ফুটবল
বিরক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে সমর্থকের নাক ভেঙে দিলেন ফুটবলার

ওয়েবডেস্ক: ফুটবল ম্যাচে দলের পারফরমেন্স, ব্যক্তিগত পারফরমেন্স কিংবা গোল হজম করে ফুটবলারদের বিরক্তি প্রকাশ নতুন কিছু নয়। ফের তেমনই এক ঘটনা ঘটল। নিজের দল শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার ফলে বিরক্তি প্রকাশ করলেন ফুটবলার। তবে সেখানেই শেষ নয়, বিরক্তি প্রকাশের সময় লাথি মেরে দর্শকাসনে বল পাঠান তিনি। যার জেরে এক সমর্থকদের নাক যায় ভেঙে। যা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে।
ঘটনাটি আমেরিকার মেজর লিগ সকারের। মুখোমুখি হয়েছিল ক্যানসাস সিটি উইজার্ড এবং নিউইয়র্ক রেডবুলস। আর এমন কাণ্ড করলেন রেড বুলের ফুটবলার কাকু।
এমন কাণ্ডের পর তৎক্ষনাৎ তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন রেফারি রবার্ট সিবিগা। তবে মাঠ থেকে বেরোনোর সময় হাত তুলে ক্ষমা চেয়ে নেন কাকু। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সমর্থককে।
ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন কাকু।

ওড়িশা ৬ ইস্টবেঙ্গল ৫
খবরঅনলাইন ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গলের কাছে লজ্জার একটা টুর্নামেন্ট শেষ হল চরম লজ্জা দিয়েই। লিগের লাস্ট বয় ওড়িশাকে পাঁচ গোল দিয়েও ছ’টি গোল খেয়ে গেল তারা। জঘনয় রক্ষনের একাধিক ভুলের খেসারত দিতে হল তাদের। তবে এই ম্যাচে অনন্য একটি রেকর্ডও হয়েছে। আইএসএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি গোল হল এই ম্যাচে – ১১।
গত নর্থ-ইস্ট ম্যাচ থেকে শনিবার দলে ৯টি বদল আনেন রবি ফাওলার! সেই ম্যাচ থেকে এই দলে জায়গা পান মাত্র ২ জন।
২৪ মিনিটে পিলকিংটনের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তবে কিছুক্ষণ পরেই ৩৩ মিনিটে সমতা ফেরান লালরেজুয়ালা। যদিও ৩৭ মিনিটে ফের ম্যাচে ফিরে আসে লাল-হলুদ। এ বার আত্মঘাতী গোল করে ব্রাইটদের এগিয়ে দেন বিপক্ষের গোল রক্ষক রবি কুমার। ফলে প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ।
তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ রক্ষণের দুর্বলতা ও সুব্রত পালের জঘন্য গোল কিপিং বারবার চোখে পড়ে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক গোল করতে থাকে ওডিশা। ডাগআউটে তখন অসহায় ভাবে নিজের দলের করুণ পরিণতি দেখছিলেন দেবজিৎ ঘোষ। ৪৯ মিনিটে লাল-হলুদের জঘন্য রক্ষণের ভুলে ফের সমতা ফেরাল ওডিশা। গোল করলেন পউল। স্কোর লাইন ২-২। ৫১ মিনিটে আবার গোল করল ওডিশা। তৃতীয় গোল করে এ বার দলকে এগিয়ে দিলেন জেরি।
কিন্তু বিরতির পর থেকেই ম্যাচের মোড় পুরোপুরি ঘুরে যায়। ৪৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরান পল রামফাংজাউভা। এর ঠিক দুই মিনিটের মধ্যেই ওড়িশাকে এগিয়ে দেন জেওরি।
৩-২-এ পিছিয়ে পড়া ইস্টবেঙ্গলের সমতা ফেরে ৬০ মিনিটে। এ বার অ্যারণ আমাদি দলের হয়ে ৩-৩ করেন। এতে অবশ্য দমে না গিয়ে ৬৬ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করে ওড়িশা। ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করলেন রামফাংজাউভা। স্কোর লাইন তখন ৪-৩। সেই গোলের উল্লাস মিটতে না মিটতেই ফের এগিয়ে গেল ওডিশা। ৬৭ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জেরি। আর ৬৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করলেন ব্রাজিলিয়ান দিয়েগো মরিসিও। সেই সময় ওডিশা ৬-৩ গোলে এগিয়ে।
তবে রক্ষণ ও সুব্রত পালের ভুলে একাধিক ভুলের পরেও লড়াই করে যাচ্ছিলেন অ্যারণ, পিলকিংটন, জেজেরা। ৭৪ মিনিটে রানা ঘরামির পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে গোল করলেন ‘মিজো স্নাইপার’ জেজে।
যদিও তখনও ৬-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ। এরপর ৯৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন অ্যারণ। লালহলুদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওডিশার কাছে ৫-৬ ব্যবধানে হারতে হল।
জোড়া ডার্বি হার তো ছিলই। এর সঙ্গে যোগ হল এই লজ্জাজনক বিপর্যয়। লালহলুদের রক্ষণকে নিয়ে ছেলেখেলা করল ওডিশার স্ট্রাইকাররা। তাই তো আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার ১১টি গোলের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। যেখানে লালহলুদ হজম করল ৬ গোল!
ফুটবল
কেরলকে হারিয়ে শেষ চারে নর্থইস্ট, শনিবার লড়াই গোয়া ও হায়দরাবাদের মধ্যে
শেষ চারে যাওয়ার জন্য শনিবার হায়দরাবাদকে জিততেই হবে। আর গোয়ার পক্ষে ড্র-ই যথেষ্ট।

নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি ২ (বড়াক্কেপীডিকা, লালেংমাউইয়া) কেরল ব্লাস্টার্স ০
খবর অনলাইন ডেস্ক: এ বারের আইএসএল-এ (ISL 2020-21) তৃতীয় দল হিসাবে শেষ চারে গেল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি (NorthEast United FC)। শুক্রবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে আয়োজিত ম্যাচে তারা ২-০ গোলে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারাল (Kerala Blasters)।
শেষ চারে আগে থেকেই জায়গা নির্দিষ্ট করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান এবং মুম্বই সিটি এফসি। আরও দুটি জায়গার জন্য গত কয়েক দিন ধরেই লড়াই চলছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড, এফসি গোয়া এবং হায়দরাবাদ এফসির মধ্যে। এদের মধ্যে নর্থইস্ট ২০ ম্যাচ থেকে ৩৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তৃতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে গেল।
শেষ চারের শেষ জায়গাটার জন্য লড়াই হবে এফসি গোয়া এবং হায়দয়াবাদ এফসির মধ্যে। শেষ চারে যাওয়ার জন্য শনিবার ফাতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই খেলায় হায়দরাবাদকে জিততেই হবে। আর গোয়ার পক্ষে ড্র-ই যথেষ্ট। আইএসএল-এ এখনও পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ থেকে ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে গোয়া এবং সমসংখ্যক খেলায় হায়দরাবাদের পয়েন্ট ২৮।
প্রথমার্ধেই দুই গোল
শুক্রবার নর্থইস্টের পক্ষে ২টি গোল প্রথমার্ধেই আসে। ৩৪ মিনিটে গোল করেন বড়াক্কেপীডিকা এবং ৪৫ মিনিটে লালেংমাউইয়া।
প্রথমার্ধে নর্থইস্ট তুলনায় ভালো খেলেছিল, যদিও কেরল গোল করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু নর্থইস্টের মজবুত ডিফেন্সকে ভাঙতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে খসা কামারা বল নিয়ে কেরলের সীমানায় ঢুকে পড়ে। বল পেয়ে যান সুহের বড়াক্কেপীডিকা। তিনি সন্দীপ সিংকে কাটিয়ে এগিয়ে আসা গোলকিপার অ্যালবিনো গোমসকে বোকা বানিয়ে বল কেরলের জালে ঠেলে দেন।
৪৫ মিনিটে দূর থেকে নেওয়া লালেংমাউইয়ার দুর্দান্ত শটে পরাস্ত হন অ্যালবিনো। একটা চোখ ধাঁধানো গোল করেন লালেংমাউইয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’ পক্ষই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কেউই কাজে লাগাতে পারেনি।
নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কোচ খালিদ জামিলও ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। দ্বাদশ ম্যাচ থেকে দায়িত্ব পেয়ে টানা অপরাজিত রাখলেন নিজের দলকে এবং প্রথম ভারতীয় কোচ হিসাবে সেমিফাইনালে তুলে দিলেন।
২০ ম্যাচ থেকে ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে কেরল ব্লাস্টার্স লিগ টেবিলে দশম স্থান দখল করে এ বারের মতো আইএসএল অভিযান শেষ করল।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম হিসাবে ৪০০ উইকেট দখলের কৃতিত্ব রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
ফুটবল
প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরুকে ৩ গোল দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল হজম করল জামশেদপুর
প্রথমার্ধে জামশেদপুরের দাপট, দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরুর।

জামশেদপুর এফসি ৩ (এজে, ডাউঙ্গেল, গ্র্যান্ডে) বেঙ্গালুরু এফসি ২ (গঞ্জালেজ, সুনীল ছেত্রী)
খবর অনলাইন ডেস্ক: আগের মরশুমে শেষ চারে যাওয়া বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC) সপ্তম স্থানে থেকে এ বারের আইএসএল (ISL 2020-21) শেষ করল। বৃহস্পতিবার সুনীল ছেত্রীদের দল জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) কাছে ২-৩ গোলে হেরে গেল।
বৃহস্পতিবার তিলক ময়দানে আয়োজিত জামশেদপুর বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচের এমনিতে কোনো গুরুত্ব ছিল না। কোন দল লিগ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থাকে্, সেটাই ছিল দেখার। এ দিন বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে সেই স্থানটা দখল করল জামশেদপুর। ২০ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২৭ পয়েন্ট। সমসংখ্যক খেলায় ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করল বেঙ্গালুরু।
এ দিনের খেলা পরিষ্কার দুটি অর্ধে দু’ রকম হল। প্রথমার্ধে জামশেদপুরের দাপট, দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরুর। প্রথমার্ধেই ৩ গোল করে এগিয়ে যায় জামশেদপুর। আইএসএল-এ আগে কোনো খেলায় জামশেদপুর প্রথমার্ধে এত গোল করে এগোয়নি।
জামশেদপুরের আক্রমণ রুখতে হিমশিম খেয়ে যায় বেঙ্গালুরুর ডিফেন্স। ওড়িশা ছাড়া আর কোনো দল প্রথমার্ধেই এত গোল খেয়ে বসেনি। ম্যাচের ১৬, ৩৪ ও ৪১ মিনিটে জামশেদপুরের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে স্টিফেন এজে, সাইমিনলেন ডাউঙ্গেল এবং ডেভিড গ্র্যান্ডে।
দ্বিতীয়ার্ধে পালটে গেল ছবিটা। বেঙ্গালুরুর আক্রমণ সামাল দিতে আপ্রাণ করতে হল জামশেদপুরকে। ভাগ্য ভালো যে তারা জয়টা কোনো রকমে ধরে রাখতে পারল। বেঙ্গালুরুর হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করলেন ফ্রান্সিসকো গঞ্জালেজ (৬২ মিনিট) এবং সুনীল ছেত্রী (৭১ মিনিট)।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম হিসাবে ৪০০ উইকেট দখলের কৃতিত্ব রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা3 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ2 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন