ফ্রান্স: ১ (ইয়ান ভার্তোনঘেন, আত্মঘাতী) বেলজিয়াম: ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: শুরুটা ফ্রান্সের তুলনামূলক ভাবে ভালো ছিল। বেলজিয়াম ম্যাচে স্বমহিমায় আসে একটু পরে। তার পর সমানে সমানে খেলা চলল বাকি সময়টা ধরে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বেলজিয়ামের। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের প্রায় শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে গেল তারা। ১-০ গোলে বেলজিয়ামকে হারিয়ে এবারের ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল ফ্রান্স।
ফিফা র্যাঙ্কিং-এর তালিকায় ফ্রান্স দু’ নম্বরে আর বেলজিয়াম তিন নম্বরে। তাই সোমবার রাতে (ভারতীয় সময়) ডুসেলডর্ফের ডুসেলডর্ফ আরেনায় আয়োজিত ম্যাচে এই দুই দলের ম্যাচ বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই প্রত্যাশা ছিল ফুটবলপ্রেমীদের।
ফ্রান্সের আধিপত্য কিঞ্চিৎ বেশি
নিজেদের বক্স থেকে বেরিয়ে প্রথম শটটা ফ্রান্সই নিল। খেলার প্রথম ৫ মিনিট ফ্রান্সেরই আধিপত্য ছিল। বাঁদিক থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছিল। তবে প্রতি-আক্রমণে উঠে আসছিল বেলজিয়ামও। ম্যাচের ১০ মিনিটে এমবাপ্পেকে বল পাস করেন গ্রিজমান। কিন্তু সজাগ ছিল বেলজিয়ামের রক্ষণভাগ। এমবাপ্পের শট ক্লিয়ার করে দেয় তারা। একটু পরে বেলজিয়ামের গোল লক্ষ্য করে গ্রিজমান যে শট নেন তা খুবই দুর্বল ছিল।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে ফ্রান্স প্রথম কর্নার পায়। তবে সেই কর্নার থেকে তারা লাভবান হয়নি। ৪ মিনিট পরেই আবার কর্নার। কিন্তু এবারও এর থেকে ফায়দা তুলতে পারল না ফ্রান্স।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে বেলজিয়ামের লুই ওপেন্দা বল নিয়ে দুরন্ত গতিতে ফ্রান্সের বক্সে ঢুকে পড়েন। বল পাঠিয়ে দেন ইয়ানিক কারাস্কোকে। কারাস্কো শট নেন, কিন্তু তা আটকে দেন হার্নান্দেজ। বেলজিয়াম পেনাল্টির আবেদন জানান। ‘ভার’ পরীক্ষায় জানা যায়, এটা হার্নান্দেজের হ্যান্ডবল ছিল না। এটাই ছিল কার্যত বেলজিয়ামের প্রথম আক্রমণ। শুরুটা ফ্রান্স তুলনামূলক ভাবে ভালো করলেও বেলজিয়াম একটু একটু করে খেলাটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আবার আক্রমণ চালায় ফ্রান্স। কুন্দের দুর্দান্ত ক্রসে হেড করেন থুরাম। কিন্তু তা গোলের অনেকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে ম্যাচে অচলাবস্থা জারি থাকে।
আত্মঘাতী গোল থেকে জয়
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই বেলজিয়াম উঠে আসে ফ্রান্সের বক্সে। রমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল কেড়ে নেন উইলিয়াম স্যালিবা। তার পর বেলজিয়ামের ইয়ানিক কারাস্কোর ক্রস কুন্দে বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে বেলজিয়ামের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে এমবাপ্পে যে শট নেন তা ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে কেভিন ডে ব্রুয়িনের কাছ থেকে দুর্দান্ত পাস পান কারাস্কো। বল নিয়ে দুরন্ত গতিতে ঢুকে পড়েন ফ্রান্সের বক্সে। পিছন থেকে থিও হার্নান্দেজের চ্যালেঞ্জে আর শট নিতে পারেননি কারাস্কো। ৭০ মিনিটে ফ্রান্সের গোল লক্ষ্য করে রমেলু লুকাকু যে শট নেন তা বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান।
দ্বিতীয়ার্ধের ৮২ মিনিটে আবার ফ্রান্সকে সম্ভাব্য গোল খাওয়া থেকে বাঁচিয়ে দেন মাইগনান। ফ্রান্সের গোল লক্ষ্য করে ডে ব্রুয়িনে যে দুরন্ত শট নেন তা ততোধিক দক্ষতায় বাঁচান ফ্রান্সের গোলকিপার। এর ৩ মিনিট পরেই গোল পায় ফ্রান্স। ডান দিক থেকে কুলো মুয়ানির শট বেলজিয়ামের ইয়ান ভার্তোনঘেনের গা ছুঁয়ে গোলে ঢুকে যায়। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর আরও ৩ মিনিট অতিরিক্ত সময় খেলানো হয়। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জিতে ফ্রান্স চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।
আরও পড়ুন