। শেষে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে গোল করে বসে ইংল্যান্ড। ফোডেনের কাছ থেকে পাস পেয়ে কাইল ওয়াকার বল নিয়ে ডাচদের বক্সে ঢুকে পেয়ে যান সাকাকে। সাকার শট জড়িয়ে যায় ডাচদের জালে। কিন্তু ওয়াকার অফসাইডে ছিলেন বলে গোল বাতিল হয়।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ থাকার পর শুরু হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই জয়সূচক গোল পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। কোল পারমারের কাছ থেকে পাস পেয়ে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে ঘুরে গিয়ে ওলি ওয়াটকিন্স ডাচদের গোল লক্ষ্য করে যে শট নিলেন তাতে গোলকিপারের কিছু করার ছিল না। ইংল্যান্ড জিতে গেল ২-১ গোলে।
আরও পড়ুন
ইউরো কাপ ২০২৪: এক গোলে এগিয়ে থেকে আত্মসমর্পণ ফ্রান্সের, ফাইনালে স্পেন