ফুটবল
প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুকে ৩ গোল দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল হজম করল জামশেদপুর
প্রথমার্ধে জামশেদপুরের দাপট, দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরুর।


জামশেদপুর এফসি ৩ (এজে, ডাউঙ্গেল, গ্র্যান্ডে) বেঙ্গালুরু এফসি ২ (গঞ্জালেজ, সুনীল ছেত্রী)
খবর অনলাইন ডেস্ক: আগের মরশুমে শেষ চারে যাওয়া বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC) সপ্তম স্থানে থেকে এ বারের আইএসএল (ISL 2020-21) শেষ করল। বৃহস্পতিবার সুনীল ছেত্রীদের দল জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) কাছে ২-৩ গোলে হেরে গেল।
বৃহস্পতিবার তিলক ময়দানে আয়োজিত জামশেদপুর বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচের এমনিতে কোনো গুরুত্ব ছিল না। কোন দল লিগ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থাকে্, সেটাই ছিল দেখার। এ দিন বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে সেই স্থানটা দখল করল জামশেদপুর। ২০ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২৭ পয়েন্ট। সমসংখ্যক খেলায় ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করল বেঙ্গালুরু।
এ দিনের খেলা পরিষ্কার দুটি অর্ধে দু’ রকম হল। প্রথমার্ধে জামশেদপুরের দাপট, দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরুর। প্রথমার্ধেই ৩ গোল করে এগিয়ে যায় জামশেদপুর। আইএসএল-এ আগে কোনো খেলায় জামশেদপুর প্রথমার্ধে এত গোল করে এগোয়নি।
জামশেদপুরের আক্রমণ রুখতে হিমশিম খেয়ে যায় বেঙ্গালুরুর ডিফেন্স। ওড়িশা ছাড়া আর কোনো দল প্রথমার্ধেই এত গোল খেয়ে বসেনি। ম্যাচের ১৬, ৩৪ ও ৪১ মিনিটে জামশেদপুরের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে স্টিফেন এজে, সাইমিনলেন ডাউঙ্গেল এবং ডেভিড গ্র্যান্ডে।
দ্বিতীয়ার্ধে পালটে গেল ছবিটা। বেঙ্গালুরুর আক্রমণ সামাল দিতে আপ্রাণ করতে হল জামশেদপুরকে। ভাগ্য ভালো যে তারা জয়টা কোনো রকমে ধরে রাখতে পারল। বেঙ্গালুরুর হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করলেন ফ্রান্সিসকো গঞ্জালেজ (৬২ মিনিট) এবং সুনীল ছেত্রী (৭১ মিনিট)।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম হিসাবে ৪০০ উইকেট দখলের কৃতিত্ব রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
ফুটবল
ATK Mohun Bagan: আন্তোনিও লোপেজ আবাস আরও একটা মরশুম সবুজ মেরুনে
রয় কৃষ্ণ, মনবীর, ডেভিড উইলিয়ামস, প্রীতম কোটালদের ফাইনাল পর্যন্ত তুলে আনার পিছনে আবাসের ভূমিকা কিছু কম নয়।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: যা আশা করা হয়েছিল, তা-ই হল। আরও একটা মরশুমের জন্য এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) প্রধান কোচ (Head Coach) হিসাবে থেকে গেলেন আন্তোনিও লোপেজ আবাস (Antonio Lopez Habas)।
সদ্য শেষ হওয়ায় আইপিএল-এ (ISL 2020-21) এটিকে মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও এই স্প্যানিশ কোচের তত্ত্বাবধানে থেকে আগাগোড়া ভালো খেলে এসেছে। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) কাছে হেরে গেলেও রয় কৃষ্ণ, মনবীর, ডেভিড উইলিয়ামস, প্রীতম কোটালদের ফাইনাল পর্যন্ত তুলে আনার পিছনে আবাসের ভূমিকা কিছু কম নয়।
তাঁর সেই ভূমিকাকে মনে রেখেই প্রধান কোচ হিসাবে তাঁর সঙ্গে চুক্তি আরও এক বছর বাড়িয়ে নেওয়া হল। ২০২১-২২ মরশুমের রণনীতি ঠিক করার দায়িত্ব দু’ দু’ বার আইএসএল জয়ীর কাঁধেই চাপিয়ে দিলেন সবুজ-মেরুনের কর্তারা।
আরও একটা মরশুমের জন্য দায়িত্ব পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি আবাস। বললেন, “একই দল ধরে রাখার পাশাপাশি একই কোচদের রেখে দেওয়ার জন্য কর্তাদের অনেক ধন্যবাদ। আসন্ন এএফসি কাপ ও আইএসএলে সবাই একসঙ্গে থাকলে মনোবল বাড়বে। আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য এনে দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “গত মরশুমে খুব অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে। আগামী মরশুম শুরু হওয়ার আগে ভুল শুধরে মাঠে নামব। কারণ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে।”
আগামী মরশুমে আইএসএল ছাড়াও এএফসি কাপের খেলা রয়েছে। এটিকে মোহনবাগানের কর্মকর্তা ও সমর্থকদের বড়ো ভরসা আন্তোনিও লোপেজ আবাস। দেখা যাক তাঁর প্রশিক্ষণে থেকে আগামী মরশুমে কেমন ফল করে দল।
ফুটবল
ফিফা র্যাঙ্কিং-এ ২৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ওমানের সঙ্গে ১-১ ড্র করল ভারত
ফিফার তালিকায় ওমানের স্থান ৮১তম স্থানে, আর ভারত রয়েছে ১০৪তম স্থানে।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: ভারতের ফুটবলের পক্ষে সুখবর। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পরে আয়োজিত কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে ভারত ড্র করল। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মৈত্রী ম্যাচে ওমানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল ভারত। এই ম্যাচে উপসাগরের দলের আধিপত্য বেশি থাকলেও সম্মান রক্ষা করেছে ভারত।
আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দোল ওমান। ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে দুটি লেগেই ভারতকে হারিয়েছিল ওমান। ফিফার তালিকায় ওমানের স্থান ৮১তম স্থানে, আর ভারত রয়েছে ১০৪তম স্থানে।
এ দিন ওমানের গোলটি ভারতেরই আত্মঘাতী। ৪২ মিনিটে ভারতের বক্সের মধ্য থেকেই গোল লক্ষ্য করে শট নেন ওমানের জাহির আল আখবারি। গোলকিপার অমরিন্দর সিং বলটা ঠিকমতো ধরতে পারেননি। বল ভারতের ডিফেন্ডার চিংলেনসানা সিংয়ের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
৫৫ মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরান মনবীর সিং। ওমানের বক্সের ডান দিকে বিপিন সিংকে পেয়ে যান আশুতোষ মেহতা। বিপিন বল পেয়েই ক্রস করেন। তাতে মাথা ছুঁইয়ে ওমানের গোলে ঢুকিয়ে দেন এটিকে মোহনবাগানের মনবীর সিং।
এ দিনের ম্যাচে ১০ জন খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম নামার সুযোগ দেন ভারতের প্রধান কোচ আইগর স্টিম্যাক। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে তিনি বলেন, বড়ো ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তিনি আজ যত জন সম্ভব খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ দেবেন।
এ দিনের ম্যাচের প্রথমার্ধে ওমান অবিরাম আক্রমণ চালিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের গোলে একটাও শট নেওয়ার সুযোগ পায়নি ভারত। ২৭ মিনিটে একটি পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করে ওমান। আবদুল আজিজ আল মকবলির শট ধরে ফেলে অমরিন্দর,
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভালো খেলে ভারত। এই অর্ধে বলের উপর ভারতেরই দখলদারি বেশি ছিল। তারই সুবাদে ৫৫ মিনিটে তারা সমতা ফেরায়।
আগামী সোমবার ভারত তার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মৈত্রী ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) সঙ্গে। ২০২২-এর বিশ্বকাপ এবং ২০২৩-এর এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্রস্তুতি হিসাবে এই মৈত্রী ম্যাচগুলি খেলা হচ্ছে।
ফুটবল
ISL Final: গোল বাতিল নিয়ে ক্ষোভ, সাংবাদিক সম্মেলন বয়কট করে বিপুল জরিমানার মুখে এটিকে মোহনবাগান
ছয় লক্ষ টাকা দিতে হবে সবুজমেরুনকে।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবার আইএসএলের ফাইনালে এটিকে মোহনবাগানের একটি গোল বাতিলকে কেন্দ্র করে মহাবিতর্ক তৈরি হয়েছে। ‘জঘন্য’ রেফারিংয়ের প্রতিবাদ করে ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলন বয়কট করেন আবাস। এর জেরে বিপুল অঙ্কের জরিমানার সম্মুখীন দল।
শনিবার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৮ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামস গোল করে এটিকে-মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন আবাস। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে থমথমে মুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে না আসার ফলে ছ’ লক্ষ টাকা জরিমানা হচ্ছে এটিকে-মোহনবাগানের। ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠক না করে আবাসের ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ০-২ হারের পরে একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি।
এর জন্য দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এটিকে-মোহনবাগানকে। সেই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে। শনিবারের ঘটনার জন্য চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে এটিকে-মোহনবাগানকে। এর সঙ্গে যোগ হবে আগের দুই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, মোট ছয় লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে সবুজ-মেরুনকে। এ দিন ম্যাচের পরে কথা বলেননি এটিকে-মোহনবাগানের ফুটবলারেরাও।
সবুজমেরুনের প্রতিবাদ ন্যায্য গোল বাতিলকে কেন্দ্র করে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে খাবি এর্নান্দেজের ফ্রি-কিক মুম্বইয়ের মহম্মদ রকিপের হাঁটুতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিন্তু লাইন্সম্যান গোল বাতিল করেন। তাঁর যুক্তি, অফসাইডে ছিলেন রয় কৃষ্ণ। সবুজ-মেরুনের কেউই অবশ্য তা মানতে রাজি নন।
এর বিরুদ্ধে মাঠের মধ্যেই প্রতিবাদ জানান রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংহরা। কিন্তু লাইন্সম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে গোল বাতিল করেন রেফারি। তবে মুম্বইয়ের দু’টি গোলের ক্ষেত্রেই সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা দায়ী করছেন অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। ম্যাচের পরে মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এটিকে-মোহনবাগানের গোলরক্ষক। তাঁকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন আবাস ও সতীর্থরা।
সপ্তম আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগানের ফাইনালের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর অরিন্দমও। ২৩টি ম্যাচে ৫৯টি গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। সপ্তম আইএসএলের সেরা গোলরক্ষক হিসেবে সোনার গ্লাভসও পেলেন। কিন্তু মুম্বইয়ের কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা হয়তো সব সময়ই কাঁটার মতো বিঁধে থাকবে অরিন্দমের মনে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
দেশ2 days ago
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
Sputnik V: এপ্রিলের শেষে ভারতের বাজারে চলে আসবে টিকা, জানাল রাশিয়া
-
প্রযুক্তি1 day ago
বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের