কলকাতা: আমনা, কাসিম আইদারা এসে গেছেন। বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার এসে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অধীর আগ্রহ স্ট্রাইকারের নাম নিয়ে। বিশেষত কোয়েস এসেই কোস্টারিকার ডিফেন্ডারকে চুক্তিবদ্ধ করায় প্রত্যাশা তুঙ্গে।
তৎপরতার অভাব নেই লালহলুদ তাঁবুতেও। বেশি কিছু বায়োডাটা নিয়ে নাড়াচাড়া চলছে। সেই নাড়াচাড়ার পর যারা আলোচনার মধ্যে রয়েছেন, তাদের মধ্যে লালহলুদ কর্তাদের মনে ধরেছে দুইজনকে।
প্রথমজনের বয়স কিছুটা বেশি হলেও(৩৩), শুরু থেকেই জর্জি ওয়েলকাম সাড়া জাগিয়েছিলেন হন্ডুরাসে। দ্বিতীয় স্তরের ক্লাবে খেলেও হন্ডুরাসের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ফুটবলার ওই একজনই। হন্ডুরাস ও মেক্সিকোর বিভিন্ন ক্লাবে খেলার ফাঁকে ফ্রান্সের বিখ্যাত দল এ এস মোনাকোতেও এক মরশুম খেলেছেন তিনি। যদিও সেখানে ততটা সফল হননি। রোগা-লম্বা এই স্ট্রাইকার হন্ডুরাসের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চমৎকার সব গোল করে মধ্য আমেরিকার ফুটবলে বেশ পরিচিত মুখ।
অন্যদিকে রয়েছেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা জাতীয় দলের স্ট্রাইকার এলভির কোলজিচ। বসনিয়ার ক্রুপা দলের ফুটবলার কোলজিচের এমনিতে এত তরুণ বয়সে ভারতে খেলতে আসার কথা নয়। এই বছরের শুরুতে তাঁকে ক্রুপা লোনে পাঠিয়েছিল পোল্যান্ডের ক্লাব লেচ পোজনানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে হাঁটুতে একটা বড়োসড়ো চোট পান কোলজিচ। দুই মাস মাঠের বাইরে থাকেন। মাঠে ফেরেন মে মাসের মাঝামাঝি। মরশুমের শেষে পোল্যান্ডের ক্লাবটি তাঁকে কিনতে রাজি হয়নি। কোলজিচ ফিরে গেছেন ক্রুপায়। সব মিলিয়ে তাঁর কেরিয়ার সাময়িক ভাবে সমস্যায়। এই অবস্থায় ভারতে ভালো অফার পেলে খেলতে অসুবিধা নেই তাঁর।
তবে শুধু এই দুজনই নয়, কোয়েস কর্তাদের হাতে রয়েছে আরও কিছু সিভি। সেই সব নিয়ে আলোচনা করে দু-চার দিনের মধ্যেই স্ট্রাইকার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে লালহলুদ।