মোহনবাগান: ২ (তিরি – আত্মঘাতী, আলবের্তো রদরিগুয়েজ)
মুম্বই সিটি এফসি: ২ (তিরি, থায়ের ক্রৌমা)
খবর অনলাইন ডেস্ক: সেই এক কাহিনি, যা ডুরান্ড কাপ থেকে হয়ে আসছে। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে ম্যাচ ড্র করে ফেলা। এবারেও তার অন্যথা হল না। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ৩টে পয়েন্ট হাতছাড়া করা। মুম্বই এফসির সঙ্গে জেতা ম্যাচ ড্র করে এবারের আইএসএল অভিযান শুরু করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মোহনবাগানের রক্ষণ নিয়ে চিন্তা থাকল কোচ হোসে মোলিনার।
শুক্রবার শুরু হল ২০২৪-২৫-এর আইএসএল। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। শেষ পর্যন্ত দলের সেন্টার ব্যাক সিরিয়ার থায়ের ক্রৌমার গোলে ১ পয়েন্ট ঘরে তুলে নিল মুম্বই।
প্রথমার্ধে মুম্বইয়ের রক্ষণের ভুলে দুটি গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে যথারীতি উল্টো চিত্র। এবার মোহনবাগানের রক্ষণের ভুল এবং সেই সুযোগে দুটি গোল শোধ মুম্বইয়ের তরফে। গতবারের আইএসএল প্লে অফ ফাইনালে যুবভারতীতে মুম্বইয়ের কাছে হারের প্রতিশোধ নেওয়া হল না মোহনবাগানের।
প্রথমার্ধে মোহনবাগান ২-০ গোলে এগিয়ে
খেলার শুরুতেই কিন্তু প্রায় এগিয়ে গিয়েছিল মুম্বই। অফসাইডের জন্য গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ৪ মিনিটেই গোল করে বসে মুম্বই। লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের পাস থেকে বল পান জন তোরাই। তোরাইয়ের শটে পা লাগান বিপিন সিং এবং বল মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে যায়। তবে লাইন্সম্যান পতাকা তুলে জানিয়ে দেন বিপিন অফসাইডে ছিলেন।
তবে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে মোহনবাগান আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ম্যাচের ৮ মিনিটেই ফল পেয়ে যায়। বাঁদিক থেকে দৌড়ে এসে মুম্বইয়ের বক্সে বল রাখেন লিস্টন কোলাসো। সেই বল মুম্বইয়ের ডিফেন্ডার তিরির গায়ে লেগে তাদের গোলে ঢুকে যায়। মুম্বইয়ের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
গোলের পরে আলবের্তো। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
কিছুক্ষণ পরে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই। বিপিন পাস দেন ছাংতেকে। ছাংতে বল বাড়িয়ে দেন ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা নিকোস কারেলিসকে। কিন্তু কারেলিসের শট মোহনবাগানের গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে এরপর থেকে ম্যাচের রাশ ক্রমশই চলে যায় মোহনবাগানের পায়ে। এবং সবুজ-মেরুন তার ফলও পেয়ে যায় ম্যাচের ২৯ মিনিটে। জেসন কামিংসের কাছ থেকে বল পান আশিস রাই। আশিসের নিখুঁত ক্রস চলে যায় গ্রেগ স্টুয়ার্টের কাছে। স্টুয়ার্টের হেড থেকে খুব সহজেই গোল করেন আলবের্তো রদরিগুয়েজ। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বইয়ের ২টি গোল শোধ
দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ার দিকে বলের উপর দখল ছিল মোহনবাগানেরই বেশি। এরই মধ্যে মুম্বইও মাঝেমাঝেই আক্রমণে উঠে আসে এবং ম্যাচের ৭০ মিনিটে একটি গোল শোধ করে তারা। কর্নার পেয়ে গেছিল মুম্বই। কর্নার শট চলে আসে নৌফলের কাছে। কিন্তু নৌফলের সঙ্গে সঙ্গে তিরিও হেড করতে লাফান। তাতে কাজ না হলে বল মাটিতে পড়তেই চকিতে শট মেরে গোল করেন তিরি।
এরপর রীতিমতো উৎসাহিত হয়ে ম্যাচে সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে মুম্বই। এর মধ্যেই কোচ হোসে তুলে নেন জেসন কামিংস ও লিস্টন কোলাসকে। দুর্বল রক্ষণের পাশাপাশি মোহনবাগানের আক্রমণ ভাগও ভোঁতা হয়ে যায়। সেই সুযোগে ম্যাচের ৯০ মিনিটে ম্যাচ ২-২ করে ফেলে মুম্বই। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান নৌফাল। তিনি নিখুঁত পাস বাড়ান ক্রৌমার উদ্দেশে। চলতি বলেই নিচু শটে গোল করে মুম্বইকে ১ পয়েন্ট পাইয়ে দেন ক্রৌমা।
আরও পড়ুন
আইএসএল: এবারে রয়েছে মহমেডান স্পোর্টিংও, প্রতিযোগিতা শুরু শুক্রবার