মরক্কো ১ (এন-নেসিরি) পর্তুগাল ০
কাতার: এ বারের বিশ্বকাপে অঘটন ঘটেই চলেছে। শনিবার শুধু অঘটনই ঘটল না, ইতিহাসও সৃষ্টি হল। সেই ইতিহাস সৃষ্টি করল মরক্কো। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে এই প্রথম আফ্রিকার কোনো দেশ সেমিফাইনালে গেল। শনিবার আল থুমামা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে মরক্কো ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল। সেমিফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে ফ্রান্স বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে ইউসেফ এন নেসিরির হেড মরক্কোর সৌভাগ্য এনে দিল। পর্তুগালের সমস্ত ডিফেন্ডারকে ছাপিয়ে নেসিরি যে হেড নিলেন, তার ক্ষমতা আঁচ করতে পারেননি গোলকিপার দিয়োগো কোস্তা। বল ধরতে গিয়ে তিনি নিজের দলের ডিফেন্ডারকে ধাক্কা মেরে দেন। এই ফাঁকে তাঁকে টপকে বল পর্তুগালের জালে জড়িয়ে যায়। এর পর জেতা তো দূরের কথা, শত চেষ্টা করেও ম্যাচে সমতা আনতে পারল না পর্তুগাল। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল তারা।
এ দিনও ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে রিজার্ভ বেঞ্চিতে রেখেই খেলা শুরু করে পর্তুগাল। কিন্তু প্রথমার্ধেই ০-১ গোলে পিছিয়ে গিয়ে রোনাল্ডোকে নামায় তারা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। জয়ের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞকে মরক্কোকে টলানো যায়নি।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দু’ বার হলুদ কার্ড দেখার জন্য মরক্কোর ওয়ালিদ চেদিরাকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। ম্যাচের শেষ ৫ মিনিট মরক্কোকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়। তবু এই অবস্থার ফায়দা তুলতে পারল না পর্তুগাল।
সেমিফাইনালের পথ
এ বারের বিশ্বকাপ স্মরণীয় হয়ে থাকল মরক্কোর কাছে। সেমিফাইনালে আসার পথে ফুটবলের বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ২২ নম্বর স্থানে থাকা মরক্কো হারাল দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেলজিয়াম, সপ্তম স্থানে থাকা স্পেন এবং নবম স্থানে থাকা পর্তুগালকে। ফুটবল-ভক্তদের আরও কিছু বিস্ময় দেখার আছে কি না সেটা অদূর ভবিষ্যৎই বলবে।
গ্রুপ ‘এফ’-এ ছিল মরক্কো। ক্রোয়েশিয়া, বেলজিয়াম ও কানাডার সঙ্গে। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মরক্কো। দ্বিতীয় খেলায় বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারায়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কানাডাকে হারায় ২-১ গোলে। ফলে গ্রুপ স্টেজে কোনো ম্যাচ না হেরে ‘রাউন্ড অফ ১৬’-য় পৌঁছে যায় মরক্কো।
‘রাউন্ড অফ ১৬’-তে মরক্কো ২০১০-এর চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-০ গোলে হারায়। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে মরক্কো পৌঁছে গেল সেমিফাইনালে।
আরও পড়ুন