মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ১ (লিস্টন কোলাসো) বেঙ্গালুরু এফসি: ০
কলকাতা: পর পর দুটো ম্যাচে ড্র করে টানা দুটি ম্যাচ জিতল মোহনবাগান। সোমবার ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে তাদের মাঠে তাদের কাছে হারের বদলা নিল সবুজ-মেরুন বাহিনী।
সোমবার কলকাতার সল্ট লেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে ৭৪ মিনিটের মাথায় লিস্টন কোলাসোর পা থেকে এল গোল। এ দিনের জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচ থেকে ৪০ পয়েন্ট ঘরে তুলে মোহনবাগান থাকল লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানে। সমসংখ্যক খেলায় ২৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু থাকল তৃতীয় স্থানে।
এ দিন খেলা দেখাল মোহনবাগানে রক্ষণভাগ। সারা ম্যাচে মোহনবাগান যেখানে ছ’টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল, সেখানে বেঙ্গালুরু এফসি ন’টি সুযোগ তৈরি করেছিল। দুটি দলই পাঁচটি করে শট নিয়েছিল প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু সাফল্য এল একবারই, লিস্টন কোলাসোর পা থেকে। জয় পেল মোহনবাগান।
সুনীল ছেত্রী, আলবার্তো নগুয়েরা, এডগার মেনডেজ, রায়ান উইলিয়ামসরা বহু চেষ্টা করেও টম অলড্রেড, আলবার্তো রড্রিগেজ, দীপেন্দু বিশ্বাস, শুভাশিস বোসদের তৈরি দুর্ভেদ্য রক্ষণে চিড় ধরাতে পারল না। এই ম্যাচে গোল করে আইএসএলে কুড়িতম ও চলতি মরশুমের তৃতীয় গোল করলেন কোলাসো।

ম্যাচের একটি মুহূর্ত।
প্রথমার্ধের সুযোগ নষ্ট দু’ দলেরই
এ দিনের ম্যাচে গোল করার প্রথম সুযোগ পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। ম্যাচের ২৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে নগুয়েরা দুর্দান্ত পাস দেন উইলিয়ামসকে। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে যে জোরালো শট নেন তা সহজেই আটকে দেন বিশাল কায়েথ। মিনিট সাতেক পরে সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করার সুযোগ পান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। কিন্তু শট নেওয়ার আগেই তিনি বলে হাত লাগিয়ে ফেলেন।
তবে ম্যাচের সেরা সুযোগটি পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। প্রথমার্ধের শেষ দিকে তিনি ও নগুয়েরা বল দেওয়া-নেওয়া করতে করতে মোহনবাগানের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে চলে আসেন তাদের গোলের সামনে। কিন্তু সেখান থেকে সুনীল যে শট নেন তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

মোহনবাগানের আক্রমণ।
দ্বিতীয়ার্ধে এল জয়সূচক গোল
প্রথমার্ধে মোহনবাগান তুলনায় কিছুটা গুটিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। তারা বার বার আক্রমণ চালাতে থাকে বেঙ্গালুরুর এলাকায়। তবে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে বেঙ্গালুরুর একটি গোলের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন বিশাল।
শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে। মোহনবাগানের গ্রেগ স্টুয়ার্টের ক্রস ক্লিয়ার করেন বেঙ্গালুরুর রাহুল ভেকে। কিন্তু বল চলে আসে বেঙ্গালুরুর বক্সের মাথায় থাকা লিস্টন কোলাসোর কাছে। তাঁর দুর্দান্ত ভলি প্রতিপক্ষের গোলের বাঁ দিকের উপরের কোণ দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
শেষ দিকে ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য বেঙ্গালুরু মরিয়া হয়ে ওঠে। রাহুল ভেকের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সুনীল ছেত্রীরা আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু শুভাশিসদের রক্ষণে বিন্দুমাত্র ফাটল ধরাতে পারেনি। এ বারের লিগে দ্বাদশ জয় হাসিল করে লিগশিল্ড জয়ের লক্ষ্যে আরও এক কদম এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
ছবি: সঞ্জয় হাজরা