ফুটবল
রোনাল্ডোর থেকে আরও একটা রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন মেসি

ওয়েবডেস্ক: তিনি অবসর নিতে পারেন, এমন একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে ফুটবল মহলে। এরই মধ্যে নতুন একটি কীর্তি স্থাপন করলেন বার্সেলোনা তথা আর্জেন্তিনার তারকা লিওনেল মেসি।
কিছু দিন আগেই ষষ্ঠ বার ব্যালন ডি’ওরের খেতাব জিতে পেরিয়ে গিয়েছিলেন রোনাল্ডোকে। নতুন এই কীর্তির মধ্যে দিয়েও তিনি আরও এক বার সেই পর্তুগিজ তারকাকে টপকালেন।
লা লিগায় সব থেকে বেশি বার হ্যাটট্রিকের রেকর্ড করলেন মেসি। রবিবার মায়োরকার মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা। সেই ম্যাচে তিনটে গোল করেন মেসি।
ম্যাচের ১৭, ৪১ এবং ৮৩ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক করেন মেসি। এই ম্যাচে বিপক্ষের জালে বার্সেলোনা পাঁচটা বল জড়ায়। এর মধ্যে মেসির তিনটের পাশাপাশি একটি গোল করেন আতোঁয়া গ্রিজম্যান এবং অন্যটি করেন লুইজ সুয়ারেজ।
এই হ্যাটট্রিকের পর লা-লিগায় মেসির হ্যাটট্রিকের সংখ্যা এখন ৩৫। মায়োরকার বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে লা লিগায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে যুগ্ম ভাবে সর্বোচ্চ (৩৪) হ্যাটট্রিকের মালিক ছিলেন তিনি। ফলে এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে রোনাল্ডোকে টপকে গেলেন মেসি।
ফুটবল
হায়দরাবাদের জয় ঠেকিয়ে ওড়িশার জন্য ১ পয়েন্ট নিয়ে এলেন আলেকজান্ডার
ম্যাচের হিরো হন কোল আলেকজান্ডার।

হায়দরাবাদ এফসি ১ (নার্জারি) ওড়িশা এফসি ১ (আলেকজান্ডার)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: আইএসএল-এর (ISL 2020-21) মঙ্গলবারের ম্যাচে লিগ টেবিলের একেবারে নীচে থাকা ওড়িশা এফসি জয় থেকে বঞ্চিত করল হায়দরাবাদ এফসিকে। ১৩ মিনিটে হ্যালিচরণ নার্জারির গোলে এগিয়ে থাকা হায়দরাবাদকে ড্র করতে বাধ্য করল ওড়িশা ৫১ মিনিটে কোল আলেকজান্ডারের গোলের মাধ্যমে।
শুরু থেকেই আক্রমণ শানায় হায়দরাবাদ। কিন্তু গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট নেয় ওড়িশা। বাঁ দিক থেকে নেওয়া মরিসিওর শটে তেমন জোর ছিল না। হায়দরাবাদের গোলকিপার কাট্টিমানির সেই বল ধরতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
হায়দরাবাদের গোল
১৩ মিনিটে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ। দৌড়ের যুদ্ধে ওড়িশার ডিফেন্ডারদের হারিয়ে কোলাসো বল পাস করেন হ্যালিচরণ নার্জারিকে। নার্জারি সেই বল ওড়িশার গোলে ঢোকাতে কোনো ভুল করেননি।
এর পর ওড়িশার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণ চালাতে থাকে হায়দরাবাদ। কিন্তু তারা ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। দুর্দান্ত কিছু সেভ করেন ওড়িশার গোলরক্ষক অর্শদীপ সিং।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কর্নার পায় ওড়িশা। কিন্তু কাট্টিমানি সহজেই সেই কর্নার কিক ধরে নিয়ে দলকে বাঁচিয়ে দেন। যদিও এর পর ওড়িশাকে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি।
ওড়িশার শোধ
৫১ মিনিটে হায়দরাবাদের ডিফেন্ডারদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে মরিসিও বল পাস করেন কোল আলেকজান্ডারকে। দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন আলেকজান্ডার। বলের গতিবিধি বুঝতেই পারেননি কাট্টিমানি। ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা।
এর পর দু’ পক্ষই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তা তারা কাজে লাগাতে পারেনি।
এ দিনের ড্রয়ের পরে ১২ ম্যাচ থেকে ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ এফসি (Hyderabad FC) লিগ টেবিলে থাকল চতুর্থ স্থানে। আর ওড়িশা একেবারে নীচেই থাকল। সমসংখ্যক খেলায় তাদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। ম্যাচের হিরো হন কোল আলেকজান্ডার।
আরও পড়ুন: সব হিসেব উলটে দিয়ে ব্রিসবেনে ঐতিহাসিক জয় ভারতের, বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতেও দখল
ফুটবল
দশ জনে খেলেও জেতা উচিত ছিল, এক পয়েন্টে খুশি নন রবি ফাউলার
সোমবার বাম্বোলিমের জিএমসি স্টেডিয়ামে চলতি আইএসএলে তাদের ১২ নম্বর ম্যাচে প্রায় এক ঘণ্টা দশ জনে খেলেও গতবারের রানার্স চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে ইস্টবেঙ্গল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বারবার জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাঁদের। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ ইস্টবেঙ্গলের কোচ রবি ফাউলার। সোমবার চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধেও তাঁদের জেতা উচিত ছিল বলে মনে করেন ফাউলার।
দশ জনে খেলে চেন্নাইয়িনকে আটকে রাখার পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে হতাশা প্রকাশ করে ফাউলার বলেন, “আমরা আজ জেতার মতোই খেলেছিলাম। ম্যাচটা আমরাই নিয়ন্ত্রণ করেছি। তা সত্ত্বেও তিন পয়েন্ট পেলাম না! আমি হতাশ। তবু আমরা ম্যাচটা হারিনি। দশ জনেও আজ আমরা ওদের চেয়ে ভালো খেলেছি।”
সোমবার বাম্বোলিমের জিএমসি স্টেডিয়ামে চলতি আইএসএলে তাদের ১২ নম্বর ম্যাচে প্রায় এক ঘণ্টা দশ জনে খেলেও গতবারের রানার্স চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে ইস্টবেঙ্গল।
৩১ মিনিটের মাথায় তরুণ মিডফিল্ডার অজয় ছেত্রী লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিপক্ষকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় লালহলুদ বাহিনী। এই নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচে অপরাজিত তারা। চলতি লিগে মুম্বই সিটি এফসি (১০) ছাড়া আর কোনো দল টানা এতগুলো ম্যাচে অপরাজিত থাকেনি।
কিন্তু একাধিক সহজ সুযোগ পেয়েও এ দিন তা কাজে লাগাতে পারেনি ফাউলার-বাহিনী। এই প্রশ্ন উঠলে কোচ কার্যত তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “প্রতি ম্যাচেই আমাকে আক্রমণ বা রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়। প্রতি ম্যাচেই আমি আমার দলের ছেলেদের হয়েই কথা বলি। আজও তাই বলব। আমি ওদের সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলতে পারব না”।
চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্যাচে যাঁর জোড়া গোলে ড্র করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল, সেই ম্যাটি স্টাইনমানকে এ দিন মাঠে নামাননি ফাউলার। এটা নাকি তাঁর কৌশল, জানিয়ে কোচ বলেন, “এটা আমাদের কৌশল। ম্যাটি প্রায় সব ম্যাচেই খেলেছে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও খেলেছিল। আমরা সব খেলোয়াড়ের ওপরই ভরসা করি। আজ যারা খেলেছে, তারা প্রত্যেকেই অসাধারণ খেলেছে”।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
প্রথম সেশন সামলে দিলেন গিল-পুজারা, ট্রফির স্বপ্ন জিইয়ে রাখল ভারত
ফুটবল
অনবদ্য দেবজিৎ, দশ জনে খেলেও চেন্নাইকে আটকে দিল ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল ০ চেন্নাইয়িন ০
খবরঅনলাইন ডেস্ক: ম্যাচের ৬৫ মিনিট দশ জনে খেলেও চেন্নাইয়িন এফসিকে আটকে দিল ইস্টবেঙ্গল। আর এই ম্যাচে একাধিক অনবদ্য সেভ করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার।
প্রথমার্ধেই দশ জনে হয়ে গেল লালহলুদ
গত কয়েকটা ম্যাচে তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্সের জোরে ইস্টবেঙ্গল শিবির এখন বেশ উজ্জীবিত। সোমবারও খেলার শুরুতে তারই প্রতিফলন দেখা গেল। কোনো দলই বিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙতে না পারলেও ইস্টবেঙ্গলকেই বেশি দাপুটে লাগছিল।
১৮তম মিনিটে একটি সুযোগ এসেছিল চেন্নাইয়িনের কাছে। বক্সের বাঁ দিক থেকে ছাংতেকে পাস দেন চেন্নাইয়ের ইসমা। ছাংতে শট নিলেও সেটা ইস্টবেঙ্গলের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৩তম মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে একটি ফ্রি-কিক পায় চেন্নাইয়িন। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা।
এ দিকে ম্যাচ যত এগোতে থাকে ততই যেন ছন্নছাড়া হতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। আর তার ওপরে লালহলুদ শিবির বিরাট বড়ো একটা ধাক্কা খায় ম্যাচের তিরিশতম মিনিটে। চেন্নাইয়িনের রহিম আলিকে ফাউল করার ফলে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ফেলেন ইস্টবেঙ্গলের অজয় ছেত্রী। অর্থাৎ লালকার্ড দেখতে হয় তাঁকে।
এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েক বার লাল কার্ড দেখতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের। এ দিনও ম্যাচের প্রথম দিকেই দশ জনে নেমে যাওয়ার দলটা ফের ধাক্কা খেল। বাকি একটা ঘণ্টা চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে লড়াই দেওয়াটাই তাদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বিরতির কয়েক মিনিট আগে প্রায় গোল হজম করেই ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইয়িনের থাপার বাড়ানো বল বাঁচাতে গোল থেকে বেরিয়ে আসেন দেবজিৎ মজুমদার। কিন্তু তিনি বল পড়তে পারেননি। লালহলুদ ডিফেন্ডার ড্যানি ফক্স বলটাকে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে কার্যত আত্মঘাতী গোলই করে ফেলছিলেন। শেষে নারায়ণ দাসের সৌজন্যে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ইস্টবেঙ্গল শিবির। বিরতিতে গোলশূন্যই ছিল ম্যাচ।
দ্বিতীয়ার্ধেও খাতা খুলল না কেউ
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে মোক্ষম একটি সুযোগ চলে এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। সুরচন্দ্রর দেওয়া পাস থেকে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল থেকে শট নেন পিলকিংটন। কিন্তু সেটা চেন্নাইয়িন গোলের সাইডে লেগে বেরিয়ে যায়। এর ঠিক তিন মিনিটের মাথায় দেবজিতের আরও এক অনবদ্য সেভ ইস্টবেঙ্গলের গোল হজম করা থেকে বাঁচিয়ে দেয়। গোলের উদ্দেশ্যে শট নিয়েছিলেন ইসমা।
৬২তম মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসে যায় লালহলুদের কাছে। স্কট নেভিলের নেওয়া ফ্রি-কিক থেকে বাড়ানো বলটি গ্রহণ করে গোলের উদ্দেশে শট নিয়েছিলেন পিলকিংটন। কিন্তু চেন্নাইয়িনের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ সেটা বাঁচিয়ে দেন।
৭০তম মিনিটে চেন্নাইয়িনের রহিম আলি নেওয়া শট ফের অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন দেবজিৎ। এর ঠিক দু’ মিনিটের মাথায় গোলের উদ্দেশে শট নেন পিলকিংটন। কিন্তু বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায় সেটা। ম্যাচ যত শেষে দিকে গড়াতে থাকে ততই দু’ পক্ষ নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করে। তবে লালহলুদের কাছে লড়াইটা অনেক কঠিন ছিল, কারণ শেষ মুহূর্তে গোল হজম করা আটকাতে হত তাদের।
এ দিকে ৮৪তম মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসেছিল চেন্নাইয়িনের কাছে। এবং এ বারও দেবজিতের দক্ষ হাত সেটা বাঁচিয়ে দেয়। চার মিনিট পর পিলকংটন আরও একটা শট নিলেই সেটা গোলের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এ ভাবেই গোলশূন্য হিসেবেই শেষ হয় ম্যাচ। তবে দশ জনে খেলেও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট নিয়ে আসার পর রবি ফাউলারের ছেলেরা যে বাড়তি উজ্জীবিত হবেন তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
‘অধিনায়ক’ নন, বিরাট কোহলি এখন ‘গর্বিত স্বামী ও বাবা’
-
রাজ্য1 day ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
দেশ2 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
রাজ্য2 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
ফুটবল2 days ago
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান