মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ৩ (স্টেফান স্যাপিচ আত্মঘাতী, টম অলড্রেড, জেসন কামিংস) হায়দরাবাদ এফসি: ০
কলকাতা: ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিক করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সল্ট লেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ৭টি ম্যাচ খেলা হল মোহনবাগানের। তার মধ্যে প্রথম ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। তার পর থেকে ৬টি ম্যাচ জিতে নিল তারা। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতল তারা। আগামী ১১ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার কথা মোহনবাগানের। তার আগে বড়ো জয় পেল সবুজ-মেরুন বাহিনী।
এ বারের আইএসএল-এ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহনবাগানকে কোনো লড়াই-ই দিতে পারেনি হায়দরাবাদ। তাদের রক্ষণের দুর্বলতাকে দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়ে পর পর গোল তুলে নেয় সবুজ-মেরুন বাহিনী। মোটামুটি ম্যাচের অর্ধেক সময় যেতে না যেতেই বোঝা হয়ে গিয়েছিল এ দিনের ম্যাচে কে জিতবে। যতগুলো সুযোগ এ দিন খোসে মোলিনার দল তৈরি করেছিল, তা কাজে লাগাতে পারলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত বাগান-বাহিনী।
আর অবশ্যই প্রশংসা করতে হয় নিজামের শহরের গোলকিপার অর্শদীপ সিংয়ের। এ দিন তিনি অন্তত আধ ডজন অবধারিত গোল বাঁচিয়েছেন। তা না হলে মোহনবাগান আরও বড়ো ব্যবধানে জিতত।
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে বাগান
মোহনবাগানের গোলের খাতা খোলে ম্যাচের ৯ মিনিটে, হায়দরাবাদের আত্মঘাতী গোলে। লিস্টন কোলাসো প্রান্ত ধরে দৌড়ে এসে ক্রস বাড়িয়ে দেন সাহাল আব্দুল সামাদের উদ্দেশে। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে হায়দরাবাদের গোল লক্ষ্য করে দ্রুত শট নেন সাহাল। কিন্তু গোলরক্ষক অর্শদীপের গায় লাগে সেই বল। তার পর সেই বল হায়দরাবাদের ডিফেন্ডার স্টেফান স্যাপিচের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। আত্মঘাতী গোলে ১-০ ফলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
গোল করার পরে আনন্দ-উচ্ছ্বাস আলবার্তো রড্রিগুয়েজ, টম অলড্রেড এবং জেসন কামিংস-এর। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
হায়দরাবাদও মাঝে মাঝে পাল্টা আক্রমণে উঠে আসছিল। গোল করার সুযোগও তৈরি করে। মোহনবাগানের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রামলুনচুঙ্গার জোরালো শট দুর্দান্ত দক্ষতায় আটকে দেন বিশাল কায়েথ। ইতিমধ্যে মোহনবাগানও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে এবং তারই ফল হিসাবে ম্যাচের ৪১ মিনিটে এগিয়ে থাকার ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় তারা। বাঁ দিক থেকে লিস্টন কোলাসোর ক্রস দূরের পোস্টের সামনে পৌঁছোলে তাতে ডাইভ দিয়ে হেড করে গোলে পাঠান টম অলড্রেড। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এই গোল নিয়ে একটু জটিলতার সৃষ্টি হয়। গোল হওয়ার পর লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুলেছিলেন। রেফারি অবশ্য তার আগেই গোলের বাঁশি বাজিয়ে দেন। দু’ জনের কিছু কথার পর রেফারির সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।
তৃতীয় গোল কামিংসের
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে তৃতীয় তথা চূড়ান্ত গোল করে মোহনবাগান জয়ের পথ পরিষ্কার করে ফেলে। জেমি ম্যাকলারেন বল বাড়িয়েছিলেন জেসন কামিংসকে লক্ষ্য করে। হায়দরাবাদের বক্সের ঠিক মাথায় বল পেয়ে যান কামিংস। সময় নষ্ট না করে চলতি বলেই শট করেন প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে। অর্শদীপের পক্ষে সেই বল ধরা সম্ভব ছিল না। সবুজ-মেরুন এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে এবং সেই ফলই বহাল থাকে।
লিগ টেবিলে কে কোথায়
১৪ ম্যাচ থেকে ৩২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে মোহনবাগান এ বারের আইএসএল-এর টেবিলে শীর্ষ স্থান শক্ত করে ধরে থাকল। অন্য দিকে হায়দরাবাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হল না। তারা দ্বাদশ স্থানেই থাকল। ১৪ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট।