জামশেদপুর ২ (সিভেরিয়ো, জ়াভি)
মোহনবাগান ১ (কামিংস)
জামশেদপুরে গিয়ে সেমিফাইনালের প্রথম পর্বেই হারের মুখে পড়ল মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার আইএসএলের লিগ-শিল্ডজয়ীরা ১-২ গোলে জামশেদপুরের কাছে পরাজিত হয়। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করে সবুজ-মেরুন শিবির। জেসন কামিংসের দুরন্ত ফ্রিকিকেও হার রোখা যায়নি।
প্রথমার্ধে ব্যর্থ মোহনবাগান
মনবীর সিংহ ও আপুইয়াকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের অনুপস্থিতি দলের খেলায় প্রভাব ফেলে। রিজ়ার্ভ বেঞ্চে থাকা দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং জেমি ম্যাকলারেনের অভাব বার বার অনুভূত হয়। প্রথমার্ধে মাঝমাঠে খেলার নিয়ন্ত্রণে স্পষ্টভাবে ঘাটতি দেখা যায়।
খেলার শুরুতেই পেনাল্টি পেতে পারত জামশেদপুর। আশিস রাইয়ের হাতে বল লাগলেও রেফারি কর্নার দেন, যা সহজেই ক্লিয়ার করে মোহনবাগান। তবে খেলা যত এগোতে থাকে, জামশেদপুরের আক্রমণ আরও তীব্র হতে থাকে।
দুর্দান্ত কামিংসের গোলেও হার এড়ানো গেল না
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে স্টুয়ার্টের ফ্রিকিক থেকে আলবের্তো রদ্রিগেসের হেড বার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে তিন মিনিটের মধ্যে কামিংস এক অসাধারণ ফ্রিকিকে গোল করে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রিকিকের বল গোলরক্ষকের পক্ষে রুখে দেওয়া অসম্ভব ছিল।
শেষ মুহূর্তে ভিলেন ঋত্বিক
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরার চেষ্টা করলেও মোহনবাগানকে আরও একবার হতাশ হতে হয়। আসানসোলের ছেলে ঋত্বিক দাস বদলি হিসেবে নেমে জামশেদপুরের আক্রমণকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। বাঁ দিক থেকে ঋত্বিকের দুর্দান্ত ক্রস চলন্ত অবস্থায় জাভি হের্নান্দেস পা লাগিয়ে গোল করে জামশেদপুরকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন।
ক্লান্ত মোহনবাগান, সুযোগ কাজে লাগায় জামশেদপুর
ম্যাকলারেন ও পেত্রাতোসকে নামিয়েও মোহনবাগান আক্রমণে ধার বাড়াতে পারেনি। মাঝমাঠে অনিয়ন্ত্রিত খেলার কারণে বার বার আক্রমণ নস্যাৎ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত জামশেদপুরের রক্ষণে আটকে পড়ে সবুজ-মেরুন।
সমালোচনা কোচের পরিকল্পনা নিয়ে
কামিংসের অসাধারণ ফ্রিকিক সত্ত্বেও কেন হোসে মোলিনা বেঞ্চে রেখেছিলেন পেত্রাতোস ও ম্যাকলারেনকে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মনবীরের জায়গায় খেলানো সাহাল সামাদও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
ফেরার আশা দ্বিতীয় লেগে
মোহনবাগানের সামনে এখন সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে ঘুরে দাঁড়ানোর বড় চ্যালেঞ্জ। জামশেদপুরের মাটিতে হেরে গেলেও ঘরের মাঠে জয়ের আশা করছে সবুজ-মেরুন।