ফুটবল
জামশেদপুর, হায়দরাবাদ, ওড়িশা ও বেঙ্গালুরু – ৪টি দলই ১ পয়েন্ট করে ঘরে তুলল
১৩ ম্যাচ খেলে জামশেদপুরের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। সমসংখ্যক খেলায় হায়দরাবাদের ১৮ পয়েন্ট, বেঙ্গালুরুর ১৪ পয়েন্ট এবং ওড়িশার মাত্র ৮ পয়েন্ট।

জামশেদপুর এফসি ০ হায়দরাবাদ এফসি ০
ওড়িশা এফসি ১ (মরিসিও) বেঙ্গালুরু এফসি ১ (পারতলু)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: রবিবার আইএসএল-এর (ISL 2020-21) দু’টি ম্যাচই অমীমাংসিত থাকল। প্রথম ম্যাচ জামশেদপুর এফসি বনাম হায়দরাবাদ এফসি-র ফল গোলশূন্য। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৮২ মিনিট পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষরক্ষা করতে পারল না ওড়িশা এফসি।
জামশেদপুর বনাম হায়দরাবাদ
মর্মুগাওয়ের তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্রথম ম্যাচে তুলনামূলক ভাবে হায়দরাবাদের আধিপত্য বেশি ছিল। প্রথমার্ধে হায়দরাবাদ গোল করার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু গোল হয়নি। বল প্রতিপক্ষের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়েছে, কিন্তু জালে জড়ায়নি। আর দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলকেই দেখে মনে হয়নি তারা তিন পয়েন্টের জন্য লড়ছে।
৮ মিনিটে দুর্দান্ত সেভ করে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) রেহেনেশ। হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) আরিদানে সান্তানা জামশেদপুরের রক্ষণ এড়িয়ে ঢুকে গিয়েছিলেন ভিতরে, পাশ দেন চিয়ানিজকে। কিন্তু চিয়ানিজের শট বাঁচিয়ে দেন রেহেনেশ।
ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে গোল করার জয়ের সুযোগ এসে গিয়েছিল জামশেদপুরের কাছে। পরিবর্ত খেলোয়াড় ফারুক চৌধুরী প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। বাঁ দিক থেকে নেওয়া মনরয়ের শট চলে আসে ফারুকের কাছে। কিন্তু তাঁর শট বাইরের জালে জড়িয়ে যায়।
তিনটি ম্যাচ টানা হারের পর ড্র করল জামশেদপুর। লিগ টেবিলে তারা এখন অষ্টম স্থানে। ১৩ ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। সমসংখ্যক খেলায় ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ রইল চতুর্থ স্থানে।
ওড়িশা বনাম বেঙ্গালুরু
ফাতোরদায় আয়োজিত ম্যাচে দু’টি দলই গোল করার প্রচুর সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ফিনিশিং-এ গণ্ডগোল আর দুই গোলকিপার অর্শদীপ সিং আর গুরপ্রীত সিং সাঁধু দক্ষতায় কোনো দলই জয় পেল না।
যখন মনে হচ্ছিল ওড়িশা এফসি (Odisha FC) বোধহয় মরশুমের দ্বিতীয় জয় পেতে চলেছে, ঠিক সেই মময়ে গোল শোধ করে দিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)।
ম্যাচের ৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ওড়িশা। জেরি মাউইমিংথাঙ্গা ফ্রি-কিক করে বল পাশ করেন বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে থাকা ম্যানুয়েল ওনুকে। ওনু নিচু ক্রস বাড়ান বক্সের মাঝে থাকা দিয়েগো মরিসিওকে। মরিসিও গোল করতে ভুল করেননি।
গোল খেয়ে জেগে ওঠে বেঙ্গালুরু। একের পর এক গোলের সুযোগ সৃষ্টি হয়ু। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান অর্শদীপ। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের ৮২ মিনিটে বিপুল পরিশ্রমের পুরস্কার জোটে। ক্লাইটনের ইন-সুইং কর্নার থেকে গোল করেন পারতলু।
এর পরেও দু’টি দলই আরও গোল করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ১৩ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোল পার্থক্যের সৌজন্যে জামশেদপুরের থেকে এক ধাপ উঁচুতে রয়েছে বেঙ্গালুরু। ওড়িশা রইল একেবারে নীচে। সমসংখ্যক খেলায় তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: শেষ আধ ঘণ্টা ১০ জনে খেলে কেরলের কাছে পয়েন্ট খোয়াল গোয়া
ফুটবল
হায়দরাবাদের সঙ্গে ড্র করে শেষ চারে চলে গেল গোয়া
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে।

এফসি গোয়া ০ হায়দরাবাদ এফসি ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: আসল কাজটা সারার জন্য ১টা পয়েন্ট দরকার ছিল গোয়ার। সেই কাজটাই তারা করল আজ। এবং শেষ চারেও চলে গেল তারা।
রবিবার ফাতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এফসি গোয়া (FC Goa) বনাম হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। শেষ চারে যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল জয়। সেই জয় অধরাই থাকল।
এ বারের আইএসএল-এর লিগে ২০ ম্যাচ থেকে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গোয়া থাকল চতুর্থ স্থানে। আর সমসংখ্যক খেলায় ২৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে এ বারের মতো আইএসএল অভিযান শেষ করল হায়দরাবাদ।
এ দিনের খেলায় দুই দলই সমানে সমানে লড়ে গিয়েছে। তবে বলের দখলদারিতে গোয়া এগিয়ে ছিল। কিন্তু ৯৯ মিনিটের খেলায় (প্রথমার্ধে অতিরিক্ত ২ মিনিট এবং শেষার্ধে অতিরিক্ত ৭ মিনিট) কোনো দলই টার্গেট লক্ষ্য করে তেমন শট নিতে পারেনি।
খেলায় রীতিমতো উত্তেজনা ছিল। খেলার একেবারে শেষ দিকে দু’টি দলই রেড কার্ড দেখেছে। তবে হায়দরাবাদের লুই সাস্ত্রে দেখেছেন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে, খেলা থেকে তাঁকে তুলে নেওয়ার পরে। আর গোয়ার আলবার্তো নগুয়েরা দেখেছেন দু’ বার হলুদ কার্ড দেখার খেরাসত হিসাবে।
তবে এরই মধ্যে একটা ইতিহাস তৈরি করে ফেলল গোয়া – টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। নতুন আইএসএল রেকর্ড।
ফুটবল
মুম্বইয়ের কাছে হেরে লিগজয়ীর শিল্ড হারাল এটিকে মোহনবাগান

মুম্বই ২ (ফল, ওগবেচে) এটিকে মোহনবাগান ০
খবরঅনলাইন ডেস্ক: কয়েক দিন আগেও পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটি বেশ ভালো ভাবেই দখলে রেখেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু এ দিন মুম্বইয়ের কাছে হেরে গিয়ে এই স্থানটা তো গেলই। ফলে লিগজয়ীর শিল্ডটাও খোয়াল সবুজমেরুন।
তাগিদ অনেক বেশি ছিল। তাই শুরু থেকেই এ দিন আক্রমণ করতে শুরু করে মুম্বই এফসি। আর সেই আক্রমণের লাভও উঠিয়ে ফেলে প্রথম সাত মিনিটের মধ্যেই। মুর্তাদা ফলের গোলে এগিয়ে যায় মুম্বই এফসি। জাহুর ফ্রিকিক থেকে থেকে হেডে আইএসলের ১২ তম গোল করেন ফল।
গোলটি খাওয়ার পর থেকেই ম্যাচে ফেরার চেষ্টা শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সন্দেশ ঝিঙ্ঘনকে হারিয়ে একটা ধাক্কা খায় তারা। কুড়ি মিনিটের মধ্যে চোটের কারণে উঠে যেতে হয় ঝিঙ্ঘনকে। এ দিনের ম্যাচে অধিনায়কত্ব করছিলেন তিনি। তাঁর জায়গায় নামেন প্রবীর দাস।
লম্বা বল খেলে এটিকে মোহনবাগানের ওপর চাপ বাড়ানোর পন্থা নেয় মুম্বই সিটি এফসি। যদিও পালটা আক্রমণ শুরু করে এটিকে মোহনবাগানও। কিন্তু ৩৯ মিনিটে ফের ধাক্কা খায় বাগান। হারমান সান্তানার ফ্রিকিক ক্রস বারে লেগে ফিরে এলে হেডে গোল করে যান ওগবেচে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোলের ব্যবধান বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে মুম্বই। তাদের সেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়তেই চার ডিফেন্ডারে চলে আসে এটিকে মোহনবাগান। পাশাপাশি কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের চেষ্টাও করতে শুরু করে তারা।
৬৩তম মিনিটে একটি সুযোগ এসেছিল সবুজমেরুনের কাছে। ডানদিক থেকে প্রবীরের ক্রস রয় কৃষ্ণর হাঁটুতে লেগে বল চলে যায় অমরিন্দরের হাতে। চার মিনিট পর এদু গার্সিয়ার শট প্রথম পোস্টের সাইড নেটে লেগে বাইরে চলে যায়।
মরিয়া লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ আর দেখতেই পারেনি সবুজমেরুন। এর ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানটির পাশাপাশি লিগজয়ীর শিল্ডটাও খোয়ালো তারা। তবে আইএসএলের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা এখনও যথেষ্ট রয়েছে। সেটাকেই পাখির চোখ করবেন আন্তনিও লোপেজ আবাস।

ওড়িশা ৬ ইস্টবেঙ্গল ৫
খবরঅনলাইন ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গলের কাছে লজ্জার একটা টুর্নামেন্ট শেষ হল চরম লজ্জা দিয়েই। লিগের লাস্ট বয় ওড়িশাকে পাঁচ গোল দিয়েও ছ’টি গোল খেয়ে গেল তারা। জঘনয় রক্ষনের একাধিক ভুলের খেসারত দিতে হল তাদের। তবে এই ম্যাচে অনন্য একটি রেকর্ডও হয়েছে। আইএসএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি গোল হল এই ম্যাচে – ১১।
গত নর্থ-ইস্ট ম্যাচ থেকে শনিবার দলে ৯টি বদল আনেন রবি ফাওলার! সেই ম্যাচ থেকে এই দলে জায়গা পান মাত্র ২ জন।
২৪ মিনিটে পিলকিংটনের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তবে কিছুক্ষণ পরেই ৩৩ মিনিটে সমতা ফেরান লালরেজুয়ালা। যদিও ৩৭ মিনিটে ফের ম্যাচে ফিরে আসে লাল-হলুদ। এ বার আত্মঘাতী গোল করে ব্রাইটদের এগিয়ে দেন বিপক্ষের গোল রক্ষক রবি কুমার। ফলে প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ।
তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ রক্ষণের দুর্বলতা ও সুব্রত পালের জঘন্য গোল কিপিং বারবার চোখে পড়ে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক গোল করতে থাকে ওডিশা। ডাগআউটে তখন অসহায় ভাবে নিজের দলের করুণ পরিণতি দেখছিলেন দেবজিৎ ঘোষ। ৪৯ মিনিটে লাল-হলুদের জঘন্য রক্ষণের ভুলে ফের সমতা ফেরাল ওডিশা। গোল করলেন পউল। স্কোর লাইন ২-২। ৫১ মিনিটে আবার গোল করল ওডিশা। তৃতীয় গোল করে এ বার দলকে এগিয়ে দিলেন জেরি।
কিন্তু বিরতির পর থেকেই ম্যাচের মোড় পুরোপুরি ঘুরে যায়। ৪৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরান পল রামফাংজাউভা। এর ঠিক দুই মিনিটের মধ্যেই ওড়িশাকে এগিয়ে দেন জেওরি।
৩-২-এ পিছিয়ে পড়া ইস্টবেঙ্গলের সমতা ফেরে ৬০ মিনিটে। এ বার অ্যারণ আমাদি দলের হয়ে ৩-৩ করেন। এতে অবশ্য দমে না গিয়ে ৬৬ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করে ওড়িশা। ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করলেন রামফাংজাউভা। স্কোর লাইন তখন ৪-৩। সেই গোলের উল্লাস মিটতে না মিটতেই ফের এগিয়ে গেল ওডিশা। ৬৭ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জেরি। আর ৬৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করলেন ব্রাজিলিয়ান দিয়েগো মরিসিও। সেই সময় ওডিশা ৬-৩ গোলে এগিয়ে।
তবে রক্ষণ ও সুব্রত পালের ভুলে একাধিক ভুলের পরেও লড়াই করে যাচ্ছিলেন অ্যারণ, পিলকিংটন, জেজেরা। ৭৪ মিনিটে রানা ঘরামির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে গোল করলেন ‘মিজো স্নাইপার’ জেজে।
যদিও তখনও ৬-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ। এরপর ৯৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন অ্যারণ। লালহলুদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওডিশার কাছে ৫-৬ ব্যবধানে হারতে হল।
জোড়া ডার্বি হার তো ছিলই। এর সঙ্গে যোগ হল এই লজ্জাজনক বিপর্যয়। লালহলুদের রক্ষণকে নিয়ে ছেলেখেলা করল ওডিশার স্ট্রাইকাররা। তাই তো আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার ১১টি গোলের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। যেখানে লালহলুদ হজম করল ৬ গোল!
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য16 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের