মহমেডান এসসি: ১ (আলেক্সিস গোমেজ) এফসি গোয়া: ১ (আরমান্দো সাদিকু)
কলকাতা: দুর্ভাগ্য মহমেডান স্পোর্টিং। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়েরও শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরাল এফসি গোয়া। ফলে এখনও পর্যন্ত এবারের আইএসএল-এ জয় অধরাই থেকে গেল নবাগত দল মহমেডান স্পোর্টিং-এর। প্রথম খেলায় তারা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হেরে গিয়েছিল ১-০ গোলে। শনিবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত রাখল তারা। ফলে দুটি ম্যাচ থেকে মহমেডানের ঝুলিতে এল ১ পয়েন্ট।
শনিবার কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত মহমেডান স্পোর্টিং বনাম এফসি গোয়া ম্যাচ প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে আলেক্সিস গোমেজের গোলে এগিয়ে যায় মহমেডান। ম্যাচে সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে এফসি গোয়া। এবং ফলও পেয়ে যায়। মহমেডান সমর্থকরা যখন তাদের দলের জয় সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত তখন গোল করে বসেন গোয়ার আরমান্দো সাদিকু। ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে।
দাপট ছিল মহমেডানের
তবে সত্যি কথা বলতে কি এবারের আইএসএল-এ মহমেডানের খেলা কিন্তু খুব একটা খারাপ হচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে নর্থইস্টের কাছে অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল। আর শনিবার তো রীতিমতো আধিপত্য নিয়ে খেলল মহমেডান। ম্যাচের স্কোরশিট কিন্তু আসল চিত্র তুলে ধরছে না। গোটা ম্যাচে মহমেডান যে দাপুটে ফুটবল খেলেছে তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। গোল করার যেসব সুযোগ মহমেডান হাতে পেয়েছিল সেসব ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে এই ম্যাচে অনায়াসে জেতা উচিত ছিল মহমেডানের। কিন্তু তা হল না। শেষ মুহূর্তের সুযোগে গোল শোধ করে ফেলল গোয়া।
প্রথমার্ধে গোল করার বারবার সুযোগ পেয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং – কখনও মাকান ছোটে, কখনও বা ফ্রাঙ্কা আবার কখনও আলেক্সিস গোমেজ। শেষ মুহূর্তে নিজের দলকে বাঁচিয়ে দিচ্ছিলেন গোয়ার গোলকিপার লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমানি। মহমেডানকে কী করে আটকাবে তার থই পাচ্ছিল না গোয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোল হয়নি।
গোয়ার রক্ষণভাগে মহমেডানের হানা। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
মহমেডানের গোল পেনাল্টি থেকে
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। গোয়ার রক্ষণভাগে বারবার ঝাঁপিয়ে পড়ছিল মহমেডান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্রাঙ্কার শট নিজেরই দলের অমরজিত কিয়ামের পায়ে লেগে গোয়ার গোলে প্রায় ঢুকে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বাঁচিয়ে দেন কাট্টিমানি। একটু পরেই আলেক্সিসের শট গোয়ার বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
অবশেষে ম্যাচের ৬৬ মিনিটে গোল পেয়ে যায় মহমেডান। নিজেদের বক্সে ফ্রাঙ্কাকে পিছন থেকে এসে ফেলে দেন গোয়ার ডিফেন্ডার ওদেই ওনান্দিয়া। রেফারি পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি শট আটকানোর জন্য কাট্টিমানি উলটো দিকে ঝাঁপান। তারই ফাঁকে স্বচ্ছন্দে গোল করেন আলেক্সিস গোমেজ।
একটা সুযোগেই গোল গোয়ার
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ম্যাচ গড়িয়ে গেল অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হতে আর হয়তো মিনিটদুয়েক আগে। দলের সমর্থকরা তখন আনন্দে নাচতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে বদলে গেল ছবি। গোল খেয়ে গেল মহমেডান।
বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা বলে সজোরে হেড করলেন মোহনবাগান থেকে বাতিল হয়ে যাওয়া ফুটবলার আরমান্দো সাদিকু। সাদিকুর শট মহমেডানের গোলকিপার পদম ছেত্রীকে পরাস্ত করে জড়িয়ে গেল জালে। একটা সুযোগেই গোল পেয়ে গেল গোয়া। জেতা হল না মহমেডানের।
আরও পড়ুন
ভারত-বাংলাদেশ ১ম টেস্ট: তৃতীয় দিনে শুবমন ও ঋষভের সেঞ্চুরি, অশ্বিন এবার খেলা দেখাচ্ছেন বোলিং-এ