নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি ০ চেন্নাইয়িন এফসি ০
বেঙ্গালুরু এফসি ৪ (সিলভা, ওপসেথ, দেলগাডো, ছেত্রী) কেরল ব্লাস্টার্স ২ (রাহুল, মুরে)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: এত একঘেয়ে নীরস ফুটবল ম্যাচ আইএসএল-এর এ বারের মরশুমে (ISL 2020-21) আগে দেখা গিয়েছে বলে তো মনে হয় না। রবিবার প্রথম ম্যাচটি ছিল মর্মুগাওয়ের তিলক ময়দানে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি (NorthEast United FC) আর চেন্নাইয়িন এফসি-র (Chennaiyin FC) মধ্যে। খেলা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। নর্থইস্ট এখনও পর্যন্ত অপরাজেয় রয়েছে।
এ দিন ফাতোরদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। একটা ম্যাচে আধ ডজন গোল। এই ঘটনা কত বার ঘটে! বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC) ও কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) খেলায় আরও গোল হতে পারত। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু ৪-২ গোলে জেতে।
গোলের সুযোগ নষ্ট
নর্থইস্ট বনাম চেন্নাইয়ের খেলায় এ দিন কোনো সৃজনশীলতা ছিল না। যদিও দু’ পক্ষই গোলের সুযোগ নষ্ট করে। তবুও তারই মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে নর্থইস্টের সিলা আর চেন্নাইয়ের ছাংতে যে সুযোগ পেয়েছিলেন তা থেকে গোল হওয়া উচিত ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল নর্থইস্টের কাছে। বাঁ দিক থেকে সুহের সুন্দর একটা স্কোয়ার পাস করে চেন্নাইয়ের বক্সে থাকা সিলাকে। সিলার শট রুখে দেন চেন্নাইয়ের গোলরক্ষক বিশাল কেথ।
৫ মিনিট পরেই চেন্নাইয়ের সুযোগ। সিলভেসট্রর শট নর্থইস্টের গুরমিত আটকে দেন। কিন্তু বল চলে আসে অরক্ষিত ছাংতের কাছে। বারের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিয়ে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ছাংতে।
৬টা ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নর্থইস্ট লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল। ও দিকে ৫টা ম্যাচ খেলে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। তারা রয়েছে অষ্টম স্থানে।
প্রথম গোল কেরলের
২-৪ গোলে বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে গেলেও প্রথম গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল কিন্তু কেরলই। ম্যাচের ১৭ মিনিটে চমকপ্রদ কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে তারা। বেঙ্গালুরুর ফ্রি কিক ধরে ফেলেন গ্যারি হুপার। বল নিয়ে ছুটতে থাকেন। দু’ পাশেই ছিলেন সতীর্থরা। ঠিক সময়ে ডান দিকে থাকা রাহুলকে বল ঠেলে দেন হুপার। কোনাকুনি শটে বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক গুরপ্রীতকে ধোঁকা দিতে ভুল করেননি রাহুল।
কিন্তু ২৯ মিনিটেই সমতা আনেন ক্লাইটন সিলভা। গুরপ্রীতের গোলকিক লাফিয়ে উঠে হেড দিয়ে নিজেদেরই গোলের দিকে পাঠিয়ে দিন কেরলের নিশু কুমার। বল পেয়ে যান সিলভা। কেরলের জালে বল জড়িয়ে দিতে তাঁর অসুবিধা হয়নি।
প্রথমার্ধে খেলা ১-১ অমীমাংসিত থাকে। ৫১ মিনিটে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ান ওপসেথ। সিলভার একটা নিচু ক্রস থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নেন ওপসেথ। বল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি।
২ মিনিট পরে কেরলের ডিফেন্ডার লালরুয়াথারার ভুলে বেঙ্গালুরু এগিয়ে যায়। ফল ৩-১। বল পেয়ে যান সিলভা। সিলভা দেন ওপসেথকে। ওপসেথ দেন দেলগাডোকে। দেলগাডোর শট কেরলের গোলকিপার অ্যালবিনো গোমস ধরতে ব্যর্থ হন।
ব্যবধান কমাল কেরল
৬১ মিনিটে খেলা জমে যায়। ব্যবধানকে ৩-২-এ নামিয়ে আনে কেরল। ফ্রিকিক থেকে বেঙ্গালুরুর গোলে ক্রস পাঠান পেরেরা। তাতে হেড করেন ভিনসেন্ট গোমেজ। তার পর সেই বলে শেষ মুহূর্তের টাচ দিতে ভুল করেননি জর্ডন মুরে। বেঙ্গালুরুর গোলে বল ঢুকে যায়।
কিন্তু ৬৫ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর গোল বেঙ্গালুরুর জন্য জয় এনে দেয় ৪-২ ব্যবধানে। এর পর দু’ পক্ষই সুযোগ পায়। কিন্তু আর গোল হয়নি।
এই জয়ের ফলে লিগের আরও এক অপরাজিত দল বেঙ্গালুরু টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল। ৫টা ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। সমসংখ্যক খেলায় ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে কেরল রয়েছে নবম স্থানে।
আরও পড়ুন:‘খারাপ রেফারিং’ নিয়ে ফেডারেশনকে লিখিত অভিযোগ জানাল ইস্টবেঙ্গল