মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ১ (শুভাশিস বোস) জামশেদপুর এফসি: ১ (স্টিফেন এজে)
জামশেদপুর: প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েছিল আটটা, দ্বিতীয়ার্ধেও আটটা। কিন্তুন প্রায় সব সুযোগই হাতছাড়া হল। এল মাত্র ১টা গোল। সেই গোলে এগিয়ে থাকাও ধরে রাখতে পারল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে জামশেদপুর এফসির সঙ্গে ম্যাচ অমীমাংসিত রাখল তারা।
শুক্রবার ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন বাহিনী। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে ম্যাচে স্টিফেন এজের গোলে সমতা ফেরায় জামশেদপুর। এই ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ালেও মোহনবাগান লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানেই থাকল। ১৬ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৩৬ পয়েন্ট। আর সবুজ-মেরুনের সঙ্গে ড্র করে জামশেদপুর উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। ১৫ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ২৮ পয়েন্ট।
সারা ম্যাচে মোহনবাগান ১৬টি সুযোগ পেয়েছিল গোল করার। তার মধ্যে শট নিতে পেরেছিল ১৩টি ক্ষেত্রে। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু তা থেকে মাত্র একটি গোল করতে পারে তারা। প্রতিপক্ষকে মোহনবাগান পাঁচটির বেশি শট নিতে দেয়নি, যার মধ্যে একটি ছিল লক্ষ্যে এবং সেটি থেকেই গোল পেয়ে যায় ইস্পাতনগরীর দল।
ম্যাচের ২টি গোল
২৫ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোল পায় মোহনবাগান। ডান দিক থেকে নেওয়া কামিংসের কর্নার কিক পৌঁছে যায় দ্বিতীয় পোস্টের সামনে। সেই বল হেড করে টম অলড্রেড পৌঁছে দেন ছ’গজের বক্সে থাকা শুভাশিস বোসের কাছে। শুভাশিসের পায়ের টোকায় বল ঢুকে যায় জামশেদপুরের গোলে।
৬০ মিনিটের মাথায় গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার স্টিফেন এজে। সেন্টার লাইনের পিছনে বল পেয়ে দ্রুত দৌড়তে থাকেন এজে। একে একে আশিস, রড্রিগুয়েজ, আপুইয়াদের ফাঁকি দিয়ে সোজা ঢুকে পড়েন বক্সে। তার পর মোহনবাগানের গোলে শট। ১-১ গোলে ম্যাচ অমীমাংসিত থাকে।